ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা পৃথকীকরণের (ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন) জন্য নতুন করে ৮ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রে জানা যায়, ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের জন্য ইতোমধ্যে (২০১২-১৩ অর্থবছরে) ডিএসই ৭২ লাখ টাকা ব্যয় করেছে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরের ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের জন্য বাজেটে নতুন করে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৮ কোটি ১২ লাখ টাকা। ক্ষেত্রে ব্যয়ের জন্য সবচেয়ে বেশি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে পরামর্শক ফি ও রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজের (আরজেএসসি) ফি বাবদ।
এর মধ্যে পরামর্শক ফি বাবদ বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৫ কোটি টাকা, পরামর্শক ফিয়ের ওপর ভ্যাট বাবদ ৭৫ লাখ টাকা এবং ট্যাক্স বাবদ বরাদ্দ করা হয়েছে ৫০ লাখ টাকা। অন্যদিকে, অনুমোদিত মূলধনের জন্য আরজেএসসি’র ফি বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ কোটি টাকা।
এছাড়া ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের ব্যয়ের খাতায় ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরের জন্য আইনজীবীর খরচ বাবদ সাড়ে ৬ লাখ টাকা, ব্যয়ের ওপর ভ্যাট বাবদ এক লাখ এবং ট্যাক্স বাবদ ৭০ হাজার, ডিএসই’র সম্পদ পুনঃমূল্যায়ন ফি বাবদ সাড়ে ২২ লাখ, ভ্যাট বাবদ ৩ লাখ ৪০ হাজার এবং ট্যাক্স বাবদ ২ লাখ ৩০ হাজার, উপদেষ্টা ফি বাবদ ২ লাখ, খরচের ওপর ভ্যাট বাবদ ৩ লাখ এবং ট্যাক্স ২ লাখ, অন্তবর্তীকালীন নিরীক্ষা ফি বাবদ ১ লাখ ৩০ হাজার, এর ওপর ভ্যাট বাবদ ২০ হাজার, বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) বাবদ ১০ লাখ এবং অন্যান্য ব্যয় বাবদ ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের জন্য ইতোমধ্যে (২০১২-১৩ অর্থবছরে) ডিএসই ৭২ লাখ ৬০ হাজার টাকা ব্যয় করেছে। এর মধ্যে বিদেশ ভ্রমণ বাবদ ব্যয় করা হয়েছে ৬৯ লাখ ১০ হাজার টাকা। আর বাকি ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়েছে আইনজীবীর ফি বাবদ। যোগাযোগ করা হলে ডিএসই সভাপতি আহসানুল ইসলাম টিটু বাংলানিউজকে বলেন, “আমরা ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের স্কিম জমা দেবো। এ লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।”
ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের খরচের জন্য ডিএসই’র বরাদ্দ রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসই সভাপতি বলেন, “এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।” যোগাযোগ করা হলে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সভাপতি আল মারুফ খান বাংলানিউজকে বলেন, “নভেম্বরের মধ্যে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন সম্পন্ন করা হবে। আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিএসইসি’র কাছে স্কিম জমা দেবো।”
ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের ব্যয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, “আমাদের ব্যয় ডিএসই’র মতো বেশি হবে না। ডিএসই’র পরিধি আমাদের তুলনায় অনেক বেশি। তাই, সিএসই’র তুলনায় ডিএসই’র খরচ বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে এ বিষয়ে ব্যয়ের দিকে না তাকিয়ে পরামর্শক হিসেবে কাকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, তা দেখতে হবে। ভালো প্রতিষ্ঠানকে বেশি টাকা দিয়ে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দিলে তাতে দোষের কিছু নেই।
Comments[ 0 ]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন