নতুন অর্থবছরের দ্বিতীয় কার্যদিবস বুধবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সামান্য বেড়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। কিন্তু লেনদেন কমেছে অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)।
ডিএসই’র সাধারণ সূচক ২ পয়েন্ট কমলেও অন্যান্য সূচক বেড়েছে। বেড়েছে সিএসই সূচকও।
জানা যায়, মঙ্গলবার ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছিল ৭৬২ কোটি টাকা। বুধবার লেনদেন হয় ৮০৫ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড।
অন্যদিকে, সিএসইতে মঙ্গলবার মোট লেনদেন হয়েছিল ৫৯ কোটি টাকা। বুধবার হয়েছে ৫৭ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড।
এদিন লেনদেন শুরুর প্রথম পাঁচ মিনিট পর সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে ডিএসই’র সাধারণ সূচক প্রায় ২৩ পয়েন্ট বাড়ে। এরপর ১০টা ৪০ মিনিটে সূচক ২৬ পয়েন্ট বাড়ে, ১০টা ৪৫ মিনিটে সূচক ৩০ পয়েন্ট বাড়ে, ১০টা ৫০ মিনিটে সূচক ৩৪ পয়েন্ট বাড়ে। বেলা ১১টায় সূচক ১০ পয়েন্ট বাড়ে, দুপুর ১২টায় সূচক ১৯ পয়েন্ট বাড়ে, দুপুর ১টায় সূচক ১৫ পয়েন্ট বাড়ে। এরপর থেকে সূচক একটানা নিম্নমুখী হতে থাকে। লেনদেন শেষে ডিএসই’র সূচক ২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৪ হাজার ৫০৩ পয়েন্টে।
লেনদেন শেষে ডিএসইএক্স সূচক ৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৪ হাজার ২৩১ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক প্রায় ৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১ হাজার ৫৮৪ পয়েন্টে।
লেনদেন শেষে ডিএসইতে ১১৮টি প্রতিষ্ঠানের দাম ও ডিএসইএক্স সূচক বেড়েছে ৭ পয়েন্ট। লেনদেন হয়েছে মোট ৮০৫ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
ডিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, বুধবার লেনদেন শেষে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১১৮টির, কমেছে ১৫৭টির এবং অপরিবর্তিত থাকে ১২টির দাম।
লেনদেনের ভিত্তিতে (টাকায়) ডিএসই’র শীর্ষ দশ কোম্পানির তালিকায় ওঠানামা করে- তিতাস গ্যাস, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল, ইউনিক হোটেল, বরকতউল্ল্যাহ ইলেক্ট্রো ডায়নামিক, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, সামিট পূর্বাঞ্চল পাওয়ার, আফতাব অটোমোবাইল, অ্যাকটিভ ফাইন কেমিকেল, পদ্মা অয়েল এবং যমুনা অয়েল।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন শেষে সাধারণ সূচক ১৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৮ হাজার ৩০৭ পয়েন্টে।
এ সময়ে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে মোট ৫৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
Comments[ 0 ]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন