স্টক এক্সচেঞ্জের অন্তবর্তী পরিচালনা পর্ষদ গঠনে আইনিজটিলতা
মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৩
স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা আলাদা করতে অন্তবর্তীকালীন সময়ের পরিচালনা পর্ষদ গঠন নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে। তবে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন অ্যাক্টের কয়েকটি ধারা একটির সঙ্গে আরেকটির সংষর্ঘ দেখা দিয়েছে। এতে বোর্ড গঠনের বিষয়টি জটিলতা দেখা দিয়েছে। তবে আইন অনুসারে কোন ধারায় যদি ভিন্নমত বা অস্পষ্টতা দেখা দেয় তাহলে মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে তা স্পষ্টীকরণ করতে হবে। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যে কমিশন অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে আইনী ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, আইন মন্ত্রণালয়ের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। বিএসইসি সূত্র জানিয়েছে, মন্ত্রণালয়ের কাছে ব্যাখ্যা পাওয়ার পর স্টক এক্সচেঞ্জকে নির্দেশনা দেওয়া হবে।
এর আগে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ বিএসইসির কাছে প্রথম পরিচালনা পর্ষদ হিসেবে বর্তমান পরিচালনা পর্ষদকে কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু কমিশন তা খারিজ করেছে। বিএসইসি বলছে, প্রথম পরিচালনা পর্ষদ বিষয়ে স্টক এক্সচেঞ্জের প্রস্তাব খারিজ হওয়ায় অনুমোদিত ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন (বিন্যাস্তকরণ) স্কিমে পরিচালনা পর্ষদের কাঠামো অনুযায়ী অন্তবর্তী পর্ষদ বা প্রথম পরিচালনা পর্ষদ গঠন করতে হবে।
ফলে বিদ্যমান নির্বাচিত ১২ জনের মধ্যে ৮জনকে সরে দাঁড়াতে হবে। একইভাবে মনোনীতি ১২ জন থেকে ৫জন পরিচালককে বাদ পড়তে হবে। এতে স্টক এক্সচেঞ্জ সমস্যায় পড়েছে। কারণ কাকে বোর্ডে রাখবে আর কাকে বাদ দেবেন।
এরআগে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের জমা দেওয়া স্কীম গত ২৬ সেপ্টম্বর ‘এক্সচেঞ্জেস ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন, ২০১৩ এর ৬(১) ধারা অনুযায়ী সংশোধনীসহ স্কিম অনুমোদন করেছে কমিশন। এ আইনে দাখিলকৃত স্কিম ও তথ্যাদির মধ্যে অসম্পূর্ণতা থাকলে তা দূর করার জন্য কমিশন নির্দেশনা দিতে পারে।
পরিচালনা পর্ষদ গঠনের বিষয়ে ডিএসই বলছে, অনুমোদিত স্কিমে কোনো নিদের্শনা না দিয়ে প্রথম পরিচালনা পর্ষদ বিষয়ে শুধু আইন অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। এজন্য স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদের সভায় বর্তমান বোর্ডকে অন্তবর্তীকালীন বোর্ড হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে। তবে বিএসইসি তা মানতে নারাজ।
তবে অন্তবর্তীকালীন সময়ের বোর্ড স্কিম, সংঘ স্মারক ও সংঘবিধি ২৯ অক্টোবরের বিশেষ সাধারণ সভায় (ইজিএম) গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ।
জানা গেছে, অনুমোদিত স্কিমে কোনো নির্দেশনা না দিলেও কমিশন চায় ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন স্কিমে পরিচালনা পর্ষদের কাঠামো অনুযায়ী অন্তববর্তী পর্ষদ গঠন করা হোক। এ বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের মধ্য থেকে কারা অন্তবর্তী পর্ষদে থাকবেন, সে বিষয়ে স্টক এক্সচেঞ্জের বর্তমান পর্ষদকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আর বর্তমান পর্ষদ যদি সিদ্ধান্ত নিতে না পারে, তাহলে তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন দিকনির্দেশনা দিতে পারে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, আনুষ্ঠানিকভাবে পরামর্শ না দিলেও মন্ত্রণালয় কমিশনের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত বলে জানা গেছে। এটি হলে একজন স্বতন্ত্র পরিচালককে চেয়ারম্যান করে স্টক এক্সচেঞ্জকে ১২ সদস্যের প্রথম পরিচালনা পর্ষদ গঠন করতে হবে। ওই পর্ষদ ডিমিউচ্যুয়ালাইজড স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠানের আগ পর্যন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর অনুমোদিত ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন স্কিম অনুসারে স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদ হবে ১৩ সদস্যের। স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য স্বতন্ত্র পরিচালক হবেন। অনুমোদিত স্কিম অনুযায়ী পরিচালনা পর্ষদে স্বতন্ত্র পরিচালক সাতজন ও স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারসহ (কৌশলগত বিনিয়োগকারী) শেয়ারহোল্ডার পাঁচজন থাকবেন। তবে যত দিন পর্যন্ত স্ট্র্যাটেজিক শেয়ারহোল্ডার নির্বাচিত না হবেন, তত দিন পর্যন্ত এ পদ শূন্য থাকবে। স্কিমে উল্লে�খিত নিয়মানুযায়ী যোগ্যতার ভিত্তিতে স্বতন্ত্র পরিচালক নিযুক্ত হবেন। স্বতন্ত্র পরিচালকদের মেয়াদ তিন বছর হবে। তবে কোম্পানি আইন অনুযায়ী প্রতি বছর একটি উল্লে�খযোগ্য সংখ্যক পরিচালক অবসরে যাওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পদাধিকার বলে পরিচালনা পর্ষদে থাকবেন এবং ভোটাধিকার পাবেন। - See more at: http://www.sharenews24.com/index.php?page=details&nc=02&news_id=30612#sthash.Fp9IN4su.dpuf
Tags:
BSEC,
CSE,
Demutualization,
DSE
Comments[ 0 ]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন