দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে(সিএসই)সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবারও সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। টানা চর্তুথ দিনের মত সূচক পতনের পাশাপাশি লেনদেনে ধস নেমেছে।
ডিএসইতে আগের কার্যদিবস রোববার লেনদেন হয়েছিল ৬০৬ কোটি টাকা। সোমবার তা কমে দাঁড়ায় ৪৩২ কোটি টাকায়।
অন্যদিকে সিএসইতে রোববার লেনদেন হয়েছিল ৪৯ কোটি টাকার। সোমবার লেনদেন হয়েছে মাত্র ৩৭ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিট।
এদিন লেনদেন শুরুর প্রথম পাঁচ মিনিট পর বেলা ১১টা ০৫ মিনিটে ডিএসই’র সাধারণ সূচক প্রায় ৩০ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন শুরু হয়। এরপর থেকে সূচক কমতে থাকে।
১১টা ১০ মিনিটে সূচক প্রায় ৭ পয়েন্ট কমে।এরপর ১১টা ১৫ মিনিটে ডিএসই’র সাধারণ সূচক ৪৪ পয়েন্ট কমে, ১১টা ২০ মিনিটে সূচক ৩৪ পয়েন্ট কমে, ১১টা ২৫ মিনিটে সূচক ১২ পয়েন্ট কমে। বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে সূচক ১৬ পয়েন্ট কমে, দুপুর ১২টায় ১৫ পয়েন্ট কমে।
লেনদেন শেষে ডিএসইর সাধারণ সূচক ৪৬ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৩৫৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিকে, ডিএসইএক্স সূচক ৩৫ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৫৪ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৪৯৫ পয়েন্টে।
লেনদেন শেষে ডিএসইতে ১৭৮টি প্রতিষ্ঠানের দাম ও সাধারণ সূচক কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। লেনদেন হয়েছে ৪৩২ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৫টির, কমেছে ১৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির দাম।
লেনদেনের ভিত্তিতে (টাকায়)ডিএসইর শীর্ষ দশ কোম্পানির তালিকায় রয়েছে- মেঘনা পেট্রোলিয়াম, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল, তিতাস গ্যাস, পদ্মা অয়েল, গ্রামীণ ফোন, স্কয়ার ফার্মা, যমুনা অয়েল, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, অ্যাকটিভ ফাইন কেমিকেল এবং ইউনিক হোটেল।
অন্যদিকে, লেনদেন শেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএসইএক্স সূচক ৮৭ পয়েন্ট কমে ৮ হাজার ৩ পয়েন্টে, সিএসই-৩০ সূচক ৬১ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৮১১ পয়েন্টে এবং সিএএসপিআই সূচক ১৪০ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ৬০৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
এদিন সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
Comments[ 0 ]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন