মামলাগত জটিলতারঅবসানের পর দীর্ঘ ৯ বছরের
এজিএম আগামী ৬ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সকে। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল ডিভিশন এ আদেশ দেয়।
মামলাগত জটিলতার
কারণে দীর্ঘ ৯ বছর বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) স্থাগিত থাকার পরে এজিএম করার
অনুমতি পেয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স। প্রতিষ্ঠানটির
কম্প্রোমাইজ পিটিশন দাখিলের প্রেক্ষিতেই আদালত এ আদেশ দেয়।
আপিলকারী
ও কোম্পানি উভয় পক্ষ বিলম্ব মার্জনা করে এজিএম অনুষ্ঠানে সম্মত হওয়ায় গত মঙ্গলবার
সুপ্রিম কোর্টের আপিল ডিভিশন উভয় পক্ষে একটি কম্প্রোমাইজ পিটিশন দাখিল করতে আদেশ
দেয়। এই আদেশের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার
কম্প্রোমাইজ পিটিশন দাখিল করলে আদালত ডেল্টা লাইফকে এজিএম করার অনুমতি দেয়।
আদেশ
অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটিকে আগামী ২ মাসের মধ্যে ২০০৪ সালের এজিএম এবং পরবর্তী ৪ মাসের
মধ্যে ২০০৫ থেকে ২০১২ সালের এজিএম সম্পন্ন করতে হবে।
এ
প্রসঙ্গে ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের আইন বিভাগের কর্মকর্তা আব্দুল আওয়াল বলেন, আদালতের নির্দেশে আমরা আপিল ডিভিশনে একটি কম্প্রোমাইজ
পিটিশন দাখিল করি। এরই পেক্ষিতে বৃহস্পতিবার আদালত আমাদেরকে
এজিএম করার অনুমতি দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, খুব শীঘ্র বোর্ড সভা ডেকে এজিএমের তারিখ নির্ধারণ করা
হবে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী প্রথমে ২০০৪ সালের
এবং পর্যায়ক্রমে ২০০৫ থেকে ২০১২ সালের এজিএমের তাখির নির্ধারণ করা হবে।
উল্লেখ্য, পরিচালকদের দ্বন্দ্বের কারণে ২০০৪ সাল থেকে ডেল্টা
লাইফের এজিএম বন্ধ করছে। ২০০৪ সালে ডেল্টা লাইফের বর্তমান
টেকনিক্যাল ডাইরেক্টর এ কিউ এম নুরুল আবসার কোম্পানির এজিএম বিষয়ে কোম্পানি আদালতে
একটি মামলা করেন। আদালত মামলাটি খারিজ হয়ে গেলে এজিএমের
তারিখ নির্ধারণের জন্য কোম্পানির বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ড. রওশন আলী ও জিয়াদ
নামের একজন শেয়ারহোল্ডার (প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান চেয়ারম্যানের ছেলে) আদালতে দু’টি
রিট করেন। ফলে আবারো এজিএমে জটিলতা সৃষ্টি হয়। এরপর উচ্চ আদালতের আদেশে এজিএমের দিন নির্ধারিত হলেও সর্বশেষ
কোম্পানির বর্তমান চেয়ারম্যন মনজরুর রহমান ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করায়
প্রতিষ্ঠানটির এজিএম ঝুলে যায়।
Comments[ 0 ]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন