সূচক
ও লেনদেনের অবনতি দিয়েই চলতি সপ্তাহের দুই কার্যদিবসে দেশের উভয় শেয়ারবাজারের
লেনদেন শেষ হয়েছে। দুই
বাজারের বেশির ভাগ কো�পানিই দরপতনের শিকার হয়। মুনাফা তোলার চাপে বাজারে এ পতন হয়েছে বলে মনে
করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
স্থানীয় সিকিউরিটিজ হাউজ
কর্মকর্তারা জানান, খুলনার বিনিয়োগকারীদের মাঝেও শেয়ার বিক্রির প্রবণতা লক্ষ্য করা
গেছে। লাভে
থাকা শেয়ার বিক্রি করে তারা মুনাফা তোলার চেষ্টা করেছেন।
এম সিকিউরিটিজ হাউজের খুলনা
শাখা কর্মকর্তা বিএম রিয়াদ রহমান বলেন, অনেক বিনিয়োগকারী বাজার
আচরণকে কিছুটা অস্বাভাবিক বলেই মনে করছেন। যার কারণে তারা শেয়ার বিক্রয়চাপ বাড়িয়ে দিয়েছেন।
তিনি আশা করেন, সংশোধনের
পর যথারীতি মূল্যবৃদ্ধির ধারায় ফিরবে বাজার। কোনো অবস্থায়ই যাতে আতঙ্ক সৃষ্টি না হয় সে ব্যাপারে
বিনিয়োগকারীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিলেন তিনি।
কয়েকজন বিনিয়োগকারী জানান, টানা
তিন দিন বেশিরভাগ কো�পানির দর কমতে থাকায় আতঙ্কে কোন কোন বিনিয়োগকারীকে শেয়ার ছাড়তেও
দেখা গেছে।
বিনিয়োগকারী আব্দুল্লাহ বলেন, নতুন
সপ্তাহে বাজার ঘুরে দাঁড়াবে এমন প্রত্যাশা ছিলো। কিন্তু দুই দিনেও সে
প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। যার কারণে তিনি সামান্য লাভে থাকা বেশ কিছু শেয়ার বিক্রি করে
দিয়েছেন বলে জানান।
বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৩-১৪
অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের জন্য কতিপয় প্রণোদনা এবং ৯০০ কোটি টাকা পুন:অর্থায়নের
বিষয়গুলোর কারণে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছিল শেয়ারবাজারে। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক ও
সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বড় একটি অংশ মুনাফা তুলে নেওয়ায় বাজার আবার পতনের শিকার
হয়েছে।
তবে কেউ কেউ বলছেন, অনেকেই
মনে করছেন এর বেশি আর সূচক বাড়বে না। তাই তাড়াহুড়ো করে শেয়ার ছাড়ছেন। এটি কোনভাবেই কাম্য হতে
পারে না। কারণ
দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেক স্থিতিশীল। তাই দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগে
থাকলে কোন লোকসানের সম্ভাবনা নেই। তবে বাজার আগের তুলনায় বেশ স্থিতিশীল বলে মনে করছেন তারা।
Comments[ 0 ]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন