ডিএসইর নতুন সূচক চালুর সময় পূর্বের ভুলে ভরা সূচক সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বোঝার সুবিধার জন্য নতুন দুটি সূচকের পাশাপাশি পুরনো সাধারণ সূচকও তিন মাস রাখা হবে । গত ২৮ জানুয়ারি নতুন সূচক চালুর সময় তৎকালীন সভাপতি রকিবুর রহমান সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান। সে হিসাবে ভুলে ভরা আগের সূচকটি ২৮ এপ্রিল ডিএসইর ওয়েবসাইট থেকে তুলে দেয়ার কথা। আগের ভুলে ভরা সূচকটি এখনো বহাল থাকায় বিনিয়োগকারী ও বাজার সংশ্লিষ্টদের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দিচ্ছে। নতুন কমিটিও এ সূচকটি তুলে দেয়ার জন্য এখনও কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি।
২৮ জানুয়ারি ২৮৩০টি কোম্পানির হিসাব নিয়ে চালু করা নতুন বাছাই সূচক ডিএস৩০- এর ভিত্তি ধরা হয় ১০০০। আর গণনা শুরু হয় ১৪৬০ পয়েন্ট থেকে।
ঋুলি পদ্ধতিতে সূচক গণণা হওয়ায় ২০১১ সালের ডিসেম্বরে লেনদেনযোগ্য শেয়ারের (ফ্রি ফ্লোট) ভিত্তিতে সূচক গণনার সিদ্ধান্ত নেয় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিএসইসি। সেই আলোকে ২৮ জানুয়ারি থেকে নতুন সূচক চালু করা হয়।
এদিকে ডিএসই সাধারন ইনডেক্স (ডিজিইএন) ও ডিএসই ব্রোড ইনডেক্স (ডিএসইএক্স)এর মধ্যে বড় ধরনের পার্থক্য হলেই ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। উভয় সূচক সর্ম্পকে পূর্ণ ধারনা না থাকায় এমন হচ্ছে বলে মনে করছেন ডিএসই কর্তৃপক্ষ।
রবিবার লেনদেন শেষে ডিএসইএক্স ইনডেক্স (নতুন সূচক )৪৩.৭৬ ও ডিজিইএন(পুরাতন সূচক) ১.৬৩ পয়েন্ট মাইনাস হয়। উভয় সূচকের মধ্যে এই বড় ধরনের পার্থক্য দেখে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কারচুপি নিয়ে সংশয় উঠেছে। বিনিয়োগকারীরা এ বিষয়ে জানতে শেয়ারনিউজ অফিসে ফোন করে এর কারন জানতে চায়। তাদের মনে সন্দেহ হয়তো এর অন্তরালে কোনো ঘটনা ঘটছে।
উভয় সূচকের মধ্যে বড় ধরনের পার্থক্য ঘটার অন্যতম কারন হচ্ছে সব কোম্পানি ডিজিইএন সূচকে গণনা হয় আর ডিএসইএক্স সূচকে হয় না। এক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত পূরন করে আসতে হয় ডিএসইএক্স সূচকে। আর নতুন কোম্পানিগুলো লেনদেনের প্রথম দিন থেকে ডিজিইএন সূচকে যোগ হয় আর লেনদেনের ৩মাস পর শর্ত পূরন করতে পারলে ডিএসইএক্স সূচকে যোগ হয়। যার কারনে সূচকে পার্থক্য হওয়াটা স্বাভাবিক বলেই জানান ডিএসই কর্তৃপক্ষ। কারন নতুন কোম্পানিগুলো লেনদেনে এসে ডিজিইএন সূচকে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারলেও ডিএসইএক্স সূচকে গণনা না হওয়ায় তার কোনো প্রভাব পড়ে না ডিএসইএক্স সূচকে।
বর্তমানে ডিজিইএন ও ডিএসইএক্স উভয় সূচকে কোম্পানির সংখ্যা সমান না। তাছাড়া সূচক নিয়ে কোনো ধরনের কারসাজি করার সুযোগ নেই। সূচক নির্ণয় একটি জটিল পদ্ধতি। যা সাধারন বিনিয়োগকারীদের বোধগম্য নয় বলে তাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয় -জানান ডিএসইর সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য আন্তজার্তিক মানের করার লক্ষে ২৮ জানুয়ারি ডিএসইতে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয় ডিএসইএক্স ও ডিএস-৩০ নামক নতুন ২টি সূচক। এর মধ্যে ডিএসইএক্স সূচক যাত্রা করেছে ৪০৫৫.৯০ পয়েন্ট থেকে এবং ডিএস-৩০ সূচক যাত্রা করেছে ১৪৬০.৩০ পয়েন্ট থেকে।
জানা যায়, ডিএসইএক্স সূচক ১৯৯টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত। বছরে একবার এই সূচক পুর্ণমূল্যায়ন করা হবে। এছাড়া ডিএস-৩০ সূচক বছরে ২ বার পুর্ণমূল্যায়ন করা হবে।
গত বছরের ৪ জুলাই এসঅ্যান্ডপির সঙ্গে নতুন সূচক তৈরির চুক্তি করে ডিএসই। এরপর ২৯ জুলাই সূচক তৈরির কাজ শুরু করা হয়। এসঅ্যান্ডপির ম্যাথেডোলজি অনুযায়ী, ডিএসইএক্স ও ডিএস-৩০ ইনডেক্স চালু করছে ডিএসই।
সূত্রঃ শেয়ারনিউজ২৪.কম
Comments[ 0 ]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন