আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহী পদে পরিবর্তনের আভাস মিলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল ইসলাম এরই মধ্যে ওই পদে যোগ দিতে লিয়েনে ছুটির জন্য আবেদন করেছেন।
এমনটি যদি হয় তাহলে শীর্ষ পদে এমন একজন যাচ্ছেন যিনি প্রতিষ্ঠানটির পুনর্গঠনের সঙ্গে শুরু থেকেই সম্পৃক্ত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক ম. মাহফুজুর রহমানের কথায়ও এর সত্যতা মিলেছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “লিয়েনে ছুটি নিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকে যোগদান করা বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের জন্য নতুন নয়। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক সার্ভিস রুলেও এ বিষয়ে বিধিনিষেধ নেই। ফলে বিআরপিডির ডিজিএম আনোয়ার সাহেব যে আবেদন করেছে তাতে নিয়মের কোন ব্যত্রয় হয়নি।” তবে তাকে লিয়েন দেয়ার বিষয়টি কর্তৃপক্ষের ওপর নিভর করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আইসিবি তৎকালীন ওরিয়েন্টাল ব্যাংক থেকে মালিকপক্ষ ৬৪০ কোটি হাতিয়ে নেয়ার পর ২০০৬ সালের জুন মাসে এটিকে দেউলিয়া ঘোষণা করে অধিগ্রহণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। একজন প্রশাসক নিয়োগ করে কিছুদিন পরিচালনার মাধ্যমে ব্যাংকটির পুনর্গঠনের নীতিমালা তৈরি করা হয়।
পরবর্তিতে আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ব্যাংকটিকে আবার ব্যক্তিমালিকানায় ফেরত দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। মালয়শিয়ার একটি ব্যবসায়িক গ্রুপ এই ব্যাংকটির মালিকানায় আসে, তারাই এখনো ব্যাংকটি পরিচালনা করছে।
আইসিবি ইসলামী ব্যাংকে বর্তমানে পাঁচ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ রয়েছে। পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন ড. হাদেনান বিন আব্দুল জলিল।
বর্তমানে ব্যাংকটির মূলধন ঘাটতি রয়েছে এক হাজার ২৯১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। ইতোমধ্যে আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দেয়ার শেষ সময়ও পার হয়েছে। এ অবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের আরো ছয় মাস সময় বাড়িয়ে দিয়েছে।
Comments[ 0 ]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন