বিভিন্ন
ব্যাংকের মেয়াদোত্তীর্ণ স্বীকৃত বিল নিষ্পত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রচেষ্টা
অব্যাহত রয়েছে। এ লক্ষ্যে একটি
উচ্চপর্যায়ের কমিটিও গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক, যা
বিভিন্ন বৈঠক করে বিল পরিশোধ সংক্রান্ত সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছে । বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য
জানা গেছে।
সম্প্রতি মেয়াদোত্তীর্ণ স্বীকৃত বিল নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক
সোনালী ব্যাংককে বেশকিছু নির্দেশনা প্রদান করে। নির্দেশনা অনুসারে সোনালী ব্যাংকের হোটেল শেরাটন
শাখা যেসব অভ্যন্তরীণ ব্যাক টু ব্যাক এলসি ইস্যু করে বিলে স্বীকৃতি প্রদান করেছে
সেসব বিলগুলো পরিশোধ করতে পারবে। বিলগুলো
দুদকের তদন্তাধীনে থাকলেও সোনালী ব্যাংক স্বীয় বিবেচনায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক
নীতিমালা ও নিয়মাবলী মেনে পরিশোধের উদ্যোগ নেবে।
গ্রাহকের যে বিলগুলো দুদক তদন্ত করছে সেগুলো ব্যাতীত অন্যান্য বিলগুলো
নিয়মানুসারে পরিশোধিত হচ্ছে- সোনালী ব্যাংকের এ দাবীর বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংক জুন
২০১২ হতে মার্চ ২০১৩ পর্যন্ত পরিশোধিত প্রতিটি স্বীকৃত বিলের তালিকা দশ
কার্যদিবসের মধ্যে দাখিল করতে সোনালী ব্যাংককে নির্দেশনা দিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভ্যন্তরীণ ব্যাক টু ব্যাক এলসির
বিপরীতে মেয়াদোত্তীর্ণ স্বীকৃত বিলের অর্থ পরিশোধ স্বীকৃতিদানকারী ব্যাংকের
বিবেচ্য, যে কারণে ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের
ভিত্তিতেই এলসি স্থাপনের চর্চা দীর্ঘদিন ধরে অব্যাহত রয়েছে। আন্তব্যাংক সমঝোতার মাধ্যমে এসব বিল ক্রয় ও
পরিশোধিত হয়ে থাকে। কোন বিরোধ
সৃষ্টি হলে ব্যাংকগুলো তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করে। মীমাংসা না হলে বাফেদা ও এবিবি’র
মত সংগঠনগুলোতে অভিযোগকরণ ছাড়াও ব্যাংকগুলো আইনের শরণাপন্ন হতে পারে। তবুও বাংলাদেশ ব্যাংক গঠিত উচ্চপর্যায়ের কমিটিটি সব
পক্ষকে ডেকে বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা করে যাচ্ছে।
Comments[ 0 ]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন