মাঝে কয়েকদিন বিরতির পর নির্দলীয় সরকার ও নির্বাচন স্থগিতের দাবিতে আবার তিন দিন অবরোধ ডেকেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দল।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।
এর আগে তিন সপ্তাহে তিন দফা অবরোধ করেছিল বিরোধী দল। এবার চতুর্থ দফা ৭২ ঘণ্টা অবরোধের ডাক দেয়া হল।
আগের মতো এবারো রাজপথ-রেলপথ-নৌপথ অবরোধ করা হবে বলে জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিকালে এই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “দেশের বৃহত্তর স্বার্থে জনগণ স্বতস্ফূর্তভাবে শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচি সফল করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।”
গত ২৫ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ২৬ নভেম্বর থেকে তিন দফায় মোট ১৪ দিন অবরোধে সংঘাতে ৭৫ জনের বেশি নিহত হয়েছে।
এর আগের অবরোধ কর্মসূচি গত শুক্রবার সকালে শেষ হলেও এর পরের কার্যদিবস রোববার হরতাল ছিল ১৮ দলের জোট শরিক জামায়াতে ইসলামীর।
যুদ্ধাপরাধী আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকরের প্রতিবাদে বিজয় দিবসের আগের দিন জামায়াতের হরতাল শেষে বিজয় দিবসের পরদিন থেকে আবার অবরোধ শুরু হচ্ছে।
অবরোধে সহিংসতার জন্য সরকারকে দায়ী করে নজরুল বলেন, সরকার ‘জনগণের দাবি’ মেনে নেয়ার ঘোষণা দিলেই কর্মসূচি স্থগিত করা হবে।
১৮ দলের বিরোধিতার মধ্যেই নির্বাচনে এগিয়ে চলছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। নির্বাচন স্থগিত না করলে আরো কঠোর কর্মসূচি দেয়ার হুমকি রয়েছে বিএনপির।
এর মধ্যেই গত শনিবার এক সভায় বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্মসূচির নামে সহিংসতা ‘সহ্য’ না করার ঘোষণা দিয়ে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
নজরুল বলেন, “সরকার প্রহসনের নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে। গণদাবিতে অগ্রাহ্য করে বিরোধী দলকে বাইরে রেখে
পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে ১৫৪ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করতে যাচ্ছে।
“ভোটারবিহীন নির্বাচনের কথা আমরা শুনেছি। এবার অবাক বিস্ময়ে বিশ্ব দেখল প্রার্থীবিহীন নির্বাচন।”
অবরোধের কর্মসূচিতে সরকার দাবি মানবে বলে মনে করেন কি না- এই প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম বলেন, “আমরা মনে করেছিলাম, এতদিন কর্মসূচি করতে হবে না। সরকার জনগনের ন্যায্য দাবি মেনে নেবে।
“এখনো আশা করব, সরকার বাস্তবতা অনুধাবন করে যুক্তির পথে আসবে। জনগণেরর দাবি মেনে নেবে।”
Comments[ 0 ]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন