পুঁজিবাজারে
কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ থাকা না থাকা একই কথা। কেননা, গত
অর্থবছরে মাত্র ৬ কোটি কালো টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে সাদা করা হয়েছে। এজন্য
চলতি অর্থবছর পুঁজিবাজারে কালো টাকা সাদা করার বিষয়ে বিশেষ কোনো ছাড় দেয়া হয়নি। বুধবার
বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, প্রবৃদ্ধি
৭ দশমিক ২ শতাংশ অর্জিত হলে রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। এটি
আদায় করা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। এ সময় বেশ কিছু কৌশলের কথা তুলে ধরে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ইতিমধ্যে
রাজস্ব বোর্ডের প্রসার ঘটেছে। জনবল, অফিস বাড়ানো হয়েছে। গত এক বছরে ৮৫টি উপজেলায় আয়কর অফিস খোলা হয়েছে। ই-টিআইএন
নম্বর চালু করা হয়েছে।
এবারের বাজেটে বেশ কিছু নতুনত্ব
যোগ করা হয়েছে। ন্যূনতম
কর ৩ হাজার টাকা ছিল। তা স্পষ্ট করা হয়েছে। গ্রামের মানুষের ন্যূনতম কর ১ হাজার টাকা করা হয়েছে। আয়কর
রিটার্ন সহজ করা হয়েছে। অতিরিক্ত গাড়ির জন্য অতিরিক্ত কর ধার্য করা হয়েছে।
সদ্য বিদায়ী ২০১২-১৩ অর্থবছরে
এনবিআর রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারেনি। তবে এখনও কিছু রাজস্ব
আসবে। কিন্তু
এরপরও ঘাটতি থেকে যাবে। তা অর্জন করা সম্ভব হবে না বলে এনবিআর চেয়ারম্যান জানান।
সাময়িক হিসাব তুলে ধরে সংবাদ
সম্মেলনে এনবিআর চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন বলেন, গেল অর্থবছরে জাতীয়
রাজস্ব বোর্ডের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ১২ হাজার ২৫৯ কোটি টাকা। এর
বিপরীতে এনবিআর আদায় করেছে ১ লাখ ৮ হাজার ২৯৯ কোটি টাকা। সে হিসাবে রাজস্ব ঘাটতির
পরিমাণ ৪ হাজার ৩৫ কোটি টাকা। তবে নির্মাণ, যোগানদারসহ অন্যান্য মূসক সেবাখাত থেকে আরও হাজার কোটি টাকার
রাজস্ব আসতে হবে। সে
হিসাবেও রাজস্ব ঘাটতি থাকবে ৩ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। এই টাকা আদায় করা সম্ভব
নয়।
প্রসঙ্গত, চলতি
বাজেটে ব্যক্তি শ্রেনীর করদাতাদের শেয়ার লেনদেন হতে অর্জিত আয়ের করমুক্ত সীমা
বৃদ্ধি, শেয়ারের অভিহিত মূল্যের প্রিমিয়ামের ওপর আরোপিত কর প্রত্যাহার, মিউচ্যুয়াল
ফান্ডে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ কর অবকাশ ও বন্ড বিক্রির উপর আরোপিত উৎসে কর
প্রত্যাহার এবং করমুক্ত আয়েরসীমা ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। একইসঙ্গে
স্টক এক্সচেঞ্জ ডিমিউচুয়ালাইজেশনের পর কর অব্যাহতি দেওয়ার পরিকল্পনার কথা তুলে
ধরেন অর্থমন্ত্রী।
Comments[ 0 ]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন