পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে ৪৯টি
কোম্পানি পাইপলাইনে রয়েছে।
এ কোম্পানিগুলো
আইপিও’র মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে প্রায় ৫ হাজার টাকা উত্তোলণের জন্য
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) অনুমোদনের
জন্য আবেদন করেছে। বিএসইসি’র সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে ৪৯টি
কোম্পানির আবেদন (প্রাথমিক গণপপ্রস্তাব-আইপিও) জমা রয়েছে বিএসইসিতে। এর মধ্যে ১৩টির
আইপিও প্রস্তাব প্রিমিয়াম ছাড়া। প্রিমিয়ামযুক্ত হলো বাকি ৩৬টি কোম্পানি।
প্রিমিয়াম ছাড়া
কোম্পানিগুলো হলো-শুরু ওয়াইড ইন্ডাস্ট্রিজ ১০ টাকার ফেস ভ্যালুতে এক কোটি ৪০ লাখ
শেয়ার ছেড়ে ১৪ কোটি টাকা, মোজ্জাফর হোসাইন স্পিনিং মিলস ১০ টাকার ফেস ভ্যালুতে দুই কোটি ৭০ লাখ
৫০ হাজার শেয়ার ছেড়ে ২৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম ১০ টাকার ফেস ভ্যালুতে এক কোটি ৪০ লাখ
শেয়ার ছেড়ে ১৪ কোটি টাকা, তুগং-হাই নিটিং ১০ টাকার ফেস ভ্যালুতে তিন কোটি ৫০ লাখ শেয়ার ছেড়ে ৩৫
কোটি টাকা, ফাইবার
সাইন ১০ টাকার ফেস ভ্যালুতে এক কোটি ২০ লাখ শেয়ার ছেড়ে ১২ কোটি টাকা, হা-ওয়েল টেক্সটাইল বিডি ১০ টাকার ফেস
ভ্যালুতে দুই কোটি শেয়ার ছেড়ে ২০ কোটি টাকা, বাংলাদেশ কমার্শিয়াল ব্যাংক ১০ টাকার ফেস ভ্যালু ও এক টাকা
প্রিমিয়ামসহ ১১ টাকায় ১০ কোটি শেয়ার ছেড়ে ১১০ কোটি টাকা, খুলনা প্রিটিং ১০ ফেস টাকার ভ্যালুতে
চার কোটি শেয়ার ছেড়ে ৪০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে।
এ ছাড়া হামপেল রি
কোম্পানি বিডি ১০ টাকার ফেস ভ্যালুতে দুই কোটি ৪০ লাখ শেয়ার ছেড়ে ২৪ কোটি টাকা, এএফসি এগ্রো বুটিক ১০ টাকার ফেস ভ্যালুতে
দুই কোটি ৪০ লাখ শেয়ার ছেড়ে ২৪ কোটি টাকা, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ১০ টাকার ফেস ভ্যালুতে দুই কোটি শেয়ার
ছেড়ে ২০ কোটি টাকা, ন্যাশনাল ফাইন্যান্স ১০ টাকার ফেস ভ্যালুতে এক কোটি ২০ লাখ শেয়ার
ছেড়ে ১২ কোটি টাকা বাজার থেকে উত্তোলনের জন্য বিএসইসির কাছে আবেদন করেছে।
বিনিয়োগকারীরা
জানায়, সম্প্রতি
পুঁজিবাজারে শেয়ারের চাহিদা বাড়ছে। চাহিদা অনুযায়ী শেয়ার সরবরাহ করা না গেলে শেয়ারমূল্য
মৌলভিত্তির বাইরে চলে যেতে পারে।
বাজারমূল্য
স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে নিয়মিত বিরতিতে মৌলভিত্তিসম্পন্ন শেয়ারের সরবরাহ জরুরি
হয়ে পড়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রিমিয়াম ছাড়া আইপিও প্রস্তাবগুলো অগ্রাধিকার
পাওয়ার দাবি তাদের।
কোম্পানির
প্রিমিয়াম নেওয়ার মধ্যে আইনগত কোনো বাধা নেই উল্লেখ করে বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান
ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন,কোম্পানির প্রিমিয়াম নেওয়ার মধ্যে আইনগত কোনো বাধা নেই। তবে ক্ষতিগ্রস্ত
বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষায় বিএসইসিকে কিছুটা কৌশল অবলম্বল করার পরামর্শ দেন
তিনি।
ঢাকা স্টক
এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সভাপতি আহসানুল ইসলাম টিটু রাইজিংবিডিকে জানান, বিনিয়োগকারীদেও স্বার্থ মাথায় রেখে
নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে আইপিওর বিষয়টি নিয়ে কাজ করা উচিত।
তবে কিছু ভালো
আইপিও বাজারে আসলে নতুন বিনিয়োগকারি বাজারে আসে। একই সাথে পুরানো
বিনিয়োগকারিরা দাতের লোকসান পুষিয়ে নিতে পারে।
কোন কোম্পানি কোন
ফরম্যাটে আসবে তা তাদের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে।
Comments[ 0 ]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন