টানা দ্বিতীয় সপ্তাহে সূচক কমেছে দেশের উভয় শেয়ারবাজারে। তবে সূচক কমলেও উত্থানের ধারাবাহিকতায় রয়েছে টাকার পরিমাণে লেনদেন। আর এর কারণে সূচকের পতনে আশাহত নন খুলনার বিনিয়োগকারীরা। বরং তারা সাধ্য অনুযায়ী লেনদেনে অংশগ্রহন করেছেন।
স্থানীয় সিকিউরিটিজ হাউজ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বললে তারা এসব কথা জানান।
কয়েকজন বিনিয়োগকারী বলেন, টানা দ্বিতীয় সপ্তাহে সূচক পতনে আমরা বাজার নিয়ে আশাহত নই। বরং আশাবাদি বাজার আবারও ঘুরে দাঁড়াবে। তারা বলেন, টানা দ্বিতীয় সপ্তাহে দেশের উভয় শেয়ারবাজারে সূচকের পতন হয়েছে। তবে এ সময়ে টাকার পরিমাণে লেনদেন ছিলো উত্থান গতিতে। গত দুই সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্রড ইনডেক্স কমেছে ৪৭ পয়েন্ট আর এ সময়ে ডিএসইর গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিলো ৯৫৩ কোটি টাকা। যা নি:সন্দেহে স্থিতিশীল বাজারের লক্ষণ।
বিনিয়োগকারী মো. জাফর বলেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতি হঠ্যাৎ উত্তাল হওয়ায় বাজারে তার প্রভাব পড়েছে। এ অবস্থার উন্নতি হলে বাজারেরও উন্নতি হবে। তিনি শেয়ারবাজারের স্বার্থে রাজনৈতিক পরিস্থিতির স্থিতিশীলতা কামনা করেন।
বিনিয়োগকারী মেহেদী হাসান বলেন, টানা হরতালের কারণে বাজারে বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি ও লেনদেনে কিছুটা বাঁধা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বাজার সপ্তাহের শেষে বিরূপ আচরণ করেছে।
কেউ কেউ বলছেন, সম্প্রতি সময়ে বাজার চাঙ্গা হওয়ায় অনেকে মুনাফা তুলে নিতে সক্ষম হয়েছেন। ফলে বাজারে কিছুটা সংশোধন হয়েছে।
এদিকে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কিছুটা প্রভাব পড়েছে বাজারে। কেননা জামায়াতে ইসলামীর দুই নেতার মানবতাবিরোধী অপরাধের রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দেশে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে আর্থিক বাজারে। তাছাড়া টানা হরতালের কারণে বাজারে বিনিয়োগকারী উপস্থিতিও কম ছিল।
Comments[ 0 ]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন