দীর্ঘ সময় পর পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ায় ফান্ডামেন্টাল শেয়ারের দিকে ঝুঁকছেন বিনিয়োগকারীরা। দীর্ঘদিন নেতিবাচক গন্ডির মধ্যে আটকে থাকা বাজার থেকে বিনিয়োগকারীদের অর্জিত অভিজ্ঞতার ফল এটি। কারণ, ভয়াবহ ধসের আগে দুর্বল মৌলভিত্তির শেয়ার কিনেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন বিনিয়োগকারীরা।
ধসের পর দীর্ঘ মন্দা কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে বাজার। বিশেষ করে সরকার পুঁজিবাজারের প্রতি মনোযোগী হওয়ায় পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করেছে। ধীরে ধীরে সব শ্রেনীর বিনিয়োগকারী বাজারমুখী হতে শুরু করেছেন। তবে পূর্বের মতো এবার দুর্বল মৌলভিত্তির শেয়ার এড়িয়ে চলছেন বিনিয়োগকারীরা। এর পরিবর্তে ফান্ডামেন্টাল শেয়ারগুলোর প্রতি বেশি আগ্রহ প্রকাশ করছেন বিনিয়োগকারীরা।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত দুই মাস ধরে শেয়ারবাজারে ২২ খাতের কোম্পানির মধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের পদ্মা, মেঘনা, যমুনা অয়েল, সামিট পূর্বাঞ্চল পাওয়ার, তিতাস গ্যাস, প্রকৌশল খাতের আফতাব অটোমোবাইলস, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, সিভিও পেট্রো ক্যামিক্যাল, সিঙ্গার বিডি, বিবিধ খাতের বিএসসি, ওষুধ ও রসায়ন খাতের জেএমআই সিরিঞ্জ, ট্যানারী খাতের এপেক্স এডেলকি, টেলিকমিউনিকেশন খাতের বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানির শেয়ারে সব ধরনের বিনিয়োগকারী বেশি উৎসাহী হয়ে উঠেছেন।
এ বিষয়ে কয়েকজন বাজার বিশ্লেষক জানান, বাজারে লেনদেন এবং সূচক অনেকটা স্বাভাবিক রয়েছে। ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসছে। তবে বাজারে কিছু নন ফান্ডামেন্টাল শেয়ারের মুভমেন্ট বাড়ছে। এতে বাজারে দীর্ঘদিন ধরে যারা লোকসানের মধ্যে রয়েছেন তারা হতাশ হয়ে উঠছেন। এ পরিস্থিতিতে অনেকে লোকসানে থাকা শেয়ারের দাম না বাড়ার কারণে সেগুলো হাতছাড়া করে দিচ্ছেন।
বিশ্লেষকরা আরো জানান, কোনো কারণে নন ফান্ডামেন্টাল শেয়ারের দর যদি পড়ে যায় তবে বেশিরভাগ বিনিয়োগকারীর লোকসান হয়। কারণ, অধিকাংশ বিনিয়োগকারী নন-ফান্ডামেন্টাল শেয়ারের দ্রুত মুনাফার আশায় বিনিয়োগ করেন। তাই বর্তমান বাজার সম্পর্কে সব ধরণের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের লেনদেনে অংশগ্রহণ করা উচিত বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউজের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, হাতে গোনা গুটি কয়েক কোম্পানির শেয়ার গত দুই মাস ধরে দর বৃদ্ধির ধারায় রয়েছে। যেগুলো বাজারে হাই ভেল্টেজের শেয়ার নামে পরিচিত হচ্ছে। এরমধ্যে নন ফান্ডমেন্টাল হাইভোল্টেজের শেয়ারও রয়েছে। এসব কোম্পানির গত দুই মাসে ৮০ থেকে ৩০০ শতাংশ পর্যন্ত দর বেড়েছে। কিন্তু বাজারে অনেক কম দরে ভালো মৌলভিত্তির শেয়ার থাকলেও সেগুলো সচল না হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের কিছুটা অস্থিরতা লক্ষ্য করা গেছে। - See more at: http://www.sharenews24.com/index.php?page=details&nc=02&news_id=26525#sthash.Iwts3bVp.dpuf
Comments[ 0 ]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন