অর্থ মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে
নীতিমালা প্রণয়নের জন্য রোববার পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্চ
কমিশনের (বিএসইসি) সদস্য আরিফ খানকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মাহফুজুর রহমান বিডিনিউজ
টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, নীতিমালা প্রণয়নের পর আইসিবির
মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই তহবিলের প্রথম কিস্তি হিসেবে ৩০০ কোটি টাকা
সংশ্লিষ্টদের মধ্যে বণ্টন করা হবে।
তিনি বলেন, “পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের টাকা
কেন্দ্রীয় ব্যাংকেই গচ্ছিত রয়েছে। এটা যেকোনো সময় ছাড় করা হবে। তবে তার আগে এই টাকা বণ্টনের
নীতিমালা করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।” কোন কোন মার্চেণ্ট ব্যাংক বা
ব্রোকারেজ হাউজ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং কাদের বেশি মার্জিন ঋণ আটকে রয়েছে- তার
ভিত্তিতে সহায়তার নীতিমালা করা হবে। এ অর্থ ঋণ
হিসেবে দেওয়া হবে না ফান্ড ম্যানেজার হিসেবে বরাদ্দ দেয়া হবে তাও থাকবে নীতিমালায়। ঋণ হিসেবে দিলে সুদের হারও বিবেচনা
করবে কমিটি।
বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংক আইসিবিকে ৫ শতাংশ
সুদে এই অর্থ ঋণ দেবে। আইসিবি ৬ শতাংশ সুদে মার্চেণ্ট ব্যাংক বা ব্রোকারেজ হাউজকে ঋণ দেবে। মার্চেন্ট ব্যাংক বা ব্রোকারেজ
হাউজগুলো সংশ্লিষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ১০ শতাংশ সুদে ঋণ আকারে
বরাদ্দ দেবে। এতে মার্জিন ঋণে আটকে থাকা
বিনিয়োগকারীদের লোকসান কমাতে কিছুটা ভূমিকা রাখবে। এছাড়াও বাজারে টাকার সরবরাহ বাড়বে, যা
পুঁজিবাজারে লেনদেন বৃদ্ধিতে সহোযোগিতা করবে।
১০ লাখ টাকার নিচে ক্ষতিগ্রস্ত ৯ লাখ ৫৩ হাজার ক্ষুদ্র
বিনিয়োগকারীদের জন্য ৯০০ কোটি টাকা পুনঃঅর্থায়নের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার, যা
তিন কিস্তিতে বাজেট বরাদ্দ থেকে দেয়া হবে। বিভিন্ন মার্চেন্ট ব্যাংকের প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার মার্জিন ঋণ
আটকে আছে।
Comments[ 0 ]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন