পুঁজিবাজারের কালো টাকা সাদা করার সুযোগ অব্যাহত রাখা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়নে বাজেটোত্তর এক সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত এ কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, কর দেয়ার মাধ্যমে শেয়ারবাজারে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ আছে। অর্থনীতি বিটের এক সিনিয়র সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, প্রতি বছর এ সুযোগ দেয়া হয়, সেটা পুঁজিবাজার হোক আর অন্য সেক্টরে হোক অব্যাহত থাকবে।
এর আগে বৃহষ্পতিবার অর্থমন্ত্রী তাঁর বাজেট বক্তৃতায় আবাসন খাতে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেয়ার কথা উল্লেখ করেন। তিনি গতকালের বক্তৃতায় শেয়ারবাজারে কালো টাকা সাদা করা যাবে কি-না আলোচনায় না এনে এড়িয়ে যান। তবে আজ তিনি বিষয়টি পরিস্কার করেন।
অর্থমন্ত্রীর এ ঘোষণার মাধ্যমে গতকাল থেকে কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রকাশিত সংবাদ ভুল প্রমাণিত হলো। পাশাপাশি অর্থমন্ত্রীর আজকের এ ঘোষণার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ারবাজারের প্রতি আস্থা ফিরবে।
আবাসন খাতে গত বছরের ‘বিপর্যয়’ মোকাবেলায় প্লট ও ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার এই ‘বিশেষ সুযোগ’ দেয়া হয়েছে গতকাল সংসদে বলেন-অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
২০১৩ -২০১৪ অর্থবছরের বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ থাকছে এবং এবার জমি ও বাড়ি কেনাও এর আওতায় এসেছে।
আবাসন খাতে গত বছরের ‘বিপর্যয়’ মোকাবেলায় প্লট ও ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার এই ‘বিশেষ সুযোগ’ দেয়া হয়েছে সংসদে বলেন-অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
বর্তমান আইন অনুযায়ী, অপ্রদর্শিত আয়ে যে করহার প্রযোজ্য তার সঙ্গে ১০ শতাংশ অর্থাৎ আয়ের আড়াই শতাংশ কর দিয়ে তা বিনিয়োগ বা বৈধ করা যায়।
অর্থ আইন-২০১৩ তে বলা হয়েছে টাকার কোনো উৎস জানা হবে না। আয়কর অধ্যাদেশের ১৯ (ই) ধারা সংশোধন করে এই সুযোগ দেয়া হয়েছে।
“অপ্রদর্শিত আয়কে বিনিয়োগে ব্যবহার করার জন্য এদেশে বহুবার নানা ধরনের সুবিধা প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু তাতে কখনো তেমন ফল পাওয়া যায়নি,” বাজেট বক্তৃতায় বলেছেন অর্থমন্ত্রী।
Comments[ 0 ]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন