ঊর্ধ্বমুখী
বাজারে অধিকাংশ খাতের অবস্থান ইতিবাচক হলেও বস্ত্র খাত পিছিয়ে পড়েছে। জেনারালাইজড প্রেফারেন্স সিস্টেম (জিএসপি) বাতিল
হতে পারে এমন খবরে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, জিএসপি
সুবিধা বাতিল হলে বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলোর মুনাফা কমে যেতে পারে এমন ধারণা থেকে
অনেক বিনিয়োগকারী এ খাতের শেয়ারগুলোর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন বলে জানা গেছে।
রোববার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেনে
বস্ত্র খাতের অবদান ১৪.৬৩ শতাংশ হলেও সোমবার তা কমে ১১.৯৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া সোমবার এখাতের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর
কমেছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, শেয়ারবাজারে
তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের ৩০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রোববার ২০টির দর কমেছে,
বেড়েছে
মাত্র ৫টির শেয়ার দর। এছাড়া ৩টির দর
অপরিবর্তিত ছিল এবং ২টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়নি।
এদিন সবচেয়ে বেশি বেড়েছে স্টাইল ক্রাফটের শেয়ার দর। এ শেয়ারের দর আগের দিনের চেয়ে ৫৩ টাকা বেড়েছে। আর সবচেয়ে বেশি কমেছে রহিম টেক্সটাইলের শেয়ার দর। এ শেয়ারের দর কমেছে ১২ টাকা।
বিনিয়োগকারীদের অনেকের ধারণা, যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশের জন্য জিএসপি সুবিধা বাতিল করতে পারে। এর পরিবর্তে এ দেশের বস্ত্র খাতের জন্য অন্যকোনো
সুবিধা দেয়া হতে পারে বলে বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। জিএসপি সুবিধা বাতিল হলে এ খাতের কোম্পানিগুলোর
মুনাফা কমে যাবে। এছাড়া জিএসপির
বদলে অন্য সুবিধা দেয়া হলেও তা জিএসপির মতো হবে না। সুতরাং এ খাতের কোম্পানিগুলোর জন্য আগামীতে তেমন
কোনো সুখবর নেই। তাই আপতত: এ
খাতের শেয়ারে বিনিয়োগের পক্ষে নন অনেক বিনিয়োগকারী।
Comments[ 0 ]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন