|
ড. আতিউর রহমান |
শিল্প
মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আইসিবি’র ট্রাস্টি ব্যবস্থাপনায় ১২৫০ কোটি টাকারমিউচ্যুয়াল ফান্ড গঠন হচ্ছে। পুঁজিবাজারের পাশাপাশি শিল্পে বিনিয়োগ ও মুদ্রা বাজার উন্নয়নে
ফান্ডটির কার্যক্রম চলবে।
সোমবার
সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেলে প্রবাসী বিনিয়োগ মিউচ্যুয়াল ফান্ড গঠনের
জন্যে রোড-শো ও উদ্যোক্তা নির্বাচন সভায় এক লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের
গর্ভনর ড. আতিউর রহমান এ কথা বলেন।
মিউচ্যুয়াল
ফান্ড গঠনে উদ্যোক্তা হিসেবে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিধিবদ্ধ
কর্পোরেশন, রেজিস্ট্রিকৃত ট্রাস্টি ফান্ড, প্রভিডেন্ট ফান্ড, পেনশন ফান্ড, পাবলিক লিমিটেড
কোম্পানী, বীমা কোম্পানী এবং বৈদেশিক ফান্ড
অংশগ্রহণ করতে পারবে। এটি হবে একটি ওপেন-এন্ডেড ফান্ড। যোগ করেন গভর্নর।
তিনি
বলেন,মিউচ্যুয়াল ফান্ডে প্রাথমিক তহবিলের
৫০০ কোটি টাকার মধ্যে উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ২০০ কোটি টাকা এবং ব্যক্তি
ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৩০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে। এর ৫০ শতাংশ তহবিল তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে, ২০ শতাংশ শিল্প প্রতিষ্ঠানে এবং ৩০ শতাংশ মুদ্রা বাজারে
বিনিয়োগ করা হবে। সেদিক থেকে এর বিনিয়োগ ঝুঁকিমুক্ত থাকবে
বলে আশা করা যায়।
এছাড়া
গভর্নর তাঁর লিখিত বক্তব্যে বলেন, তালিকাভুক্তমিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর
বর্তমান সম্পদ মূল্য ৮৩ বিলিয়ন কোটি টাকা এবং বাজার মূলধন ২৫৮৮ বিলিয়ন টাকা বলে
উল্লেখ্য করেন।
তিনি
বলেন, বর্তমানে দেশে ৪৯টিমিউচ্যুয়াল ফান্ড রয়েছে যাদের
মধ্যে ৭টি ওপেন-এন্ডেড এবং ৪২টি ক্লোজ এন্ডেড মিউচ্যুয়াল ফান্ড। তালিকাভুক্ত মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর বর্তমান সম্পদ মূল্য হচ্ছে ৮৩ বিলিয়ন
কোটি টাকা এবং বাজার মূলধন ২৫৮৮ বিলিয়ন টাকা। ভিন্ন
ভিন্নভাবে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে মিউচুয়াল ফান্ডগুলো বিভি ন্ন ধরণের পরিকল্পনা নিয়ে
বাজারে আসে। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহের আগে
মিউচুয়াল ফান্ডকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কোম্পানী (বিএসইসি)-এর কাছে
তালিকাভুক্ত হতে হয়। বিএসইসি বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ
সুরক্ষা ও পুঁজিবাজারকে উন্নত ও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
তিনি
বলেন, বিনিয়োগকারীদের জন্যে মিউচুয়াল
ফান্ড বেশ ভালো একটি উপায়।মিউচ্যুয়াল ফান্ড হল এমন একটি
ব্যবস্থা যাতে বিনিয়োগকারীদের ইউনিট বরাদ্দ করে তাদের পুঁজি একত্র করা হয় এবং
প্রস্তাবপত্রে ঘোষিত নীতিমালা অনুযায়ী সেই তহবিল সিকিউরিটিজ বা শেয়ারে খাটানো হয়। মিউচুয়াল ফান্ড ট্রাস্টি ব্যবস্থার মাধ্যমে গঠিত হয় তার মধ্যে থাকে
পৃষ্ঠপোষক, ট্রাস্টি, সম্পদ পরিচালনা কোম্পানী ও তত্ত্বাবধায়ক। ট্রাস্টি তৈরি হয় এক বা একাধিক পৃষ্ঠপোষক দ্বারা, যারা কোনো কোম্পানীর উদ্যোক্তা। বিএসইসি
অনুমোদিত সম্পদ পরিচালনা কোম্পানী মিউচুয়াল ফান্ড রক্ষণাবেক্ষণ করে। বিএসইসি’র কাছে তালিকাভুক্ত তত্ত্বাবধায়করা বিভিন্ন পরিকল্পনাধীন
শেয়ার নিজেদের কাছে জমা রাখে। সম্পদ পরিচালনা
কোম্পানীকে পরিচালনা করা ও দেখভাল করার সাধারণ ক্ষমতা পৃষ্ঠপোষকের ওপর ন্যস্ত থাকে।
Comments[ 0 ]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন