দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ব্যাপক দরপতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এছাড়া কমেছে উভয় স্টকের লেনদেনও।
ডিএসইতে বুধবার লেনদেন হয়েছিল ৯৮৬ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার তা কমে দাঁড়ায় ৮৫২ কোটি টাকায়। অন্যদিকে সিএসইতে বুধবার লেনদেন হয়েছিল ৬৯ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয় ৬৬ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটের।
গত কয়েক কার্যদিবসে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ এবং টেলিকমিউনিকেশন খাতের দরবৃদ্ধির পর বৃহস্পতিবার এ খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর সংশোধন হওয়ায় সূচক ও লেনদেন কমেছে বলে মনে করেছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
বৃহস্পতিবার লেনদেন শুরুর প্রথম দশ মিনিটি পর বেলা ১১টা ১০ মিনিটে সূচক ৯৪ পয়েন্ট কমে যায়। এরপর বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে সূচক ৯৫ পয়েন্ট, ১১টা ২০ মিনিটে ১১৪ পয়েন্ট কমে। বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে ডিএসই’র সাধারণ সূচক ৭৯ পয়েন্ট কমে, দুপুর ১২টায় সূচক ১৫০ পয়েন্ট কমে, ১টায় সূচক ১৫২ পয়েন্ট কমে। লেনদেন শেষে ডিএসইর সাধারণ সূচক ১৮৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৫৬৮ পয়েন্টে।
এদিকে, ডিএসইএক্স সূচক ৬০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে হাজার ২২৩ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে হাজার ৫৯৮ পয়েন্টে। লেনদেন শেষে ডিএসইতে ১০৩টি প্রতিষ্ঠানের দাম ও সাধারণ সূচক কমেছে ১৮৫ পয়েন্ট। লেনদেন হয়েছে মোট ৮৫২কোটি ১ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৩টির, কমেছে ১০৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টির দাম।
লেনদেনের ভিত্তিতে (টাকায়) ডিএসইর শীর্ষ দশ কোম্পানির তালিকায় রয়েছে- মেঘনা পেট্রোলিয়াম, পদ্মা অয়েল, তিতাস গ্যাস, গ্রামীণফোন, যমুনা অয়েল, অ্যাকটিভ ফাইন কেমিকেল, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, ইউনাইটেড এয়ার এবং স্কয়ার ফার্মা।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ সূচক ১০৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৩৪৬ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে মোট ৬৬ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
Comments[ 0 ]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন