|
মেঘনা সিমেন্টের এজিএম-এ উপস্থিত কর্মকর্তারা |
মেঘনা সিমেন্ট ২০১২ সালে নিট মুনাফা করেছে ১৪ কোটি ১৩ লাখ টাকা, যা ২০১১ সালের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি। কম্পানির সততা ও দক্ষতায় ব্যবস্থাপনার কারণে এ অর্জন সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মেঘনা সিমেন্টের পরিচালক মাহবুব মোরশেদ হাসান। গতকাল রবিবার মংলা শিল্পাঞ্চলে অবস্থিত মেঘনা সিমেন্টের ২১তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মাহবুব মোরশেদ হাসান আরো বলেন, বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সিমেন্ট শিল্প একটি চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছে। এর পরও মেঘনা সিমেন্ট সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। শেয়ারহোল্ডারদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে আরো অনেকদূর এগিয়ে যেতে সক্ষম হবে। মেঘনা সিমেন্টের এ পথচলা সম্ভব হয়েছে সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচষ্টো ও দেশবাসীর আস্থার কারণে। আমরা আরো অনেকটা পথ চলতে চাই। বিগত সময়ের মতো সহযোগিতার হাত অব্যাহত রাখার জন্য শেয়ারহোল্ডারদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মাহবুব মোরশেদ হাসান বলেন, বিশ্বের বৈরী অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতেও ২০১১ সালের চেয়েও দ্বিগুণ ব্যবসা করতে সক্ষম হয়েছে। মেঘনা সিমেন্ট ২০১১ সালে নিট মুনাফা করেছিল ছয় কোটি ৬৫ লাখ ১৯ হাজার ৭৬৯ টাকা। তিনি বলেন, দেশের সিমেন্ট শিল্পের শীর্ষস্থানীয় এ কম্পানিটি ২০১২ সালে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে বিশাল অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে। এ বছর কম্পানিটি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছে ১৫৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা, যা এর আগের বছর ২০১১ সালের চেয়ে প্রায় আট কোটি টাকা বেশি। তিনি বলেন, Èআমরা সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থরক্ষায় সচষ্টে ছিলাম ও আছি। যে কারণে নানা প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও লভ্যাংশ দেওয়া হয়েছে ২৫ শতাংশ। গত বছরও ২৫ শতাংশ প্রদান করেছিল মেঘনা সিমেন্ট মিলস।
সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৬ দশমিক ২৮ টাকা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) ৩৩ দশমিক ৮১ টাকা বলে জানান মাহবুব মোরশেদ হাসান। অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন নিরপেক্ষ পরিচালক খাজা আহমেদুর রহমান, খন্দকার মিজানুর রহমান, পরিচালক ময়নাল হোসেন চেৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব উজ-জামান ও আশরাফ হোসেন মণ্ডল। শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বক্তব্য দেন জাহাঙ্গীর আলম, শাহেদ আলী, বিশ্বজিত্ ঘোষ, আমির হোসেন প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠানে ২০১২ সালের আয়-ব্যয় উপস্থাপন করা হলে কণ্ঠভোটে তা অনুমোদিত হয়। পর্যায়ক্রমে ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ, পরিচালক পুনর্নিয়োগ, অডিটর নিয়োগের প্রস্তাব করা হলে তা সর্বসম্মতভাবে কণ্ঠ ভোটে পাস করে দেন শেয়ারহোল্ডাররা।
প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সালে মংলা শিল্পাঞ্চলে স্থাপিত হয় মেঘনা সিমেন্ট মিলস। বাণিজ্যিকভাবে উত্পাদন শুরু করে ১৯৯৬ সালে। ঢাকা স্টক একচেঞ্জে ১৯৯৫ সালে ও চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জে ১৯৯৬ সালে তালিকাভুক্ত হয়। ২০১২ সালে মেঘনা সিমেন্ট ৯ লাখ ৮৭ হাজার মেট্রিক টন সিমেন্ট উত্পাদন করেছে। এর উত্পাদন সক্ষমতা রয়েছে প্রায় ১০ লাখ টন।
Comments[ 0 ]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন