দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহজুড়ে সূচক ও লেনদেন কমেছে। গত সপ্তাহে ডিএসইর সাধারণ সূচক কমেছে ৪ দশমিক ১৬ পয়েন্ট এবং লেনদেন কমেছে ৩৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
অন্যদিকে, সিএসই’র সূচক কমেছে ১৩৫ পয়েন্ট। অন্যদিকে, গত সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ১২৯ কোটি ৩৯ লাখ ৩২ হাজার ৬৩০ টাকা।
গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার ডিএসইর সাধারণ সূচক ছিল ৪ হাজার ৪২৯ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট। সপ্তাহ শেষে বৃহস্পতিবার সূচক বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৪২৫ দশমিক ৪৮ পয়েন্টে। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে সূচক কমেছে ৪ দশমিক ১৬ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ০৯ শতাংশ। অন্যদিকে, ডিএসই’র ডিএসইএক্স সূচকও কমেছে ৬৪ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৫ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট।
এদিকে, গত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার সিএসইর সাধারণ সূচক ছিল ৮ হাজার ২৮৫ পয়েন্ট। সপ্তাহ শেষে বৃহস্পতিবার সূচক বেড়ে দাঁড়ায় ৮ হাজার ১৫১ পয়েন্টে। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে সূচক কমেছে ১৩৫ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
অন্যদিকে, গত সপ্তাহের অধিকাংশ কার্যদিবসেই ডিএসই ও সিএসই’র সূচক কমেছে। এছাড়া কমেছে ডিএসই ও সিএসইতে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন কমেছে ৩৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। লেনদেন হয়েছে মোট ২ হাজার ৬০২ কোটি ৯২ লাখ ৫৬ হাজার ২৮৬ কোটি টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪ হাজার ২৪১ কোটি ৮৯ লাখ ৬০ হাজার ৬২৬ কোটি।
গত সপ্তাহের ৪ কার্যদিবসে ডিএসইর ২৯৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৬০টির, কমেছে ২৩১টির ও অপরিবর্তিত ছিল ৩টির দাম। কোনো লেনদেন হয়নি ২টি প্রতিষ্ঠানের। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছিল মাত্র ১৬০টির, কমেছে ১১৯টির ও অপরিবর্তিত ছিল ১৬টির দাম। কোনো লেনদেন হয়নি ১টি প্রতিষ্ঠানের।
ডিএসই ও সিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে, মোট ৪ কার্যদিবসের ডিএসই’র দৈনিক গড় লেনদেন কমেছে। গত সপ্তাহে দৈনিক গড় দাঁড়ায় ৬৫০ কোটি ৭৩ লাখ ১৪ হাজার ৭১ টাকা; যেখানে এর আগের সপ্তাহে গড় ছিল ৮৪৮ কোটি ৩৭ লাখ ৯২ হাজার ১২৫ টাকা। অর্থাৎ গত সপ্তাহে এর আগের সপ্তাহের চেয়ে গড় লেনদেন কমেছে ২৩ দশমিক ৩০ শতাং শ।
এছাড়া ডিএসইতে কমেছে শেয়ার লেনদেনের পরিমাণ। গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৪৯ কোটি ৫৫ লাখ ৪৭ হাজার ৪৪৪টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে। যেখানে গত সপ্তাহের আগের সপ্তাহে ছিল ১০৩ কোটি ৯২ লাখ ২৪ হাজার ৭৫৩টি। সুতরাং গত সপ্তাহে শেয়ার লেনদেন কমেছে ৫২ দশমিক ৩২ শতাংশ।
সাপ্তাহিক দাম বাড়ার ভিত্তিতে ডিএসইর শীর্ষ দশ কোম্পানি হলো- জেএমআই সিরিঞ্জ (৪৫ দশমিক ৯০ শতাংশ), পদ্মা অয়েল (২৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ দাম বেড়েছে), আইডিএলসি ফিন্যান্স (১৩ দশমিক ১৪ শতাংশ), আইসিবি (১২ দশমিক ১২ শতাংশ), লংকা-বাংলা ফিন্যান্স (১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ), ইউনিয়ন ক্যাপিটল (১১ দশমিক ৩৯ শতাংশ), ইস্টার্ন হাউজিং (১০ দশমিক ৩০ শতাংশ), সমরিতা হাসপাতাল (৯ দশমিক ৮১ শতাংশ), মেঘনা পেট্রোলিয়াম (৮ দশমিক ২৫ শতাংশ) এবং আফতাব অটোমোবাইল (৮ দশমিক ২৪ শতাংশ)।
অন্যদিকে, সপ্তাহ শেষে দাম কমার ভিত্তিতে ডিএসইর শীর্ষ কোম্পানিগুলো হলো- ফ্যামিলি টেক্সটাইল (১৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ দাম কমে), প্রিমিয়ার সিমেন্ট (১৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ), জুট স্পিনার্স (১১ দশমিক ৮১ শতাংশ), তাল্লু স্পিনিং (১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ), তৃতীয় আইসিবি মি. ফান্ড (১০ দশমিক ৩২ শতাংশ), কে অ্যান্ড কিউ (১০ দশমিক ৩২ শতাংশ), স্টান্ডার্ড সিরামিকস (৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ), ইউনাইটেড ইন্সুরেন্স (৯ দশমিক ০৯ শতাংশ), মেঘনা কনডেন্স মিল্ক (৯ দশমিক ০৯ শতাংশ) এবং মুন্নু স্টাফলারস (৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ)।
Comments[ 0 ]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন