পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা অনুযায়ী নিজ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ধারনে ব্যর্থ হয়ে পরিচালনা পর্ষদ থেকে বাদ পড়েও জিএসপি ফাইন্যান্সের জনাব মইন ইউ আহমেদ প্রতিনিধি ও নূরুল ইসলাম স্বতন্ত্র পরিচালক হিসাবে কোম্পানিতে ফিরে এসেছেন। অর্থাৎ যে উদ্দেশ্যে বিএসইসি পরিচালকদের নিজ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ধারণের নির্দেশনা দিয়েছিল তা পুরোপুরি সফল হয়নি। তারপরও বিএসইসি এ কোম্পানির বিরুদ্ধে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে বলে অতীত অতিজ্ঞতা বলে না।
এদিকে চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি মহামান্য আদালত রায় দেয়, যেসব পরিচালক নিজ প্রতিষ্ঠানের ২ শতাংশ শেয়ার ধারন করতে ব্যর্থ হয়েছে তারা কোম্পানির সভায় থাকতে পারবে না। অথচ মইন ইউ আহমেদ ও নূরুল ইসলাম দুইজনই আদালতের নির্দেশনা অমান্য করেছে।
জিএসপি ফাইন্যান্স ২০১০ সালের মহাধস কাটিয়ে আয়ের ধারায় ফিরতে শুরু করেছে। কোম্পানিটি ২০০৮, ২০০৯ ও ২০১০ সালে শেয়ারপ্রতি ০.৭৬, ১.২৫ ও ৩.৫১ টাকা আয় করলেও ২০১০ সালের ধসের প্রভাবে ২০১১ সালে ইপিএস কমে যায় ১.১৯ টাকায়। তবে বছরের ব্যবধানে তা আবার ঘুরে দাঁড়িয়ে ২০১২ সালে ইপিএস ১.৮৮ টাকায় বৃদ্ধি পায়।
কোম্পানির আয়ের ন্যায় লভ্যাংশ প্রদানও বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১১ সালে শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদান করলেও ২০১২ সালে কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদান শুরু করেছে।
এদিকে ২০১৩ সালের ১ম প্রান্তিক শেষে আয়ের ধারায় রয়েছে কোম্পানিটি। ১ম প্রান্তিক শেষে ইপিএস হয়েছে ০.৩৫ টাকা।
কোম্পানি সচিব মিজানুর রহমান শুরুতে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও স্বতন্ত্র পরিচালক হিসাবে পর্ষদে থাকতে পারবে বলে জানালেও পরে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের অনুমোদনের মাধ্যমে ব্যর্থ পরিচালকেরা কোম্পানিতে রয়েছেন বলে উল্লেখ করেন।
Comments[ 0 ]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন