Appollo Ispat Complex Limited IPO Application Form

৯/১২/২০১৩ ১২:৫২:০০ AM |
Download IPO Application form of Appollo Ispat Complex Limited

Full Prospectus                                                                     Download
Summary Prospectus                                                             Download
Banker's To The Issue                                                                    Download
IPO application for Resident Bangladeshi (Word format)             Download
IPO application for Affected Small Investor (Word format)           Download
IPO application for Non-Resident Bangladeshi (Word format)       Download

IPO application for Resident Bangladeshi (PDF format)                Download
IPO application for Affected Small Investor (PDF format)             Download
IPO application for Non-Resident Bangladeshi (PDF format)         Download





Read more…

সাবমেরিন ক্যাবলের লভ্যাংশ ঘোষণা

৯/১২/২০১৩ ১২:১০:০০ AM |
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত টেলিকমিউনিকেশন খাতের বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলের পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন ২০১৩ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার প্রদানের সুপারিশ করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। আজ কোম্পানির শেয়ারের কোনো সার্কিট ব্রেকার থাকছেনা।

সমাপ্ত অর্থ বছরে এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬.৬৯ টাকা।
বিনিয়োগকারীদের অনুমোদনের জন্য আগামী ২৬ অক্টোবর বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। এজন্য আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত অর্থবছর এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৭.৮৫ টাকা এবং শেয়ারহোল্ডারদের ২০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিয়েছিল। 

২০১২ সালে তালিকাভুক্ত হওয়া রাষ্ট্রায়ত্ত্ব এ কোম্পানির মোট শেয়ারের ৭৩.৭৯ শতাংশ সরকারের কাছে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে ১৩.০৭ শতাংশ ও সাধারণ জনগনের কাছে রয়েছে ১২.৯৬ শতাংশ।

Read more…

IPO: Applo Ispat Complex Ltd.

৯/১১/২০১৩ ১০:২২:০০ PM |




Applo Ispat Complex Ltd.
(As per abridged version of Prospectus)

Subscription Open
October 06, 2013
Subscription Close
October 10, 2013
Subscription period for NRB
October 06, 2013 to October 19, 2013
Authorized Capital
Tk. 5,000,000,000.00
Pre IPO paidup Capital
Tk. 1,500,000,000.00
IPO size in shares
100,000,000
IPO size in Tk. at face value
Tk. 1,000, 000, 000.00
IPO size in Tk. at offer price
Tk. 2,200, 000, 000.00 (including premium of Tk. 1,200,000,000.00)
Post IPO Paidup Capital
Tk. 2,500,000,000.00
Face Value per share
Tk. 10.00
Offer Price per share
Tk. 22.00
Market Lot (Shares)
200
NAV per share
Tk. 22.59 (including revaluation reserve) as on June 30, 2012
Tk.14.98 (excluding revaluation reserve) as on June 30, 2012
EPS
Tk. 2.36 for the year ended June 30, 2012
Issue Manager
ICB Capital Management Limited
Auditors
A. Matin & Co.
Website
Nature of Business
The Company is engaged in manufacturing and selling of CI
(Corrugated Iron) sheet at different thickness, ranging from 0.120 mm to 0.420 mm, which is marketed mainly in rural and semi-urban areas of Bangladesh under its well established brand “Rani Marka Dheutin”.
Major Product
Cold Rolled Full Hard Coil (C.R. Coil), Galvanized Plain and Corrugated Sheet.
Use of IPO Proceeds
The company will utilize the net proceeds of public offer for NOF Plant-New Project and Bank Loan pay off.
Read more…

আইসিবি’র বিক্রির চাপে বাজার কোণঠাসা!

৯/০৮/২০১৩ ১১:৫২:০০ PM |

রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) শেয়ার বিক্রির চাপে গত কয়েকদিন যাবত বাজার কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পতনের বাজারে আইসিবি যেখানে ক্রেতার ভ’মিকায় থাকার কথা, সেখানে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মতো বিক্রেতার ভ’মিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। এ কারণে বাজার ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না। এমনকি তালিকাভুক্ত একটি কোম্পানির থ্রিজি প্রাপ্তির মতো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য আসার পরও আইসিবি’র বিক্রির চাপে শেয়ারটির দর দাঁড়াতে পারেনি। 

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারনে বাজার এমনিতেই নাজুক অবস্থায় রয়েছে। তারপর যদি আইসিবি’র মতো বৃহৎ প্রতিষ্ঠান শেয়ার বিক্রির চাপ অব্যাহত রাখে, তাহলে বাজার ঘুরে দাঁড়ানো খুবই কঠিন। বাজারের এ নাজুক পরিস্থিতিতে আইসিবি-কে বিক্রেতার ভ’মিকার পরিবর্তে ক্রেতার ভ’মিকায় অবতীর্ণ হওয়ার পরামর্শ দেন তাঁরা। এদিকে, বিনিয়োগকারীরাও নাজুক বাজারে আইসিবি’র শেয়ার বিক্রির প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার দাবী জানিয়েছেন। 


তথ্য মতে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনা মোতাবেক আইসিবি প্রথম মিউচ্যুয়াল ফান্ড থেকে আইসিবি অষ্টম মিউচ্যুয়াল ফান্ড পর্যন্ত ৮টি মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (বিডিবিএল) পরিচালনায় প্রথম বিএসআরএস মিউচ্যুয়াল ফান্ড আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে অবসায়ন হবে। এ কারণে ফান্ডগুলির পোর্টফোলিওতে থাকা শেয়ারগুলি আইসিবি ও বিডিবিএল বিক্রি শুরু করেছে। ফান্ডগুলোর পোর্টফোলিওতে থাকা শেয়ারের বিক্রির চাপে টার্নওভারের শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলোর শেয়ারগুলো পর্যন্ত চাপের মুখে পড়েছে। ফলে কোম্পানিগুলোর টার্নওভার বাড়লেও বিক্রির চাপে শেয়ারগুলোর দর নি�œগামী হয়ে পড়ে। গত কয়েকদিন যাবত আইসিবি ও বিডিবিএল-এর পরিচালনাধীণ ফান্ডগুলোর পোর্টফোলিওর শেয়ারের বিক্রির চাপ বেড়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়। 


বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত মাসের ২৫ তারিখ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক ছিল ৪ হাজার ১৬৩ পয়েন্ট। বর্তমানে যা ৪ হাজার ৭৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। এ সময় ১০ কার্যদিবসের মধ্যে ৩ দিন সূচক বেড়েছে। তবে ১০ দিনের ব্যবধানে সার্বিক সূচক কমেছে ৮৬ পয়েন্ট। মূলত: ফান্ডগুলোর শেয়ার বিক্রির চাপে বাজার উঠে দাঁড়াতে পারছে না। বিনিয়োগকারীরা অভিযোগ করছেন, বাজার পতনের সময়ে আইসিবি-কে বড় ধরণের ক্রেতার ভ’মিকায় দেখা যায় না। বরং আইসিবি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মতোই আচরণ করে থাকে। তারা বলছেন, আইসিবি যদি কার্যকরভাবে ক্রেতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় তাহলে বাজার এভাবে পতনের ধারায় থাকার কথা নয়। কারণ এখন অর্থনীতির সবগুলো সূচকই ইতিবাচক রয়েছে যা পুঁজিবাজারের জন্য অত্যন্ত পরিপূরক। 

জানা যায়, ২০০৮ সালে তালিকাভুক্ত হওয়ায় যেসব মেয়াদী মিউচ্যুয়াল ফান্ড ১০ বছরের বেশি সময় ধরে পরিচালিত হয়ে আসছে বিএসইসি সেগুলোকে ২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে গুটিয়ে ফেলার নির্দেশ জারি করে। কিন্তু ২০১০ সালের ডিসেম্বরে শেয়ারবাজারে ধস শুরু হলে ফান্ডগুলোর মেয়াদ আরো এক বছর বাড়ানো হয়। কিন্তু বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে না আসায় ফান্ডগুলোর মেয়াদ আরো এক বছর বাড়ায় বিএসইসি। আর চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ফান্ডগুলো গুটিয়ে নেয়ার সময় বেঁধে দেয়া হয় এবং ফান্ডগুলোর মেয়াদ পরবর্তীতে আর বাড়ানো হবে না বলে জানিয়ে দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সে হিসেবে আইসিবিকে এসব ফান্ড গুটিয়ে নিতে হবে আর ৪ মাসেরও কম সময়ে। ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে আইসিবির ওই ৮টি মিউচ্যুয়াল ফান্ড শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।


বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, আইসিবি ৮টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডকে অবসায়ন না করে বে-মেয়াদী ফান্ডে রূপান্তরিত করতে পারতো। বর্তমান বাজারের নাজুক পরিস্থিতিতে আইসিবি’র মতো অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এ ধরণের অপরিপক্ক সিদ্ধান্তু বাঞ্চনীয় নয়। আইসিবি বরং ফান্ডগুলোকে বে-মেয়াদী করে বোনাস ও রাইট ইউনিট ইস্যুও মাধ্যমে ফান্ডগুলোর আকার বৃদ্ধি করতে পারতো। তাহলে বাজারে নেতিবাচক প্রভাবের পরিবর্তে ইতিবাচক প্রভাবই পড়তো। বর্তমান পরিস্থিতিতে ফান্ডগুলোকে গুটিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত মোটেও সমীচীন হয়নি বলে তাঁরা মনে করেন। 


ডিএসই’র সর্বশেষ তথ্যমতে আইসিবি’র পরিচালনাধীন ৮টি মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবং ফাস্ট বিএসআরএস মিউচ্যুয়াল ফান্ডের পরিশোধিত মূলধন ২২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। গত ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখের হিসাব অনুযায়ী আইসিবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের ১০ টাকা ফেস ভ্যালুর বিপরীতে প্রথম আইসিবি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটপ্রতি নেট এসেট ভ্যালু (এনএভি) ক্রয় মূল্য অনুসারে ১২৫.৫৩ টাকা এবং বাজার মূল্য অনুসারে ১১২৯.২০ টাকা। দ্বিতীয় আইসিবির ইউনিট প্রতি নেট এসেট ভ্যালু (এনএভি) ক্রয় মূল্য অনুসারে ৮৩.৯৭ টাকা এবং বাজার মূল্য অনুসারে ২৪৮.২০ টাকা, তৃতীয়টির ক্রয় মূল্য অনুসারে এনএভি ৫৮.৬৭ টাকা আর বাজার মূল্য অনুসারে ২৪৪.৪৬ টাকা, চতুর্থটির ক্রয় মূল্য অনুসারে এনএভি ৬৪.৩৪ টাকা আর বাজার মূল্য অনুসারে ২২৬.৮০ টাকা, পঞ্চমটির ক্রয় মূল্য অনুসারে এনএভি ৩৯.১৪ টাকা আর বাজার মূল্য অনুসারে ১৭৬.৫৮ টাকা, ষষ্ঠটির ক্রম মূল্য অনুসারে এনএভি ২৪.৮৩ টাকা আর বাজার মূল্য অনুসারে ৫১.৬৪ টাকা, সপ্তমটির ক্রম মূল্য অনুসারে এনএভি ২৮.২২ আর বাজার মূল্য অনুসারে ৮৯.৬৪ টাকা এবং অষ্টম আইসিবি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট প্রতি নেট এসেট ভ্যালু (এনএভি) ক্রয় মূল্য অনুসারে ২৫.১৫ টাকা আর বাজার মূল্য অনুসারে ৫৮.৩১ টাকা। - See more at: http://www.sharenews24.com/index.php?page=details&nc=01&news_id=28961#sthash.ty9YfRJA.dpuf
Read more…

লাগামহীভাবে বাড়ছে জেএমআই ও সিভিও পেট্রো ক্যামিকেলের দর

৯/০৮/২০১৩ ১১:৫০:০০ PM |

লাগামহীনভাবে বেড়ে চলেছে জেএমআই সিরিঞ্জ এবং সিভিও পেট্রোক্যামিকেলের শেয়ার দর। মাঝে মধ্যে সামান্য কারেকশন হলেও বিষয়টিকে আইওয়াশ হিসাবে দেখছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। 


তাদের মতে, কোনো একটি পক্ষ অধিক মুনাফার আশায় এ দুই কোম্পানির শেয়ার দর একটানা বাড়িয়ে নিচ্ছে। যে কোনো সময় তারা শেয়ারটি থেকে বেরিয়ে গেলে যারা উচ্চদরে শেয়ারটি ক্রয় করবেন তাদের পুঁজি আটকে যেতে পারে বলে আংশকা করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। 



গত ১৯ আগষ্ট জেমএমআই সিরিঞ্জের শেয়ার দর ৮০ টাকা থাকলেও মাত্র ৫ কার্যদিবসের মাথায় শেয়ারটির দর ১৩৯ টাকায় পৌঁছে। অর্থাৎ পাঁচ কার্যদিবসের ব্যবধানে এ শেয়ারের দর ৫৯ টাকা বৃদ্ধি পায়। এরপর এক কার্যদিবস সামান্য কারেকশন হতে না হতেই এ শেয়ারের দর আবার একটানা পাঁচ কার্যদিবস বাড়ে। গত ২৯ আগষ্ট থেকে এ শেয়ারের দর ১৩৪ টাকা থেকে একটানা ১৮০ টাকায় উঠে। অর্থাৎ পাঁচ কার্যদিবসে শেয়ারটির দর বৃদ্ধি পায় ৪৬ টাকা। 



এরপর গত বৃহস্পতিবার এ শেয়ারের দর প্রায় ১১ টাকা কমলেও একদিনের ব্যবধানে আজ রোববার শেয়ারটির দর আবারও প্রায় ১৭.৬ টাকা বৃদ্ধি পায়। রোববার দিনশেষে এ শেয়ারের দর স্থির হয় ১৮৬.৬ টাকায়। বর্তমানে এ শেয়ারের পিই রেশিও ৯৫.২। যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং মার্জিন অযোগ্য। 



এদিকে তিন দিনের সামান্য কারেকশন হওয়ার পর গত ১২ আগষ্ট থেকে সিভিও পেট্রো ক্যামিকেলের শেয়ার দর ৪৬৩ টাকা থেকে ৬৩৪ টাকায় উঠে। এরপর একটানা তিন কার্যদিবস পুনরায় শেয়ারটির দরে কারেকশন হয়। গত ২ সেপ্টেম্বর শেয়ারটি দর ৫৬৬ টাকায় নামলেও আবার একটানা চার কার্যদিবস ধরে বাড়ছে এ শেয়ারের দর। গত চার কার্যদিবসে এ শেয়ারের দর বেড়েছে প্রায় ১০০ টাকা। রোববার দিনশেষে শেয়ারটির দর স্থির হয় ৬৬৬.৫ টাকায়। 



এদিকে বিনিয়োগকারীদের অনেকের মতে, সিভিও পেট্রো ক্যামিকেল জুন ক্লোজিং কোম্পানি। তাই খুব শিগগিরই কোম্পানিটি ডিভিডেন্ড ঘোষণা করবে এমন প্রত্যাশা থেকে অনেকে শেয়ারটি বেশি দরে ক্রয় করছেন। 



এ কোম্পানির ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ১৯৯০ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর ২০০৪ সাল পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড দেয়া হয়নি। এরপর ২০০৫ সালে কোম্পানিটি মাত্র ৬ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয় বিনিয়োগকারীদের। এরপর পুনরায় ৪ বছর কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কোনো প্রকার ডিভিডেন্ড দেয়নি। সর্বশেষ ২০১২ সালে কোম্পানিটি ২০ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করে। বর্তমানে এ শেয়ারের পিই রেশিও ৫৩১.৭৮। যা অত্যন্ত ঝুকিপূর্ণ এবং শেয়ারটি বাজারের সঙ্গে ভারসাম্যহীন অবস্থায় রয়েছে।



এ কোম্পানির ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত রেকর্ড পর্যালোচনাপূর্বক বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তালিকাভুক্তির পর কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের উল্লেখ করার মতো ডিভিডেন্ড দেয়নি। এ প্রেক্ষাপটে শেয়ার দর এতোটা বাড়াকে যৌক্তিক মনে করছেন না বাজার সংশ্লিষ্টরা। 



এদিকে, জেএমআই সিরিঞ্জের ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত রেকর্ডেও উল্লেখ করা মতো তেমন কিছুই নেই। এর আগে এ কোম্পানির লেনদেন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে হয়েছে। কোম্পানিটি ২০০০ সালের পর থেকে একটানা ৭ বছর কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কোনো প্রকার ডিভিডেন্ড দেয়নি। এরপর নামমাত্র ডিভিডেন্ড দিয়েছে কোম্পানিটি। সর্বশেষ গত ২০১২ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের মাত্র ১২ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। এছাড়া এ কোম্পানির আর্থিক বছর শেষ হবে ডিসেম্বরে। এ প্রেক্ষাপটেও শেয়ার দর এতোটা বৃদ্ধির পেছনে অশুভ পাঁয়তারা চলছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। তাই এ দুই শেয়ার লেনদেনের বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। - See more at: http://www.sharenews24.com/index.php?page=details&nc=07&news_id=28936#sthash.Pm4xzlR7.dpuf
Read more…

থ্রিজি বরাদ্দ পেল গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও এয়ারটেল

৯/০৮/২০১৩ ১১:৪৭:০০ PM |
কোনো প্রকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই ৪ মোবাইল অপারেটর তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল প্রযুক্তি (থ্রিজি) তরঙ্গ নিলাম বরাদ্দ পেয়েছে। রোববার দুপুরে রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেলে থ্রিজি নিলাম অনুষ্ঠানের মাধ্যমে (থ্রিজি) তরঙ্গ বরাদ্দ দেওয়া হয়।

মোট ৪০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ বিতরণের নিলামে ২৫ মেগাহার্টজের জন্য বিড করেছে ৪ কোম্পানি। এর মধ্যে গ্রামীণফোন ১০ মেগাহার্টজ, রবি ৫ মেগাহার্টজ, এয়ারটেল ৫ মেগাহার্টজ এবং বাংলালিংক ৫ মেগাহার্টজের তরঙ্গ কিনেছে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে মোট ২৫ মেগাহার্টজ তরঙ্গ বিক্রি হয়েছে।

প্রতি মেগাহার্টেজ জন্য কোম্পানিগুলোকে ২ কোটি ১০ লাখ ডলার পরিশোধ করতে হবে। আর বাকি ১৫ মেগাহার্টজ তরঙ্গ কেনার ব্যাপারে কোনো কোম্পানির আগ্রহ থাকলে তারা নিলাম প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় ধাপে অতিরিক্ত তরঙ্গ কিনতে পারবে।
থ্রিজি নীতিমালা অনুসারে অপারেটররা ১৫ বছরের জন্য এই লাইসেন্স পাচ্ছে। থ্রিজি লিইসেন্স বিক্রি করে চার বেসরকারি অপারেটরের কাছ থেকে মোট ৫২ কোটি ৫০ লাখ ডলার আয় করবে সরকার।


জানা যায়, ৪০ মেগাহার্জ তরঙ্গের জন্য ৪ কোম্পানি মিলে বিড করেছে ৪৮১ কোটি ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
জিানা যায়, দুই ধাপে প্রথমে ১০ মেগাহার্টজ ও পরে পাঁচ মেগাহার্টজ তরঙ্গের জন্য এই নিলাম পরিচালনা করেন বিটিআরসির থ্রিজি পরামর্শক আবদুল্লাহ ফেরদৌস।
১০ মেগাহার্টজ তরঙ্গের জন্য প্রথম বিডে গ্রামীণফোন ২ কোটি ১০ লাখ ডলারের ডাক দেয়। অন্য কোনো অপারেটর এই ডাকে অংশ না নেয়ায় ওই দরেই ১০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ জিতে নেয় ৪ কোটি ৪৭ লাখ গ্রাহকের এই মোবাইল অপারেটর।

আবদুল্লাহ ফেরদৌস জানতে চান, ওই দরে আর কেউ ১০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ কিনতে রাজি আছে কি-না। কিন্তু কেউ তাতে সাড়া না দেয়ায় শুরু হয় নিলামের দ্বিতীয় ধাপ।
এই পর্যায়ে পাঁচ মেগাহার্টজ তরঙ্গের জন্য প্রথম ডাকে ২ কোটি ১০ লাখ ডলার দাম হাঁকেন বাংলালিংক, রবি ও এয়ারটেলের কর্মকর্তারা। এরপর আর কেউ দর বাড়াতে রাজি না হওয়ায় সেখানেই শেষ হয় দ্বিতীয় ধাপের নিলাম।
এই নিলামের ফলে ১০ কোটি ৫০ লাখ ডলারে পাঁচ মেগাহার্টজ থ্রিজি তরঙ্গের লাইসেন্স পাবে বাংলালিংক, রবি ও এয়ারটেল।

বিটিআরসির হাতে থাকা ৫০ মেগাহার্টজ তরঙ্গের মধ্যে ১০ মেগাহার্টজ পাচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটর টেলিটক। থ্রিজি নীতিমালা অনুযায়ী তাদের নিলামে অংশ নিতে না হলেও নিলামে ওঠা দর অর্থাৎ ২১ কোটি ডলারে ওই তরঙ্গ কিনতে হবে টেলিটককে।


রোববার দুপুরে রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেলে থ্রিজি নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী সাহারা খাতুন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিবেক সুধ, বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াদ সাতারা, রবি আজিয়াটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেফরি আহমেদ তমবি ও এয়ারটেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্রিস টবিটও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। 

প্রসঙ্গত, তরঙ্গ বরাদ্দ নীতিমালা অনুযায়ী একটি অপারেটর সর্বোচ্চ ১০ ও সর্বনিম্ন ৫ মেগাহার্টজ তরঙ্গ কিনতে পারবে। নিলামে প্রতি মেগাহার্টজ তরঙ্গের ভিত্তিমূল্য নির্ধারণ করা হয় ২০ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১৫৬ কোটি টাকা।

উল্লেখ্য, থ্রিজি তরঙ্গ বরাদ্দ সংক্রান্ত নীতিমালায় দেশী এবং বিদেশী মিলিয়ে ৪টি অপারেটরকে এ লাইসেন্স প্রদানের কথা ছিল। কিন্তু বিদেশী কোনো কোম্পানি নিলামে অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করেনি। অন্যদিকে, সিটিসেল নিলামে অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করলেও আর্নেষ্ট মানি জমা দেয়নি। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এ ৪ অপারেটরই থ্রিজি লাইসেন্স পাচ্ছে।
- See more at: http://www.sharenews24.com/index.php?page=details&nc=02&news_id=28929#sthash.wu6kTiqp.dpuf
Read more…

চাপমুক্ত থাকতে চায় মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো

৯/০৮/২০১৩ ১১:৪৫:০০ PM |

বাজারে সহায়তার জন্য প্যারেন্ট বা অন্য কোম্পানির পক্ষ থেকে দেয়া ঋণের বিষয়ে চাপমুক্ত থাকতে চায় মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো। কারণ, সব সময় ঋণের অর্থ পরিশোধের চাপ থাকলে বিনিয়োগের সুযোগ থাকেনা এবং বাজারবান্ধব কার্যক্রম পরিচালনার উৎসাহ হারিয়ে যায় বলে মার্চেন্ট ব্যাংকাররা মনে করছেন। বেশ কয়েকটি মার্চেন্ট ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বললে তারা এসব কথা জানান। 

মার্চেন্ট ব্যাংকারদের মতে, প্যারেন্ট বা অন্য কোম্পানি থেকে ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করার কারণে মার্চেন্ট ব্যাংকের বিনিয়াগে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা নিশ্চিত হয় না। কারণ, ঋণ দানকারী কোম্পানিগুলো তাদের বরাদ্দকৃত অর্থ ফিরে পেতে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে নির্ধারিত সময় পর পর চাপ দিয়ে থাকে। ফলে এতে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে বিনিয়োগের বিষয়ে অত্যন্ত হিসেবি থাকতে হয়। পাশাপাশি বাজারে দীর্ঘমন্দা চলতে থাকলে এসব প্রতিষ্ঠান এক রকম বিপদে পড়ে যায়। ঋণ ফেরত দেয়ার চাপ না থাকলে মার্চেন্ট ব্যাংকের বিনিয়োগ আরো নিরপেক্ষ হবে বলে মনে করেন মার্চেন্ট ব্যাংকাররা।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, সাধারণত: যেসব মার্চেন্ট ব্যাংক প্যারেন্ট কোম্পানি ছাড়া অন্য প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে লোন নিয়ে বিনিয়োগ করে তাদের ক্ষেত্রে চাপ বেশি। ঋণ দেয়া প্রতিষ্ঠানগুলো সব সময় চাপের মধ্যে রাখে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে। একই অবস্থা বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউজগুলোতেও।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি মোহাম্মদ এ হাফিজ সাংবাদিকদের বলেন, মার্চেন্ট ব্যাংক প্যারেন্ট কোম্পানির পক্ষ থেকে এক ধরনের চাপে থাকে। এসব কোম্পানি থেকে লোন নিয়ে বিনিয়োগ করার কারণে চাপ দিয়ে থাকে কোম্পানিগুলো। তবে এ চাপ না থাকলে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মার্চেন্ট ব্যাংকের সক্রিয়তা আরো বাড়বে।

একই প্রসঙ্গে একটি মার্চেন্ট ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বলেন, যে কোনো বিনিয়োগের মূল উদ্দেশ্য মুনাফা করা। প্যারেন্ট কোম্পানিগুলো সে উদ্দেশ্যেই আমাদের ঋণ দেয়। পাশাপাশি একই কারণে আমরাও শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করি। আর মুনাফা করতে পারলে যত দ্রুত সম্ভব আমরা সে ঋণ ফেরত দেবার চেষ্টা করি। এর ওপর যদি আমাদের ঋণ ফেরত দেবার চাপ দেয়া হয় তা অনেক ক্ষেত্রেই বিনিয়োগ প্রভাবিত করে। এটি না থাকলে মার্চেন্ট ব্যাংকের সক্ষমতা আরো বাড়বে।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান বাজার পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসায় অনেক অচল পোর্টফলিও সচল হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের অনেকে লেনদেন করে কিছুটা মুনাফা করতে পারায় লোনের অর্থ ফেরত দিচ্ছেন। এছাড়া পুন:অর্থায়ন তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা পুনরায় লোন পেলে তাদের সক্রিয়তা আরো বাড়বে। ফলে বিনিয়োগকারীদের একাউন্টে আটকে যাওয়া লোনের কিছুটা হলেও ফেরত আসবে। এতে করে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো প্যারেন্ট কোম্পানির লোন ধীরে ধীরে ফেরত দিতে পারবে। - See more at: http://www.sharenews24.com/index.php?page=details&nc=02&news_id=28942#sthash.4x7DAb7T.dpuf
Read more…

ফারইষ্ট লাইফের লভ্যাংশ ঘোষণা

৯/০৮/২০১৩ ১১:৪৩:০০ PM |

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর ২০১২ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০ শতাংশ নগদ ও ১৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার প্রদানের সুপারিশ করেছে। কোম্পানি সচিব মি. আজিজ শেয়ারনিউজ২৪.কমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২ অক্টোবর বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহবান করা হয়েছে। আর এ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ সেপ্টেম্বর।

কোম্পানিটি এর আগের বছর শেয়ারহোল্ডারদের ১২.৫০ শতাংশ নগদ ও ২৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার প্রদান করে।
Read more…

আইসিবির বোর্ড সভা ১২ সেপ্টেম্বর

৯/০৪/২০১৩ ০৪:৩৮:০০ PM |
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) পরিচালনা পর্ষদের বোর্ড সভা আগামী ১২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, ওই দিন প্রতিষ্ঠানটির বোর্ড সভা বিকাল ৩টা ৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩০ জুন ২০১৩ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করা হতে পারে। আগের বছর প্রতিষ্ঠানটি শেয়ারহোল্ডারদের ২৫ শতাংশ নগদ ও ২৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিলো। - See more at: http://sharenews24.com/index.php?page=details&nc=45&news_id=28696#sthash.hCWffsy2.dpuf
Read more…

‘দেশের মানুষ আপনাদের ক্ষমা করবে না’

৯/০৩/২০১৩ ১২:০০:০০ AM |

গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস সম্পর্কে সম্প্রতি করা ক্ষমতাসীন সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী ও নেতার কিছু মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন গ্রামীণ ব্যাংকের নির্বাচিত পরিচালকরা।


গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচিত বোর্ড সদস্য তাহসিনা খাতুন ৯ নির্বাচিত পরিচালকের পক্ষে সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের ৮৪ লাখ সদস্যের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে উল্লেখ করেন।

ইউনূস সম্পর্কে এ ধরনের বক্তব্যকে ‘আক্রমণাত্মক’, ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ ও ‘বিষোদগারমূলক’ বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেন তাহসিনা খাতুন।

বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ীকে জনসমক্ষে হেয় করার, তার সম্মান নষ্ট করার অপচেষ্টা যে প্রকারান্তরে জাতি হিসেবে আমাদের নিজেদেরকেই ছোট করা- তা বোঝার ক্ষমতাও বোধ হয় এসব নেতা-মন্ত্রীদের নেই। 

আমরা এই নেতা-মন্ত্রীদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি- জাতিকে আর ছোট করবেন না। দেশের প্রকৃত সমস্যাগুলো সমাধানের প্রতি মনোযোগী হোন, নইলে দেশের মানুষ আপনাদের ক্ষমা করবে না।

বিবৃতিতে বলা হয়, একজন মন্ত্রী জনসভায় বলেছেন যে, ড. ইউনূস নাকি সুদখোর এবং মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে যুক্ত। দেশের বর্তমান সরকার প্রধানও ইতিপূর্বে ড. ইউনূসকে আকারে ইঙ্গিতে সুদখোর বলেছেন। 

বিবৃতিতে প্রশ্ন তোলা হয়, কিন্তু ড. ইউনূসতো ব্যাংকের মালিক নন, তাহলে তিনি সুদখোর হলেন কিভাবে? সুদ খেলে মালিকরা খেতে পারেন। সে হিসেবে সরকারই বরং তার অংশ নিচ্ছে।

তাছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক, পিকেএসএফ, গ্রামীণ ব্যাংক রিভিউ কমিটি- সকলেই এই মত ব্যক্ত করেছে যে, বাংলাদেশে ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে গ্রামীণ ব্যাংকই সবচেয়ে কম সুদ নিয়ে থাকে। মন্ত্রী মহোদয় নিশ্চয়ই এটা জানেন। এরপরও ড. ইউনূস সম্পর্কে এ ধরনের সস্তা বক্তব্য যে একান্ত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, তা বলার বলার অপেক্ষা রাখে না। 

বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়, গ্রামীণ ব্যাংক ও ড. ইউনূস বিষয়ে গত দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয় ও এনবিআর তদন্ত করেছে ও করছে এবং এ পর্যন্ত মানিলন্ডারিং, অর্থ আত্মসাৎ বা তহবিল অপব্যবহার জাতীয় কোনো অনিয়ম তারা খুঁজে পায়নি। 

গ্রামীণ ব্যাংক বা ড. ইউনূস প্রতিষ্ঠিত ‘গ্রামীণ’ নামের কোনো কোম্পানীতে ড. ইউনূসের কোনো শেয়ার বা অংশীদারিত্বও নেই। এরপরও জনসভায় এ ধরনের কথা বলাটা ড. ইউনূস সম্পর্কে ব্যক্তিগত বিষোদগার ছাড়া আর কিছু নয় বলেও মন্তব্য করা হয় বিবৃতিতে।

তাহসিনা খাতুন বলেন, সরকার সম্প্রতি গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালক নির্বাচন বিধি পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংকের বর্তমান পরিচালক নির্বাচনী বিধি দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে ব্যাংকের ৮৪ লাখ সদস্যের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে আসছে এবং ব্যাংকের জন্য একটি কার্যকর, দায়িত্বশীল ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ে তুলতে সহায়তা করেছে। সরকার নতুন যে নির্বাচনী বিধি চালু করতে চাচ্ছে, তাতে গ্রামীণ ব্যাংকে শুধু রাজনীতিই নয়, দুর্নীতিও ঢুকবে, ধ্বংস হয়ে যাবে এই ব্যাংক বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। 

তার দাবি, আমরা এই প্রস্তাবিত নির্বাচনী বিধির তীব্র বিরোধিতা করছি এবং এটা কার্যকর না করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, একজন মন্ত্রী বলেছেন, ড. ইউনূস রাজনীতিবিদ, তবে রাজনীতিবিদের পোষাক পরেন না।

মন্ত্রীর কথায় মনে হচ্ছে, এদেশে দু’ধরনের মানুষ আছেন- যারা রাজনীতি বিষয়ে কথা বলতে পারবেন ও যারা রাজনীতি বিষয়ে কথা বলতে পারবেন না। একটি গণতান্ত্রিক দেশে জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস এবং দেশ পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যেকোনো বিষয়ে কথা বলার অধিকার যেকোনো নাগরিকের আছে। 

মন্ত্রী জণগণের মধ্যে যে বিভাজন তৈরি করেছেন তাকে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং এটা জনগণ সম্পর্কে তার উন্নাসিক ও নেতিবাচক মনোভাবই প্রকাশ করে বলেও মন্তব্য করা হয় বিবৃতিতে।

অপর একজন মন্ত্রী বলছেন, ড. ইউনূস নাকি খানকাহ শরীফ খুলে বসেছেন, হেকিমি দাওয়াই দিচ্ছেন। 

সে প্রসঙ্গ তুলে গ্রামীণ ব্যাংকের এই নারী পরিচালক বলেন, এখন থেকে প্রায় ৪০ বছর আগে বাংলাদেশের এক কোনে এক অজ পাড়াগাঁয়ে পায়ে হেঁটে হেঁটে ড. ইউনূস গ্রামের দরিদ্র মানুষদের সংগঠিত করেছেন। গ্রামের বাজারে, চায়ের দোকানে গরিব মানুষদের সঙ্গে মিটিং করেছেন, গরিব মহিলাদের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

তাদের সমস্যার কথা শুনেছেন, সমাধানের উপায় খুঁজেছেন। কোথাও কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখলে ছুটে গেছেন। তারই পরিণতি আজকের এই গ্রামীণ ব্যাংক। 

রাজধানীতে সুরম্য অট্টালিকায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে মিটিং করে গ্রামীণ ব্যাংকের জন্ম হয়নি, যার মডেল আজ পৃথিবীর প্রায় সকল দেশে অনুসরণ করা হচ্ছে। ড. ইউনূসের ‘হেকিমি দাওয়াই’ ছাড়া নোবেল বিজয়ী এই প্রতিষ্ঠানের জন্ম হতো না।

বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি ড. ইউনূস বলেছেন, নির্দলীয় সরকার ছাড়া এই মুহূর্তে দেশে কোনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। তার এই বক্তব্যকে ক্ষমতাসীন দলের কোনো কোনো মন্ত্রী সরকার বিরোধিতা, সংবিধান বিরোধিতা, এমনকি রাষ্ট্র বিরোধিতা বলে তাকে জেলে পাঠানোরও সুপারিশ করেছেন! এই মন্ত্রীরা জানেন না বা জানতে চান না যে, দেশের অধিকাংশ মানুষের মতামতই ড. ইউনূসের কথায় প্রতিফলিত হয়েছে।

একজন মন্ত্রী বলেছেন, ড. ইউনূস জাতির কোন দুর্যোগে কখনো এগিয়ে যান না। শহীদ মিনার বা স্মৃতিসৌধে যান না। তিনি রানা প্লাজায়ও যাননি।

তাহসিনা এ বক্তব্যের জবাবে বলেন, আমরা অবাক হয়ে যাই মন্ত্রী মহোদয়ের অপপ্রচারে। ড. ইউনূস আজীবন ব্যক্তিগত প্রচার এড়িয়ে চলেছেন। শহীদ মিনার ও স্মৃতিসৌধে তার ছবি অনেকেই দেখেছেন, পত্রিকায়ও এসব ছবি ছাপা হয়েছে। দেশের প্রতিটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় তার ও তার গ্রামীণ ব্যাংকের অবদান আছে। রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর পরই তিনি সেখানে ত্রাণ কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন, শ্রমিকদের দীর্ঘ মেয়াদী কল্যাণের জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন। তার লেখা প্রবন্ধ দেশে ও বিদেশের পত্রিকায় ছাপানো হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি আন্তর্জাতিক উদ্যোগও সৃষ্টি করেছেন। 

দুর্ভাগ্যের বিষয়, আমাদের এই মন্ত্রীরা এসব চোখে দেখেন না, অথচ বর্তমান রাজনৈতিক সমস্যা সমাধানের জন্য ড. ইউনূস যখন কথা বলতে গেলেন তখন তারা তাকে ‘রাজনৈতিক’, ‘দলীয়’, এমনকি ‘রাষ্ট্রদ্রোহী’ বানিয়ে ফেলতেও কুণ্ঠাবোধ করলেন না!

কোনো কোনো মন্ত্রী বলছেন, ড. ইউনূসের জন্য নাকি এদেশে বিদেশি সাহায্য আসছে না। তার জন্য নাকি পদ্মাসেতুতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধ হয়ে গেছে। কোন কারণে বিশ্ব ব্যাংক পদ্মাসেতুতে অর্থায়ন থেকে বিরত হলো সে ‘আবুল কাহিনী’ দেশের কার না জানা আছে?

তারপরও ড. ইউনূসের কাঁধে দায়িত্ব চাপানোর যে চেষ্টা সেটা যে খুবই অসহায় চেষ্টা, তা বুঝতে কারো দেরি হয়নি বলেও মন্তব্য করা হয় বিবৃতিতে।

তিনি বলেন, ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক তৈরি করে এদেশের লাখ লাখ দরিদ্র পরিবারের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং এদেশের লাখ লাখ দরিদ্র নারীর ক্ষমতায়নের পথ প্রশস্ত করেছেন। তার গ্রামীণ ব্যাংকের জন্য এদেশ নোবেল পুরস্কার অর্জন করেছে। তার সম্পর্কে কোনো কটূক্তি বা তার বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং আমরা এদেশের নারী সমাজের পক্ষ থেকে এর তীব্র বিরোধিতা করছি। 

Read more…

বিও খুলতে রাউটিং, গ্রাহক পেমেন্টে অনলাইনে

৯/০২/২০১৩ ১১:৫৪:০০ PM |

পুঁজিবাজারে বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট (বিও) খুলতে গ্রাহকের ব্যাংক স্টেটমেন্টের ব্যবহার বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে বিও খুলতে চেকের রাউটিং নম্বর (চেকের বামদিকে ব্যাংকের শাখার সঙ্গে যে নম্বর থাকে) বাধ্যতামূলক করায় ব্যাংক স্টেটমেন্ট অনেকটাই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
 
সূত্র জানায়, আগস্ট মাস থেকে বিও হিসাব খুলতে রাউটিং নম্বর বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। রাউটিং নম্বর ছাড়া সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) কোনো বিও হিসাব গ্রহণ করছে না।
 
আর গ্রাহকের ব্যাংক স্টেটমেন্টে রাউটিং নম্বর না থাকায় ব্রোকারেজ হাউজগুলো (যাদের ডিপি লাইসেন্স আছে) ব্যাংক স্টেটমেন্ট নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। 
এজন্য বর্তমানে কোনো গ্রাহক বিও হিসাব খুলতে আসলে গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবের রাউটিং নম্বরের জন্য ব্যাংক স্টেটমেন্টের পরিবর্তে ব্রোকারেজ হাউজ কর্তৃপক্ষ চেকের ফটোকপি নিচ্ছেন। তবে কোনো কোনো ব্রোকারেজ হাউজ চেকের ফটোকপিও নিচ্ছেন না। শুধু নম্বরটি লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে। 
 
সূত্র আরও জানায়, লেনদেনের সুবিধার্থে শিগগিরই শেয়ারবাজারে পেমেন্টের (শেয়ার বিক্রির পর গ্রাহক ব্রোকারেজ হাউজ থেকে টাকা উঠাতে চাইলে) ক্ষেত্রে চেকের ব্যবহার বন্ধ হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে রাউটিং নম্বর ব্যবহার করে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবে টাকা জমা হয়ে যাবে।


যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিএসইসি থেকে ব্যাংক স্টেটমেন্টের পরিবর্তে রাউটিং নম্বর নেওয়ার বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তবে বিও হিসাব খোলার সময় গ্রাহকের কেওয়াইসি (নো ইওর ক্লায়েন্ট) ফরম পূরণ করতে হবে। এক্ষেত্রে যে যে তথ্য লাগবে তা অবশ্যই ব্রোকারেজ হাউজকে সংগ্রহ করতে হবে।’
 
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সভাপতি আহসানুল ইসলাম টিটু বাংলানিউজকে বলেন, ‘গ্রাহক ডিপি হাউজের মাধ্যমে বিও হিসাব খুলে থাকে। এটি নিয়ন্ত্রণ করে সিডিবিএল। সুতরাং বিও হিসাব খুলতে কি লাগবে না লাগবে তা সিডিবিএলই নির্ধারণ করবে।’
 
সিডিবিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম এইচ সামাদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘বাংলাদেশ বাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী বিও হিসাব খুলতে গ্রাহকের রাউটিং নম্বর নেওয়া হচ্ছে। যা উন্নত বিশ্বে চালু আছে।’
 
ব্রোকারেজ হাউজ থেকে গ্রাহকের পেমেন্টের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ব্যাংকে অনলাইন চালু হলে রাউটিং নম্বর ব্যবহার করেই গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবে টাকা পাঠানো যাবে। এক্ষেত্রে ব্রোকারেজ হাউজকে আর গ্রাহকের পেমেন্টের জন্য চেক ইস্যু করতে হবে না।’ 

উন্নত বিশ্বের এই প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে আমাদের দেশেও চালু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।


Read more…

ADS