‘বিশ্বজয়ের’ মানব-পতাকা

১২/১৭/২০১৩ ১২:৩০:০০ PM |

৪২ বছর আগে যে দিনটিতে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে বিজয় পেয়েছিল, সেই দিনটিতে আরো এক বিজয়ের জন্য এই আয়োজন।  
গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের অনুমোদিত পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতিতে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড়’ মানব পতাকা তৈরির এ আয়োজনের উদ্যোক্তা মোবাইল ফোন অপারেটর রবি। আর ‘লাল-সবুজের বিশ্বজয়’ শিরোনামে এ আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতায় ছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
রবির কমিউনিকেশনস কর্মকর্তা তালাত কামাল জানান, গিনেসের সব নিয়ম মেনে সুষ্ঠুভাবে মানব-পতাকা তৈরি হলো কি না, তার প্রমাণ হিসাবে তথ্য ও ছবি পাঠাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত অডিট প্রতিষ্ঠান। নতুন রেকর্ড হলে গিনেস কর্তৃপক্ষই সে ঘোষণা দেবে।
সশস্ত্রবাহিনীর আট হাজার সদস্যের সহযোগিতায় সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর অংশগ্রহণে এই মানব পতাকা তৈরি শুরু হয় সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। অংশগ্রহণকারীদের অধিকাংশই বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থী। 
কয়েক দফা মহড়ার পর বেলা ১টা ৩৬ মিনিটে শুরু হয় চূড়ান্ত চেষ্টা। লাল-সবুজের টুকরোগুলো ছয় মিনিট ১৬ সেকেন্ড মাথার ওপর তুলে রাখে স্বেচ্ছাসেবীরা।
এ সময় মঞ্চ থেকে বেজে ওঠে গান- ‘বিজয়-নিশান উড়ছে ওই…’। আর এর মধ্যে দিয়েই  তৈরি হয় ‘লাল সবুজের বিশ্বজয়ের’ মঞ্চ।
অংশগ্রহণকারীর সংখ্যার দিক দিয়ে গিনেস বুকে এর আগের রেকর্ডটি পাকিস্তানের। গত বছর  ২১ অক্টোবর লাহোর হকি স্টেডিয়ামে ওই মানব-পতাকার অংশ হয়েছিলেন ২৪ হাজার ২০০ পাকিস্তানি।
আয়োজকদের দাবি অনুযায়ী, ঢাকার মানব-পতাকা লাহোরের অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে। এখন গিনেস কর্তৃপক্ষের রায় পেলেই একাত্তরের বিজয়ের দিনে পাকিস্তানের বিপক্ষে আরেকটি বিজয় পাবে বাংলাদেশ।
সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশনের অধিনায়ক মেজর জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী বলেন, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মানব পতাকা তৈরির মাধ্যমে বিশ্বের কাছে আমাদের জাতীয় ঐক্য তুলে ধরতেই এ চেষ্টা।
Read more…

ফের অবরোধ ডেকেছে ১৮ দল

১২/১৭/২০১৩ ০১:৪৭:০০ AM |
মাঝে কয়েকদিন বিরতির পর নির্দলীয় সরকার ও নির্বাচন স্থগিতের দাবিতে আবার তিন দিন অবরোধ ডেকেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দল।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।
এর আগে তিন সপ্তাহে তিন দফা অবরোধ করেছিল বিরোধী দল। এবার চতুর্থ দফা ৭২ ঘণ্টা অবরোধের ডাক দেয়া হল।
আগের মতো এবারো রাজপথ-রেলপথ-নৌপথ অবরোধ করা হবে বলে জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য।
গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিকালে এই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “দেশের বৃহত্তর স্বার্থে জনগণ স্বতস্ফূর্তভাবে শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচি সফল করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।”
গত ২৫ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ২৬ নভেম্বর থেকে তিন দফায় মোট ১৪ দিন অবরোধে সংঘাতে ৭৫ জনের বেশি নিহত হয়েছে।
এর আগের অবরোধ কর্মসূচি গত শুক্রবার সকালে শেষ হলেও এর পরের কার্যদিবস রোববার হরতাল ছিল ১৮ দলের জোট শরিক জামায়াতে ইসলামীর।
যুদ্ধাপরাধী আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকরের প্রতিবাদে বিজয় দিবসের আগের দিন জামায়াতের হরতাল শেষে বিজয় দিবসের পরদিন থেকে আবার অবরোধ শুরু হচ্ছে।
অবরোধে সহিংসতার জন্য সরকারকে দায়ী করে নজরুল বলেন, সরকার ‘জনগণের দাবি’ মেনে নেয়ার ঘোষণা দিলেই কর্মসূচি স্থগিত করা হবে।


১৮ দলের বিরোধিতার মধ্যেই নির্বাচনে এগিয়ে চলছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। নির্বাচন স্থগিত না করলে আরো কঠোর কর্মসূচি দেয়ার হুমকি রয়েছে বিএনপির।
এর মধ্যেই গত শনিবার এক সভায় বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্মসূচির নামে সহিংসতা ‘সহ্য’ না করার ঘোষণা দিয়ে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার হুঁশিয়ারি দেন।  
নজরুল বলেন, “সরকার প্রহসনের নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে। গণদাবিতে অগ্রাহ্য করে বিরোধী দলকে বাইরে রেখে
পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে ১৫৪ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করতে যাচ্ছে।  
“ভোটারবিহীন নির্বাচনের কথা আমরা শুনেছি। এবার অবাক বিস্ময়ে বিশ্ব দেখল প্রার্থীবিহীন নির্বাচন।”
অবরোধের কর্মসূচিতে সরকার দাবি মানবে বলে মনে করেন কি না- এই প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম বলেন, “আমরা মনে করেছিলাম, এতদিন কর্মসূচি করতে হবে না। সরকার জনগনের ন্যায্য দাবি মেনে নেবে।
“এখনো আশা করব, সরকার বাস্তবতা অনুধাবন করে যুক্তির পথে আসবে। জনগণেরর দাবি মেনে নেবে।”
Read more…

প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের শেয়ার নিয়ে কারসাজির অভিযোগ!

১২/১৬/২০১৩ ১১:৫২:০০ PM |
শেয়ারবাজারে সদ্য তালিকাভুক্ত প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল লিমিটেডের শেয়ার লেনদেনে কারসাজির অভিযোগ উঠেছে বিনিয়োগকারী ও বাজার সংশ্লিষ্টদের মধ্যেথিউরিটিক্যাল অ্যাডজাস্টমেন্ট দরের চেয়ে বেশি দরে শেয়ার লেনদেন হওয়ার কারণেই বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এ অভিযোগ উঠেছেআর ঘোষিত বোনাস শেয়ার ফ্রি করতেই এ কারসাজি করা হয়েছে বলে দাবি তাদেরএতে কোম্পানি কর্তৃপক্ষও জড়িত বলে ধারণা করছেন তারা

বিনিয়োগকারী ও বাজার সংশ্লিষ্টরা অভিযোগ করছেন, গত কিছু দিন থেকেই এ শেয়ারটি নিয়ে কারসাজি করছে বলে স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছেপ্রতিদিনিই শেয়ারটি টপ টেনর এক নম্বর থেকে তিন নম্বরের মধ্যেই অবস্থান করছেকারসাজি চক্র জড়িত না থাকলে এভাবে শেয়ারটির লেনদেনে উল্লম্ফন হতে পারে নাএ কারসাজির সাথে কোম্পানির লোকজন সরাসরি জড়িত বলে তারা অভিযোগ করছেন
রেকর্ড ডেটের আগের কার্যদিবসে ৬৭.৫০ টাকা এবং পরের কার্যদিবসে ৬৬.১০ টাকায় স্থির হয়েছে কোম্পানির শেয়ার দরমাত্র এক কার্যদিবসের ব্যবধানে কোম্পানির বোনাস শেয়ার প্রায় ফ্রি হয়ে গেছেআর তালিকাভুক্তির পর এ কোম্পানির শেয়ার দর সর্বোচ্চ ৬৯.৪০ টাকায় উঠেছেআর ৩.৩০ টাকা বাড়লে সর্বোচ্চ দরের ক্রেতারাও বোনাস ফ্রি হয়ে যাবেনঅর্থাৎ যে দরে শেয়ার কিনেছেন সে দরেই বিক্রি করতে পারবেনমাঝখানে বোনাস শেয়ারগুলো ফ্রি পাবেনকারসাজির কারণে এ ধরনের প্রত্যাবর্তন সম্ভব হয়েছে- এমন দাবি বিনিয়োগকারী ও বাজার সংশ্লিষ্টদের


কোম্পানিটি গত ৩০ জুন ২০১৩ অর্থবছরের জন্য ১২ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছেগত ১২ ডিসেম্বর কোম্পানির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ছিলএর আগের দিন এ কোম্পানির শেয়ার দর ছিল ৬৭.৫০ টাকাঅর্থাৎ থিউরিটিক্যাল অ্যাডজাস্টমেন্টে কোম্পানির শেয়ার দর ৬০.৩০ টাকা হওয়ার কথাকিন্তু অ্যাডজাস্টমেন্টের পরের কার্যদিবসে এর লেনদেনই শুরু হয় ৬৫ টাকা থেকেঅর্থাৎ শেয়ার দর ৬০.৩০ টাকা হলেও তা লেনদেন হয়েছে ৬৫ টাকায়
সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেও লেনদেন শেষে আগের দিনের তুলনায় দর কমেছেথিউরিটিক্যাল অ্যাডজাস্টমেন্ট হয়ে দর ও বিক্রেতা কমলেও লেনদেন হয়েছে ২৫ লাখ ৩৯ হাজার ৭৫০টি শেয়ারদর কমার পরও বড় অঙ্কের শেয়ার লেনদেন হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শঙ্কা দেখা দিয়েছেঅনেকেই কম দরে এ শেয়ার বিক্রি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা
একটি কোম্পানির শেয়ার সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ সীমা অতিক্রম করলে সাধারণত আগের দিনের তুলনায় দর বাড়তে দেখা যায়কিন্তু প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের শেয়ার নিয়ে ঘটেছে ভিন্ন ঘটনামূলত রেকর্ড ডেট তথা থিউরিটিক্যাল অ্যাডজাস্টমেন্টের কারণে এমনটি হয়েছেএদিন এ কোম্পানির শেয়ারের সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ সীমা ছিল ৬৬.২০ টাকাআর আগের কার্যদিবসে কোম্পানির শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ৬৭.৫০ টাকাতাই ৬৬.২০ টাকা দরে শেয়ার লেনদেন হলেও আগের দিনের চেয়ে কম দরে লেনদেন হয়েছে
রেকর্ড ডেটের পরের কার্যদিবসে লেনদেনের এক পর্যায়ে এ শেয়ারের দর ৬৬.১০ টাকায় উঠে যায়অর্থাৎ মাত্র এক কার্যদিবসের ব্যবধানে কোম্পানির বোনাস প্রায় ফ্রি হয়ে গেছেবিনিয়োগকারী ও বাজার সংশ্লিষ্টরা বিষয়টিকে অস্বাভাবিক হিসেবেই দেখছেনইতিমধ্যে কোম্পানির পিই রেশিও ২০.২১ হয়েছে 
কোম্পানিটির সর্বশেষ কার্যদিবসের লেনদেন পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, এদিন কোম্পানির শেয়ারের ওপেন প্রাইস ছিল ৬৫ টাকা আর সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ সীমা ছিল ৬৬.২০ টাকাএদিন ৬২.৭০ থেকে ৬৬.২০ টাকায় লেনদেন হয়ে সর্বশেষ দর দাঁড়ায় ৬৬.১০এর আগের কার্যদিবসে এ শেয়ারের সর্বশেষ দর ছিল ৬৭.৫০ টাকাসার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ সীমা স্পর্শ করেও আগের কার্যদিবসের তুলনায় শেয়ার দর কমেছে

বাজার সংশ্লিষ্টদের মতে, ওপেন প্রাইস বা প্রথম লেনদেন কে করেছে, তা বের করা খুব সহজআর তা খতিয়ে দেখলেই সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া সম্ভব হবেএকটি কোম্পানির শেয়ার অ্যাডজাস্ট হয়ে ৬০.৩০ টাকা হওয়ার কথা থাকলেও প্রথমে সেটি ৬৫ টাকায় কেনার ফলেই তার ওপেন প্রাইস হয়েছে ৬৫ টাকাএখন এ দরে কে এবং কেন এ শেয়ার কিনেছে তা বের করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার খুব বেগ পেতে হবে নাবিষয়টি খতিয়ে কারণ উদঘাটন করে বিনিয়োগকারীদের সঠিক তথ্য প্রদান করা প্রয়োজনচোখের সামনে এ ধরনের অস্বাভাবিক আচরণ দেখলে বিনিয়োগকারীরা নিয়ন্ত্রক সংস্থার পাশাপাশি স্টক এক্সচেঞ্জের প্রতিও আস্থা হারিয়ে ফেলবে
Read more…

পুন:অর্থায়নের টাকা বন্টন আবেদনের সময় বাড়লো দ্বিতীয় দফা

১২/১৬/২০১৩ ১১:৪৮:০০ PM |
ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য পুন:অর্থায়নের ছাড়কৃত ৩০০ কোটি টাকা বন্টনের আবেদনের সময় আবার বাড়ানো হয়েছেআবেদনের সময় ১৫ দিন বাড়িয়ে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছেপুন:অর্থায়ন তদারকিকমিটির প্রধান ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান

এর আগে চলতি মাসের ১ তারিখ বিএসইসি কার্যালয়ে এক বৈঠকে ১৫ দিন সময় বাড়িয়ে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়এ সময় শেষ হলে দ্বিতীয় দফার এর মেয়াদ ১৫ দিন বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে

পুন:অর্থায়নের সুবিধা নিতে গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় ১৬শ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকার আবেদন জমা পড়েছেপ্রয়োজনের তুলনায় আবেদন অনেক কম হওয়ায় এর মেয়াদ বাড়ানো সিদ্ধান্ত নেয় পুন:অর্থায়ন তদারকি কমিটি

চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এ টাকা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিতরণ করা গেলে পরবর্তিতে কিস্তির টাকা সহজেই ব্যবহার করা সম্ভব হবেএতে আগামী ২০১৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এ টাকা উত্তোলন সম্ভব হবেতাই কমিটি চলতি বছরের মধ্যে এ টাকা বিতরনের ক্ষেত্রে ইতিবাচক পদক্ষেপের পক্ষে রয়েছে

জানা যায়, গত ২৬ আগস্ট পুন:অর্থায়ন তহবিলের প্রথম কিস্তির ৩০০ কোটি টাকা ছাড় করে বাংলাদেশ ব্যাংকতহবিলের বাকি ৬০০ কোটি টাকা পরবর্তীতে সমান দুই কিস্তিতে ছাড় করা হবেএর আগে ২২ আগস্ট অর্থ ছাড়ের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএসইসি ও আইসিবির মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয় 

এরপর পুন:অর্থায়ন তহবিল অর্থ ব্যবহার তদারক করতে কমিটি গঠন হয়বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো: সাইফুর রহমানকে আহ্বায়ক করে গঠিত এ কমিটির সদস্য সংখ্যা পাঁচ জনকমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল ইসলাম, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) মহাব্যবস্থাপক নাসিরউদ্দিন আহমেদ, বিএসইসির পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম ও আইসিবির উপ-মহাব্যবস্থাপক তারেক নিজামউদ্দিন আহমেদপ্রথমে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হলেও ২ সেপ্টেম্বর তা বাড়িয়ে পাঁচ করা হয় 
Read more…

এমারেল্ড অয়েলের টাকা সংগ্রহ শুরু ৬ জানুয়ারি

১২/১৫/২০১৩ ১০:১৮:০০ PM |
শেয়ারবাজারে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অনুমোদন পাওয়া এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের টাকা সংগ্রহ শুরু হবে আগামী ৬ জানুয়ারি থেকে। কোম্পানির শেয়ার বিভাগের কর্মকর্তা মেহেরুন্নেচ্ছা শেয়ারনিউজ২৪ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটির আইপিওতে টাকা গ্রহণ আগামী ৬ জানুয়ারি শুরু হবে এবং শেষ হবে ১২ জানুয়ারি। তবে প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের জন্য এ সুযোগ থাকবে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত।
আইপিওর মাধ্যমে এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড শেয়ারবাজারে ২ কোটি শেয়ার ছেড়ে ২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। এ জন্য কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা।
কোম্পানিটি সংগৃহীত টাকায় মূলধন বাড়ানো, আইপিও খাতে ব্যয়সহ মেয়াদি ঋণ পরিশোধে ব্যয় করবে।
৩০ জুন ২০১৩ আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এমারেল্ড অয়েলের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২.৮৫ টাকা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ১৪.০৬ টাকা।
এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ইস্যু ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে রয়েছে অ্যালায়েন্স ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড।
এর আগে গত ১৯ নভেম্বর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজের আইপিও অনুমোদন করে।
Read more…

মতিন স্পিনিংয়ের আইপিও অনুমোদন

১২/১৫/২০১৩ ১০:০৬:০০ PM |
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) মতিন স্পিনিং মিলস লিমিটডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদন করেছে। বিএসইসির ৫০২ তম সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, কোম্পানিটি শেয়ারবাজারে ৩ কোটি ৪১ লাখ শেয়ার ছেড়ে ১২৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা সংগ্রহ করবে। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের সঙ্গে ২৭ টাকা প্রিমিয়ামসহ শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৭ টাকা।
৩০ জুন ২০১৩ সমাপ্ত বছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩.৪৩ টাকা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ৩৫.৭৩ টাকা।
কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
Read more…

পাওয়ার গ্রিডের আর্থিক প্রতিবেদনে অসঙ্গতি পেয়েছে অডিট প্রতিষ্ঠান

১২/১৫/২০১৩ ১০:০১:০০ PM |

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অসঙ্গতি খুঁজে পেয়েছে অডিট প্রতিষ্ঠান। ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের প্রতিবেদনে এ অসঙ্গতি ধরা পড়ে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রে জানা যায়, কোম্পানির নিরীক্ষক ৩০ জুন ২০১৩ সমাপ্ত বছরের জন্য প্রস্তুতকৃত নিরীক্ষা প্রতিবেদনে নিম্নোল্লিখিত 'কোয়ালিফাইড অপিনিয়ন' অনুচ্ছেদ প্রদান করা হয়েছে। এতে বলা হয়, উদ্বৃত্তপত্রে বর্ণিত স্থায়ী সম্পদের লিপিবদ্ধকৃত মূল্য ৪ হাজার ২১১ কোটি ৬২ লাখ ৯৫ হাজার ১৩৫ টাকা। কোম্পানি স্থায়ী সম্পদের হিসাব বহি সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করেনি। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) এবং ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কর্তৃপক্ষ (ডেসা) থেকে স্থানান্তরিত যন্ত্রপাতির মূল্যায়ন যথাযথভাবে করা হয়নি। এছাড়া ৩০ জুন ২০১৩ তারিখ অথবা নিরীক্ষা বছরের যে কোনো সময়ে স্থায়ী সম্পদের সত্যতা যাচাই করা যায়নি। ৩০ জুন ২০১৩ তারিখে স্থায়ী সম্পদের অস্তিত্বের সত্যতা এবং মূল্য যাচাই করার জন্য তাদের কাছে বাস্তবসম্মত বিকল্প কোনো নিরীক্ষা পদ্ধতি ছিল না। বাংলাদেশ অ্যাকাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ড (বিএএস) ৩৬ অনুযায়ী স্থায়ী সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি পরীক্ষা করতে হবে এবং সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় বর্ণনা দিতে হবে।

স্থায়ী সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি পরীক্ষা করার বিষয়ে কোম্পানির কোনো লিখিত নীতিমালা নেই এবং ক্ষয়ক্ষতি পরীক্ষা করা হয়নি। সম্পদ মূল্যায়ন করার জন্য কোম্পানি ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস ফার্মের সেবা গ্রহণ করছে, যা এখনো চলমান। আর্থিক প্রতিবেদনের নোট নং- ৫ এ উল্লেখ আছে যে, কোম্পানির বর্ণিত ক্যাপিটাল ওয়ার্ক-ইন-প্রোগ্রেস ৪ হাজার ৮৫১ কোটি ৩৩ লাখ ৩ হাজার ৪৪২ টাকা, যার মধ্যে ৫টি প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে। যার পরিমাণ ৮৪ কোটি ৭৬ লাখ ৩২ হাজার ১৭৯ টাকা। সম্পন্ন প্রকল্পগুলো অপারেশনে এসে রাজস্ব আয় করলেও স্থায়ী সম্পদে স্থানান্তর করা হয়নি। ফলে কোম্পানি এসব প্রকল্পের জন্য ১ কোটি ৪৮ লাখ ৩৩ লাখ ৫৬৩ টাকার অপচয় কম দেখিয়েছে। যে কারণে ২০১২-১৩ সালে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় বেশি দেখিয়েছে।

অন্যদিকে আর্থিক বিবরণীর নোট-৬ অনুযায়ী কোম্পানি ইনভেন্টরি খাতে দেখিয়েছে ১৬৫ কোটি ৮৫ লাখ ৮৫ হাজার ১৬৩ টাকা। অডিট ফার্মের পরিদর্শনকৃত কস্ট সেন্টারগুলোতে ইনভেন্টরি হিসাব যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়নি। যে কারণে ইনভেন্টরির বাস্তব অস্তিত্বের সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। ৩০ জুন ২০১৩ তারিখে ইনভেন্টরির বাস্তব অস্তিত্ব এবং মূল্য যাচাই করার জন্য ফার্মের কোনো বিকল্প নিরীক্ষা প্রক্রিয়া ছিল না। কিন্তু সম্পদ মূল্যায়ন করার জন্য কোম্পানিটি ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস ফার্মের সেবা গ্রহণ করে আসছে।

অডিট প্রতিষ্ঠানটি আরো উল্লেখ করে, ৩০ জুন ২০১৩ তারিখে অবশিষ্ট ঋণের ওপর মুদ্রা বিনিময় হারের ওঠানামাজনিত আয় ৬৪ কোটি ৫৮ লাখ ৮ হাজার ৫০৮ টাকা, যা লাভ-লোকসান হিসাবে লিপিবদ্ধ করার পরিবর্তে স্থায়ী সম্পদ থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ অ্যাকাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ড ২১-এর প্যারাগ্রাফ ২৮ অনুযায়ী মুদ্রা বিনিময় হারের ওঠানামাজনিত আয় লাভ-লোকসান হিসাবে লিপিবদ্ধ করতে হবে। কোম্পানি ২০১০-২০১১ সাল থেকে মুদ্রা বিনিময় হারের ওঠানামাজনিত আয়/ক্ষতি মূলধনীকরণ অথবা স্থায়ী সম্পদ থেকে বাদ দিয়ে দেখানোর যে নীতি গ্রহণ করেছে, তা বাংলাদেশ অ্যাকাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ড ২১-এর সংশ্লিষ্ট ধারার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। 

আর্থিক বিবরণীর নোট ৭ অনুযায়ী ট্রান্সমিশন/হুইলিং এবং অপটিক্যাল ফাইবার চার্জবাদ রিসিভঅ্যাবল বাবদ ১২৭ কোটি ৮৭ লাখ ৩২ হাজার ১৫২ টাকা লিপিবদ্ধ করেছে। এর মধ্যে ডিপিডিসির ২৯ কোটি ৬২ লাখ ৩১ হাজার ৬২ টাকা, ডেসকোর ১৭ কোটি ৩৫ লাখ ৯৬ হাজার ৬৪৮ টাকা এবং ডব্লিউজেডপিডিসিএলের কাছে ৮ কোটি ৮৪ লাখ ২ হাজার ৪৯৮ টাকা পাওনা রয়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরে হুইলিং চার্জ বিলের বিপরীতে আদায়কৃত অর্থের পরিমাণ খুব কম হওয়ার কারণে ২০০৮ সালের জুন মাস থেকে ডিপিডিসির কাছে পাওনার পরিমাণ ১৩ কোটি ৬৮ লাখ ৪৮ হাজার ৪০০ টাকা দেখানো হচ্ছে। ২০০৮ সালের জুন-পরবর্তী সময়ে ডিপিডিসি থেকে হুইলিং চার্জ বিলের বিপরীতে কম গ্রহণ করার কারণে ডেসার কাছে পাওনার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৫৭ লাখ ৬৯৮ টাকা। ডেসকোর কাছে পাওনার পরিমাণ ২০০৭ সাল থেকে ৩১ লাখ ৬ হাজার ২৩০ টাকা দেখানো হয়েছে। ডব্লিউজেডপিডিসিএলের কাছে পাওনা ২০০৭ সাল থেকে ৯ লাখ ৬৮ হাজার ১০ টাকা দেখানো হয়েছে। ডেসার কাছে রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত বাবদ রিসিভঅ্যাবল ২০১০ সাল থেকে ১০ কোটি ৪৭ লাখ ২২ হাজার ১৪ টাকা দেখানো হয়েছে। ভারতভিত্তিক আর্নেস্ট অ্যান্ড ইয়াং ডেসার কাছে পাওনা বাবদ রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত চার্জ রিসিভঅ্যাবলের ওপর একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে; কিন্তু কোম্পানি বিতর্কিত এ পরিমাণের জন্য সঞ্চিতি রাখেনি। 

অডিট প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে মতামতে জানায়, কোম্পানি বিতর্কিত অন্যান্য পাওনাও পুরোপুরি আদায় করতে পারবে না। উল্লিখিত পরিমাণের জন্য সঞ্চিতি রাখলে ২০১২-১৩ সালের শেয়ারপ্রতি আয় কম হতে পারতো।

আর্থিক বিবরণীর নোট নং- ১৯ অনুযায়ী বিপিডিবি কোম্পানির কাছে অন্যান্য অর্থায়নের জন্য পাওনা ৩৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকা এবং নোট নং- ১৯.৪ অনুযায়ী ৩০ জুন ২০১৩ তারিখে অন্যান্য অর্থায়নের জন্য দায় বাবদ চলতি হিসাবে ১০ কোটি ৪০ লাখ ৩২ হাজার ৪২১ টাকা অন্তর্ভুক্ত আছে। এ সংক্রান্ত দেনার মধ্যে বিপিডিবির কাছে ১০ কোটি ৬৪ লাখ ৫৪ হাজার ৯৮৮ টাকা এবং প্রকল্প-১ এ (২৪ লাখ ২২ হাজার ৫৬৭) টাকা রয়েছে। নোট নং- ১২.৩, নোট নং- ১২.৪ (এ) এবং নোট নং- ১৬ অনুযায়ী পিজিসিবিএলের কাছে বিপিডিবির পাওনার পরিমাণ ৮০ লাখ ৩ হাজার ৬৭০ টাকা, ৯৮৫ কোটি ৫৬ লাখ ৭৩ হাজার ৩৩ টাকা এবং ৮৮ কোটি ১৬ লাখ ৪৭ হাজার ৫০০ টাকা; কিন্তু বিপিডিবি থেকে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি বলে প্রতিষ্ঠানটি মন্তব্য করে। 

অন্যদিকে আর্থিক বিবরণীর নোট ১৪ অনুযায়ী কোম্পানির গ্র্যাচুইটি স্কিমটি আনফান্ডেড এবং কোম্পানির নীতি অনুযায়ী সঞ্চিতি রাখা হয়েছে। কিন্তু বিএএস ১৯ অনুযায়ী অ্যাকচ্যুয়ারিয়াল ভ্যালুয়েশন করা হয়নি বলে অডিট রিপোর্টে জানানো হয়।
Read more…

অবরোধের প্রভাব লেনদেনে

১২/০৭/২০১৩ ০৯:৩৭:০০ PM |
দেশের প্রধান বিরোধী দলের ডাকা অবরোধের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেনেঅবরোধকে কেন্দ্র করে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় বিনিয়োগকারীরা স্বাভাবিক লেনদেনে অংশগ্রহণ করতে পারেননিফলে এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন কমেছে ৩০ শতাংশতবে অধিকাংশ শেয়ারের দর বৃদ্ধিতে প্রধান মূল্যসূচকে বাড়তি কিছু পয়েন্ট যোগ হয়েছেঅন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) একই অবস্থা লক্ষ করা গেছে
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে স্বল্প মূলধনি কোম্পানির শেয়ারদরদ্রুত মুনাফার আশায় স্বল্প মূলধনি দুর্বল কোম্পানির প্রতি বিনিয়োগকারীর ঝোঁক বেড়েছেগত সপ্তাহে স্বল্প মূলধনি এসব শেয়ারের দর বেড়েছে গড়ে ৫ দশমিক ৭১ শতাংশপাশাপাশি বড় মূলধনি কোম্পানি হিসাবে পরিচিত ব্যাংকিং খাতের শেয়ারের দর বাড়ায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচকটি ইতিবাচক ধারায় ফিরে এসেছেযদিও আগের সপ্তাহে ব্যাংকসহ অধিকাংশ শেয়ারের দর কমায় ডিএসই ব্রড ইনডেক্সটির বড় পতন হয়েছিল
গত সপ্তাহের লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা যায়, আগের সপ্তাহের দরপতনের ধারাবাহিকতায় গত সপ্তাহের প্রথম দিন উভয় শেয়ারবাজারে সূচকের পতন হয়তবে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ থেকে সম্ভাব্য ক্ষতির বিপরীতে মার্চেন্ট ব্যাংক, স্টক ডিলার ও স্টক ব্রোকারের সঞ্চিতি (প্রভিশন) সংরক্ষণে আরো এক বছর সময় বাড়িয়ে দেয়ার ইতিবাচক প্রভাব দেখা যায় বাজারেএর ফলে পরবর্তী দুই দিন সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যায়কিন্তু নির্বাচন ঘিরে নতুন করে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়ায় সপ্তাহের শেষ দুই কার্যদিবসে সূচক কমে যায়যদিও সপ্তাহ শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচকটি ইতিবাচক ধারা বজায় রাখতে সক্ষম হয়
গত সপ্তাহে ডিএসইতে প্রায় ৬০ শতাংশ শেয়ারের দর বৃদ্ধিতে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের সপ্তাহের চেয়ে ৪৬ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট বেড়ে ৪২৭৭ পয়েন্টে দাঁড়ায়আগের সপ্তাহে এ সূচক ১৬৫ পয়েন্ট হারিয়েছিলতবে ডিএসই ৩০ সূচকটি আগের সপ্তাহের চেয়ে ৫ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট কমে যায়অন্য শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ১৪৩ পয়েন্ট বেড়ে ১৩২৪১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে
এদিকে প্রধান বিরোধী দলের ডাকা অবরোধে রাজনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি ও এরশাদের নির্বাচন বয়কটের ঘোষণায় নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছেএতে নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তার পাশাপাশি অবরোধে সহিংসতা বাড়ায় স্বাভাবিক যান চলাচল মারাত্মকভাবে বিঘ্ন ঘটেফলে শেয়ারবাজারে স্বাভাবিক লেনদেন কমে যায়গত সপ্তাহে ডিএসইতে কেনাবেচা হয়েছে ২ হাজার ১৪৩ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড, যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ৯৩৯ কোটি টাকা কমদৈনিক গড় লেনদেন আগের সপ্তাহে ৬১৬ কোটি টাকা হলেও গত সপ্তাহে তা ৪২৮ কোটি টাকায় নেমে এসেছেগত সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৭৮ কোটি টাকা, যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ৯২ কোটি টাকা কম
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া বিভিন্ন খাত বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে জীবন বীমা কোম্পানির শেয়ারদরএ খাতের কোম্পানি ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের দর বৃদ্ধিতে পুরো খাতটিতে গড়ে ৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ দর বেড়েছেদর বৃদ্ধির পরবর্তী তালিকায় রয়েছে স্বল্প মূলধনি দুর্বল কোম্পানির শেয়ারগত সপ্তাহে গড়ে এসব কোম্পানির শেয়ারদর ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ বেড়েছেসপ্তাহ শেষে ডিএসইর দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে ছয়টিই ছিল দুর্বল মৌলভিত্তির স্বল্প মূলধনি কোম্পানিএছাড়া আগের সপ্তাহের দরপতনের ধারা কাটিয়ে গত সপ্তাহে ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ছিল ব্যাংক খাতগত সপ্তাগে গড়ে এ খাতের শেয়ারের দর বেড়েছে ২ দশমিক ৬৪ শতাংশবিপরীতে গত সপ্তাহে জ্বালানি খাত সামান্য দর হারিয়েছে
এদিকে কয়েক মাসের মতো গত সপ্তাহেও লেনদেনের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে বস্ত্র খাতডিএসইর মোট লেনদেনের ২৩ শতাংশ হয়েছে এ খাতেরএছাড়া ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের লেনদেন বাড়ায় দ্বিতীয় শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে জীবন বীমা কোম্পানিগত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ১২ শতাংশ এসেছে এ খাত থেকেএর মধ্যে ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সে লেনদেন হয়েছে ২০২ কোটি টাকা, যা গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ
গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৯৫টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৬টির, কমেছে ৯৭টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টিরআগের সপ্তাহে ডিএসইতে ৮৩ শতাংশ শেয়ার দর হারিয়েছিলঅন্য শেয়ারবাজার সিএসইতে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া ২৪১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৫টির, কমেছে ৭৯টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টির
গত সপ্তাহে ডিএসইর লেনদেনের শীর্ষস্থানে থাকা কোম্পানিগুলো হচ্ছেডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, জেনারেশন নেক্সট ফ্যাশন, আরএন স্পিনিং, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম, বেঙ্গল উইন্ডসর, আরগন ডেনিমস, যমুনা অয়েল, মেঘনা পেট্রোলিয়াম ও সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস
দর বৃদ্ধির শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলো হচ্ছেরহিমা ফুড, অ্যারামিট সিমেন্ট, বিডি অটোকারস, রংপুর ফাউন্ড্রি, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, জেএমআই সিরিঞ্জ, হাক্কানী পাল্প অ্যান্ড পেপার, লিগ্যাসী ফুটওয়্যার, লিবরা ইনফিউশন ও ফাইন ফুডস লিমিটেড

দর হ্রাসের শীর্ষে থাকা প্রধান ১০ কোম্পানি হচ্ছেমেঘনা পেট্রোলিয়াম, যমুনা অয়েল, ঢাকা ডায়িং, এনভয় টেক্সটাইল, জিপিএইচ ইস্পাত, স্ট্রাইলক্রাফট, মেট্রো স্পিনিং, সায়হাম কটন মিলস, সায়হাম টেক্সটাইল ও শাইনপুকুর সিরামিকস লিমিটেড
Read more…

তীব্র সংকটেও শিল্পে গ্যাসের সর্বনিম্ন দাম

১২/০৭/২০১৩ ০৯:২১:০০ PM |
তীব্র সংকটেও বাংলাদেশের শিল্প এশিয়ার মধ্যে সর্বনিম্ন দামে গ্যাস পাচ্ছেপাশের দেশ ভারতেই এর দাম আট গুণ বেশিঅথচ এরই মধ্যে রিজার্ভের ৪০ শতাংশের বেশি গ্যাস উত্তোলন হয়ে গেছেনতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার না হওয়ায় সংকট ক্রমেই তীব্র হচ্ছেআমদানির দিকে নজর দিতে শুরু করেছে সরকার

এদিকে রফতানি খাতে বিশ্ববাজারের সঙ্গে প্রতিযোগিতার অজুহাতে সস্তা শ্রমের পাশাপাশি সস্তা জ্বালানি ব্যবহার করে উদ্যোক্তারা সম্পদের পাহাড় গড়লেও প্রতিনিয়ত চাপে পড়ছে সরকারগত বছর গ্যাসের দাম এক দফা বাড়ানোর প্রস্তাব উঠলেও শেষ পর্যন্ত তা স্থগিত হয়ে যায়
জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০১৫ সালের পর থেকে গ্যাসের চাপ কমতে শুরু করবেতাই গ্যাস ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার পাশাপাশি দাম বাড়ানোর বিষয়টি এখন জরুরিসরকার আন্তর্জাতিক তেল-গ্যাস কোম্পানিগুলো থেকে প্রতি ইউনিট (হাজার ঘনফুট) গ্যাস কেনে গড়ে ৩ মার্কিন ডলারেঅথচ শিল্পে তা সরবরাহ হয় ইউনিটপ্রতি ২ দশমিক ১৯ ডলার দামেঅন্যান্য খাতেও দামের একই অবস্থা
সম্প্রতি এনার্জি পলিসি অপশন ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশশীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)এতে এশিয়ার বিভিন্ন দেশের মধ্যে শিল্পে ব্যবহূত গ্যাসের দামের তুলনামূলক পার্থক্য তুলে ধরা হয়সিঙ্গাপুরে শিল্পে প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ২ হাজার ৬৬৭ টাকা ১৬ পয়সাভারতে তা ১ হাজার ৩৭৭ টাকা ৮৯ পয়সা, থাইল্যান্ডে ৪৬৯ টাকা ৩৮ পয়সা, ইন্দোনেশিয়ায় ৪৫২ টাকা ২৩ পয়সা, মালয়েশিয়ায় ৩৮৭ টাকা ৮৪ পয়সা ও পাকিস্তানে প্রায় ৩৭৭ টাকা ৯৯ পয়সা আর বাংলাদেশে মাত্র ১৬৫ টাকা ৯৪ পয়সাসর্বশেষ দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে এটি ২২০ টাকা করার কথা বলেছে পেট্রোবাংলাএ প্রস্তাব অনুমোদিত হলেও দাম সর্বনিম্ন পর্যায়েই থাকবে
অন্যান্য জ্বালানির দামের সঙ্গেও তুলনা করা হয়েছে এডিবির ওই প্রতিবেদনেপ্রতি ইউনিট গ্যাসের সমপরিমাণ শক্তি উৎপাদনে ২৬ দশমিক ২৮ লিটার ফার্নেস অয়েল প্রয়োজনএ পরিমাণ তেলের দাম ১ হাজার ৫৭৭ টাকাএকই হিসাবে ২৬ দশমিক ৭৭ লিটার ডিজেলের দাম দাঁড়ায় ১ হাজার ৬৩৩ টাকা
দাম কম থাকায় শিল্পে ব্যবহারের পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ গ্যাস অপচয় হচ্ছে বলেও মনে করেন বিশেষজ্ঞরাশিল্পে ব্যবহূত বিভিন্ন যন্ত্রাংশের দক্ষতা নিয়েও রয়েছে নানা প্রশ্নদাম বেশি হলে কারখানার উদ্যোক্তারা গ্যাস ব্যবহারে সচেতন ও দক্ষ হয়ে উঠবেনকারণ জ্বালানি সাশ্রয়ে পদক্ষেপ না নেয়ায় কারখানায় ব্যবহূত পুরনো বয়লার ও ক্যাপটিভ বিদ্যুেকন্দ্রে প্রতিদিন সরবরাহকৃত গ্যাসের প্রায় ২৪ শতাংশ অপচয় হয়আবার শিল্পে বয়লারের চেয়ে ক্যাপটিভ বিদ্যুতে ব্যবহূত গ্যাসের দাম আরো কমবর্তমানে ক্যাপটিভে প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ১১৮ টাকা ২৬ পয়সা
শিল্প-কারখানায় বয়লারের জন্য প্রতিদিন সরবরাহ করা হচ্ছে মোট উৎপাদনের ১৭ শতাংশ গ্যাস, যার পরিমাণ ৩৭ কোটি ৪০ লাখ ঘনফুটএর মধ্যে অপচয় হয় ৩ কোটি ৫৬ লাখ ঘনফুটআর শিল্পের জন্য অনুমোদিত ক্যাপটিভ বিদ্যুেকন্দ্রে প্রতিদিন সরবরাহ করা হয় ১৬ শতাংশ, যার পরিমাণ ৩৫ কোটি ২০ লাখ ঘনফুটএক্ষেত্রে অপচয় হয় ১৩ কোটি ৭০ লাখ ঘনফুট গ্যাস অর্থাৎ শিল্পে সরবরাহকৃত ৭২ কোটি ৬০ লাখ ঘনফুটের মধ্যে অপচয় হচ্ছে ১৭ কোটি ২৬ লাখ ঘনফুট গ্যাস
এ প্রসঙ্গে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ম. তামিম বণিক বার্তাকে বলেন, শুধু শিল্পে নয়, সব ক্ষেত্রেই গ্যাসের দাম অনেক কমশিল্পে গ্যাস অপচয়ের অন্যতম প্রধান কারণ স্বল্পমূল্যতার পরও গ্যাসের দাম যৌক্তিক পর্যায়ে আনা হচ্ছে নাভোটের রাজনীতির কারণে দলগুলো এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারে নাতবে টিকে থাকতে হলে অবশ্যই দাম বাড়াতে হবে
সর্বশেষ ২০০৯ সালে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) সব ধরনের গ্যাসের দাম ১১ দশমিক ২২ শতাংশ বাড়িয়েছিলএছাড়া ২০১১ সালে দুই দফায় সিএনজির দাম বাড়িয়ে প্রতি ঘনমিটার ৩০ টাকা করা হয়গত বছরের ২০ মে সব ধরনের গ্রাহকের জন্য গ্যাসের দাম বাড়াতে বিইআরসির কাছে প্রস্তাব করে পেট্রোবাংলাবিতরণ কোম্পানির পক্ষ থেকে প্রস্তাব জমা দেয়ার আহ্বান জানায় বিইআরসিডিসেম্বরে গণশুনানির দিনও ধার্য করা হয়
নির্ধারিত সময়ে বিতরণ কোম্পানি প্রস্তাব জমা না দেয়ায় থমকে যায় মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টিএরপর গত এক বছরে এ ব্যাপারে আর কোনো উদ্যোগ নেই
এ ব্যাপারে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ড. হোসেন মনসুর বলেন, সামগ্রিক দিক বিবেচনা করেই নিম্নমূল্যে গ্যাস সরবরাহ করা হয়আপাতত দাম বাড়ানোরও কোনো পরিকল্পনা নেই
প্রসঙ্গত, সারা দেশে আবাসিক গ্রাহক গ্যাস ব্যবহার করেন মোট উৎপাদনের ১১ শতাংশশিল্পে ৩৩ শতাংশ (ক্যাপটিভ বিদ্যুত্সহ), বিদ্যুতে ৪২ শতাংশ, সিএনজিতে ৬ ও সার-কারখানায় ৭ শতাংশ গ্যাস ব্যবহূত হয়বাকিটা যায় চা বাগান ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে

Read more…

খালেদার সঙ্গে এরশাদের ফোনালাপ!

১২/০৭/২০১৩ ০৯:১৬:০০ PM |

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মুঠোফোনে কথা হয়েছে। ফোনালাপে এরশাদ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তার ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন। অন্যদিকে খালেদা তাকে ১৮ দলের আন্দোলনে শরিক হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। দলের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র এ কথা জানিয়েছে।

এরশাদ-খালেদার ফোনালাপ নিয়ে শুক্রবার দিনভর নানা কথা শোনা গেলেও এরশাদ নিজে এবং শীর্ষ নেতারা বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তবে এ সঙ্কটমুহূর্তে জাপাকে পাশে পেতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দিক থেকেই ম্যানেজ করার প্রচেষ্টা যে চলছে যে বিষয়টি গণমাধ্যম এবং পর্যবেক্ষেক মহলে ব্যাপক আলোচনা চলছে।

তবে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে প্রেসিডেন্ট পার্কে ব্রিফিংয়ের সময় সাংবাদিকরা এ বিষয়ে জানতে চাইলে এরশাদ তা অস্বীকার করেন।

জাপার একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রায় ১১ মিনিটের ওই ফোনালাপে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য রোষাণল থেকে বাঁচতে জাপা চেয়ারম্যান বিএনপি চেয়ারপারসনের আন্তরিক সহায়তা কামনা করেছেন। এরশাদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে যে কোনো নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তে অনড় থাকার কথাও জানান। জবাবে বিএনপি চেয়ারপারসন জাপার বিপদে প্রকাশ্যে-অপ্রকাশে তার নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট পাশে থাকবে বলে এরশাদকে অভয় দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে দলের প্রেসিডেন্ট সদস্য রওশন এরশাদের কাছে জানতে চাইলে তিনিও ফোনআলাপের বিষয়টি অস্বীকার করেন।

এ ব্যাপারে দলের মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুরে আমি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ছিলাম। বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে স্যার (এরশাদ) ফোনে কথা বলেছেন কি না সে সম্পর্কে আমাকে কিছু বলেননি।’

জাপার অন্যতম এক প্রেসিডিয়াম সদস্য নাম না প্রকাশের শর্তে ফোনালাপের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তিনি এরশাদের বাসায় ছিলেন। এমনকি তিনি এবার ঢাকার একটি আসনে জাপার মনোনয়নও পেয়েছিলেন বলে জানান।

তিনি বলেন, ‘স্যার (এরশাদ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার ব্যক্তিগত রবি নম্বর থেকে বিএনপির চেয়ারপারসনের একজন ব্যক্তিগত অফিস স্টাফকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে তার (খালেদা) সঙ্গে কথা বলেছেন।’ খালেদা জিয়ার ওই ব্যক্তিগত স্টাফ জিয়া পরিবারের অন্যতম একজন সদস্য বলেও তিনি জানান।

এরশাদের ওই ঘনিষ্ঠ সূত্র আরো জানিয়েছেন, ফোনালাপে খালেদা জিয়ার কাছে এরশাদ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তে অনড় ও আওয়ামী লীগ সম্পর্কে তার ক্ষোভের কথা জানান। সেসময় এরশাদ বিরোধী দলীয় নেতা ও তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, তার ওপর সরকার যদি নিপীড়ন চালায় সে ব্যাপারে কঠোর প্রতিবাদ করা হবে। এসময় বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া জাপার পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

সূত্র মতে, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটে না এলেও নির্দলীয় সরকারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে জাপাকে মাঠে নামার জন্য এরশাদকে অনুরোধ জানান খালেদা জিয়া। জবাবে এরশাদে বলেন, আরও একটু ভেবে চিন্তে শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি।

সূত্র আরও দাবি করেছে, গত ৩ ডিসেম্বর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয়ার পর ২৬ ঘণ্টা তার বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্কের বাইরে ছিলেন। ওইসময় তিনি গুলশান- ১ নম্বরের ১৭ নম্বর সড়কের একটি পুরনো বাড়িতে ছিলেন। ওই বাড়িতে তার সঙ্গে ছিলেন ব্যক্তিগত সহকারী বাদশা। সেই রাতেই এরশাদের সঙ্গে কথা বলেন ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা। গত বুধবার রাতে গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপির এই নেতা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তে অনড় থাকতেও এরশাদকে অনুরোধ জানান। তিনি এরশাদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকলে ক্ষমতাসীনদের যেকোনও অ্যাকশনের প্রতিবাদে বিএনপি থাকবে বলে আশ্বস্ত করেন। 

এরশাদ খোকার কথা শতভাগ আস্থায় না রেখে তার স্ত্রী বেগম রওশন এরশাদের মাধ্যমে ৩ ডিসেম্বর রাতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওই রাতে রওশন বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে ফোনে কথা বলে ‘এরশাদ সিদ্ধান্তে অনড় আছেন’ বলে জানিয়ে দেন।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর এ নিয়ে তৃতীয়বার খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বললেন এরশাদ। এর আগে গত জুনে প্রথমারের মতো তাদের কথা হয়। গত জুনে সিঙ্গাপুরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখাও করেন এরশাদ।

স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রয়োজনে খালেদা জিয়া ১৬ থেকে ২৫ জুন সিঙ্গাপুর ছিলেন। এরশাদও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ১০ জুন সিঙ্গাপুর যান। ১৬ জুন তার দেশে ফেরার কথা থাকলেও তিনি ফেরেন ১৯ জুন। সিঙ্গাপুর অবস্থানকালেই স্ত্রী রওশনকে সঙ্গে নিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন এরশাদ।

এরপর দ্বিতীয় দফায় খালেদা-এরশাদ কথা বলেন গত ২৫ আগস্ট। ২৭ আগস্ট এরশাদ তার কনিষ্ঠ ছেলে এরিকের চিকিৎসার প্রয়োজনে এক সপ্তাহের সফরে সিঙ্গাপুর যান। যাওয়ার দু’দিন আগেই তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। সূত্র: বা্ংলামেইল।
Read more…

ভোট পেছানো যায় কি না, জানতে চায় জাতিসংঘ

১২/০৭/২০১৩ ০৯:১১:০০ PM |
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে নির্বাচনের ঘোষিত তারিখ পেছানো যায় কি না তা জানতে চেয়েছেন সফররত জাতিসংঘের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অস্কার ফার্নান্দেজ-তারানকো।

একই সঙ্গে নির্বাচনে ‘ইভেন প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করা যায় কি না তাও জানতে চেয়েছেন রাজনৈতিক সঙ্কটে অবসানের লক্ষ্য নিয়ে ঢাকা সফরে আসা জাতিসংঘ মহাসচিবের এই দূত।
রাজনৈতিক সঙ্কট অবসানের লক্ষ্য নিয়ে ঢাকা সফরে আসা জাতিসংঘের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অস্কার ফার্নান্দেজ-তারানকো শনিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন।
বিকাল এই বৈঠক শুরু হলে প্রথমে শেখ হাসিনা এবং ফার্নান্দেজ-তারানকোর সঙ্গে তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা ছিলেন। বিকাল ৪টার কিছু পর বৈঠক শুরু হয়ে পৌনে ৫টা পর্যন্ত চলে বৈঠক।
তবে বিকাল ৪টা ৪৯ মিনিট থেকে ৫টা ৫২ মিনিট পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ফার্নান্দেজ-তারানকো একান্তে বৈঠক করেন।
সভাশেষে প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী সাংবাদিকদের বলেন, “খুবই ফ্রেন্ডলি আলোচনা হয়েছে। ফার্নান্দেজ-তারানকো সেক্রেটারি জেনারেলের বিশেষ বার্তা নিয়ে এসেছেন।”
জাতিসংঘ মনে করে বাংলাদেশ উন্নয়ন, গণতন্ত্র ও অসাম্প্রদায়িকতার উদাহরণ, বলেন রিজভী।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা জানান, তারা (জাতিসংঘ) চায় বাংলাদেশ যেন তাদের স্ট্যাটাস ধরে রাখে। তারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ভূয়সী প্রশংসা করেছে। 

বৈঠকের এক পর্যায়ে আসন্ন জাতীয় সংসদের বিষয়টি উঠে এসেছে উল্লেখ করে গওহর রিজভী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সব দলকে নির্বাচনে আনতে যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল তার প্রশংসা করেছেন।”

“জাতিসংঘের মহাসচিব তার বার্তায় সংবিধান রিস্টোরের কথা বলেছেন এবং বলেছেন সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হতে পারে। কেয়ারটেকার সরকার নিয়ে আলোচনার দরকার নেই। কিন্তু নির্বাচনে সবার জন্য ইভেন প্লেয়িং ফিল্ড থাকতে হবে।”

বৈঠকের নির্বাচন পেছানোর ব্যাপারে কথা হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে জিজ্ঞেস করতে হবে।

নির্বাচন সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার বলে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবে না। এ ব্যাপারে কোন কথা থাকলে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলতে হবে।
“বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সব দলকে নিয়ে সংবিধান মেনে নির্বাচনে যেতে চাই,” বলেন তার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী।
প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বৈঠকের ব্যাপারে সাংবাদিকদের বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন নিয়ে এখন পর্যন্ত যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন তারা (জাতিসংঘ) তার প্রশংসা করেছেন।”
ইকবাল সোবহান চৌধুরী আরো বলেন, “তারা (জাতিসংঘ) আরো বলেছেন, কোন ধরনের সহিংসতা তারা মেনে নিতে পারেন না।”
বৈঠকে সবাইকে সব ধরনের সংঘাত পরিহার করে আলোচনার মাধ্যমে উদ্যোগ নিতেও আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অস্কার ফার্নান্দেজ-তারানকো।
Read more…

সাপ্তাহিক টার্নওভারের ডেল্টা লাইফ

১২/০৭/২০১৩ ০৮:৪৪:০০ PM |

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের লেনদেন বেড়েছে। গত সপ্তাহে ২০২ কোটি ৭৬ লাখ ৮৪ হাজার টাকায় কোম্পানির ৬৯ লাখ ৪২ হাজার ৫৫০টি শেয়ার লেনদেন হলে কোম্পানিটির সাপ্তাহিত টপটেন টানওভারের শীর্ষে উঠে আসে। কোম্পানির শেয়ারের সর্বশেষ বাজার দর ২৮৯.৪০ টাকা।

গত ২৬ নভেম্বর ৭ বছরের (২০০৫-২০১১) জন্য কোম্পানির ঘোষিত ২১’শ শতাংশ বোনাস শেয়ার বিনিয়োগকারীদের অ্যাকউন্টে পৌঁছেছে। সঙ্গত কারণেই কোম্পানির লেনদেন বেড়েছে বলে মনে করছেন বিনিয়োগকারীরা। 

ডেল্টা লাইফ ১৯৯৫ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এর অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি এবং পরিশোধিত মূলধন ৯৯ কোটি টাকা। রিজার্ভের পরিমান শূন্য। কোম্পানির শেয়ারের ফেস ভ্যালু ১০ টাকা এবং মার্কেট লট ৫০টিতে। কোম্পানির ৯ কোটি ৯০ লাখ শেয়ারের মধ্যে ৩৬.৭৬ শতাংশ পরিচালনা পর্ষদ এবং ৬৩.২৪ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হতে।
Read more…

এএফসি এগ্রো টাকা সংগ্রহ শুরু রোববার

১২/০৭/২০১৩ ০৮:২১:০০ PM |

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অনুমোদন পাওয়া এএফসি এ্গ্রো বায়োটেক লিমিটেডের টাকা সংগ্রহ শুরু হবে আগামীকাল ৮ ডিসেম্বর, রোববার থেকে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, আগামীকাল ৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে প্রতিষ্ঠানটির আইপিওতে টাকা জমা দেয়া যাবে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তবে প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের জন্য এ সুযোগ থাকবে আগামী ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

এএফসি এ্গ্রো বায়োটেক শেয়ারবাজারে ১ কোটি ২০ লাখ শেয়ার ছেড়ে ১২ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। এ জন্য প্রতিটি শেয়ারের অভিহিত মূল্যনির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা। কোম্পানির ৫০০টি শেয়ারে লট নির্ধারণ করা হয়েছে।

আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি ব্যবসায়িক মূলধন হিসেবে ১০ কোটি ৯০ লাখ ৪১ হাজার ৫০০ টাকা এবং আইপিও খাতে ১ কোটি ৯ লাখ ৫৮ হাজার ৫০০ টাকা ব্যয় করবে।

৩০ জুন ২০১৩ অর্ধবার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী এ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১.০১ টাকা এবং শেয়ার প্রতি সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ১১.১০ টাকা।

এ প্রতিষ্ঠানের ইস্যু ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করছে ইমপেরিয়াল ক্যাপিটাল লিমিটেড এবং সিগমা ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।
Read more…

ডিএসইতে টি+২ বাস্তবায়নে ১৩ হাউজের অটো ডেবিট বাধা

১২/০৭/২০১৩ ০৮:০৯:০০ PM |
প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন নিষ্পত্তির সময়সীমা টি+২ বাস্তবায়ন না হওয়ার পেছনে ১৩টি ব্রোকারেজ হাউজের অটো ডেবিট প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া বাধা হিসেবে কাজ করছে। এ অবস্থায় ১৩টি ব্রোকারেজ হাউজে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হলে ডিএসইতে টি+২ চালু হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, ডিএসইর ১৩টি ব্রোকারেজ হাউজ অটো ডেবিট প্রক্রিয়ার আওতাভুক্ত না হওয়ার কারণে টি+২ প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে সময়ক্ষেপণ হচ্ছে। এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য ডিএসইকে নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে ডিএসই এসব হাউজে আগামী ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে এ অটো ডেবিট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি হাউজ এ প্রক্রিয়ার আওতাভুক্ত হয়েছে। বাকিগুলো আগামী দু’একদিনের মধ্যে এ প্রক্রিয়ার আওতায় বলে জানা গেছে।

প্রায় দুই বছর আগে শেয়ারের দর বৃদ্ধিতে কারসাজি রোধ, লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগকৃত অর্থ দ্রুত ফেরত আনতে সেটেলমেন্ট সাইকেল কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি। যার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১১ সালের অক্টোবর মাসে বিএসইসির ৪০৩তম নিয়মিত কমিশন সভায় সেটেলমেন্ট সাইকেল কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ওই মাসেই বিএসইসি উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে টি+২ পদ্ধতি দ্রুত চালুর জন্য একটি চিঠি ইস্যু করে। পরবর্তীতে ওই বছরের নভেম্বর ডিএসই শেয়ারের লেনদেন নিষ্পত্তির সময়সীমা পরিবর্তনের জন্য সেটেলমেন্ট রেগুলেশনে সংশোধন এনে বিএসইসিতে জমা দেয়। পরে বিএসইসি সার্বিক দিক বিবেচনা করে সংশোধিত রেগুলেশনটি অনুমোদন দেয়।

এর দুই বছর পর অর্থাৎ চলতি বছরের ৩ নভেম্বর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) নতুন লেনদেন নিষ্পত্তির সময়সীমা চালু করলেও ডিএসই এখনো তা করতে পারেনি।

এ বিষয়ে ডিএসইর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) স্বপন কুমার বালা শেয়ারনিউজ২৪ডটকমকে বলেন, ডিএসইর ১৩টি ব্রোকারেজ হাউজ অটো ডেবিট প্রক্রিয়ার বাইরে রয়েছে। দ্রুত এ হাউজগুলোকে অটো ডেবিট প্রক্রিয়ায় আনা হবে। গত ২৮ নভেম্বর ডিএসই বোর্ড সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনার পর হাউজগুলোকে ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে অটো ডেবিট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, লেনদেন নিষ্পত্তির সময়সীমা অনুমোদনের জন্য ডিএসইর আগামী বোর্ড সভায় তোলা হবে। ডিএসইর বোর্ড সভায় অনুমোদন হলে বিএসইসির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। এরপর বিএসইসি অনুমোদনের ওপর নির্ভর করবে ডিএসইর লেনদেন নিষ্পত্তির সময়সীমা (টি+২) বাস্তবায়ন।

উল্লেখ্য, স্টক এক্সচেঞ্জ ট্রানজেকশনস রেগুলেশনস ১৯৯৮-এর বিধি ৮ সংশোধনের জন্য বিএসইসির কাছে লিখিতভাবে অনুমোদন চায় ডিএসই। এক্ষেত্রে ‘এ’ ‘বি’ ‘জি’ এবং ‘এন’ ক্যাটাগরির শেয়ারের লেনদেন নিষ্পত্তির সময় একদিন কমানোর প্রস্তাব করা হয়।
Read more…