৪ ইনসিওরেন্স কোম্পানির অর্ধবার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ

৭/৩০/২০১৩ ০১:১৮:০০ PM |
কর্ণফুলী ইনসিওরেন্স লিঃ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী ইনসিওরেন্স অর্ধবার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেপ্রতিবেদন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে২০১৩ সালের জানুয়ারী থেকে জুন পর্যন্ত কোম্পানিটির মুনাফা হয়েছে ২ কোটি ৪১ লাখ টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ০.৬৫ টাকাযা গত বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল  কোটি ৭৩ লাখ টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল .০১ টাকা

অন্যদিকে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে (আপ্রিল-জুন ২০১৩) প্রতিষ্ঠানটির কর পরবর্তী মুনাফা দাঁড়ায় ১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ০.৪০ টাকাযা গত বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ০.৬৬ টাকা 

ঢাকা ইনসিওরেন্স লিঃ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের প্রতিষ্ঠান ঢাকা ইনসিওরেন্স অর্ধবার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেপ্রতিবেদন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে২০১৩ সালের জানুয়ারী থেকে জুন পর্যন্ত কোম্পানিটির মুনাফা হয়েছে কোটি ৫৬ লাখ টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) .২২ টাকাযা গত বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল  কোটি ৫৪ লাখ টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল .৭৪ টাকা

অন্যদিকে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে (আপ্রিল-জুন ২০১৩) প্রতিষ্ঠানটির কর পরবর্তী মুনাফা দাঁড়ায় কোটি ৮৮ লাখ টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ০.৭৭ টাকাযা গত বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল  কোটি ০১ লাখ টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ১.৩৪ টাকা

প্রাইম ইনসিওরেন্স লিঃ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের প্রতিষ্ঠান প্রাইম ইনসিওরেন্স লিঃ অর্ধবার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেপ্রতিবেদন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে২০১৩ সালের জানুয়ারী থেকে জুন পর্যন্ত কোম্পানিটির মুনাফা হয়েছে কোটি ৬৭ লাখ টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) .০৯ টাকাযা গত বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল  কোটি লাখ টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল .৯১ টাকা

অন্যদিকে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে (আপ্রিল-জুন ২০১৩) প্রতিষ্ঠানটির কর পরবর্তী মুনাফা দাঁড়ায় কোটি ২৮ লাখ টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ০.৬৭ টাকাযা গত বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল  কোটি ৮৬ লাখ টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ০.৫৫ টাকা 

পাইওনিয়ার ইনসিওরেন্স লিঃ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের প্রতিষ্ঠান পাইওনিয়ার ইনসিওরেন্স লিঃ অর্ধবার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেপ্রতিবেদন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে২০১৩ সালের জানুয়ারী থেকে জুন পর্যন্ত কোম্পানিটির মুনাফা হয়েছে ১২ কোটি ৭৫ লাখ টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) .০১ টাকাযা গত বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ১২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল .৯৭ টাকা

অন্যদিকে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে (আপ্রিল-জুন ২০১৩) প্রতিষ্ঠানটির কর পরবর্তী মুনাফা দাঁড়ায় কোটি ৮৬ লাখ টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) .১৫ টাকাযা গত বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল  কোটি ২২ লাখ টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল .২৩ টাকা দ্বিতীয় প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা কমেছে ৩৬ লাখ টাকা।


Read more…

আইসিবি মিউচুয়াল ফান্ডের লভ্যাংশ ঘোষণা

৭/৩০/২০১৩ ০১:৫১:০০ AM |

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) অধীনে আটটি মিউচ্যুয়াল ফান্ড লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ৩০ জুন ২০১৩ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য এই লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়। আজ সোমবার আইসিবির সম্মেলন কক্ষে প্রতিষ্ঠানটির পর্ষদ সভায় লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়। 

আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: ফায়েকুজ্জামান লভ্যাংশ ঘোষণার বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন। 

আইসিবির মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর মধ্যে প্রথম আইসিবি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের জন্য ৭০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগের বছরে এ ফান্ড লভ্যাংশ দিয়েছিল ৬০০ শতাংশ নগদ। 

এছাড়া দ্বিতীয় আইসিবি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের জন্য ৩৭৫ শতাংশ নগদ আগের বছর ৩০০ শতাংশ নগদ , তৃতীয় আইসিবি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের জন্য ২৪০ শতাংশ নগদ আগের বছর ২০০ শতাংশ, চতুর্থ আইসিবি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের জন্য ২৪০ শতাংশ নগদ আগের বছর ১৮৫ শতাংশ নগদ , পঞ্চম আইসিবি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের জন্য ২০০ শতাংশ নগদ আগের বছর ১৭০ শতাংশ নগদ , ষষ্ঠ আইসিবি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের জন্য ১০৫ শতাংশ নগদ আগের বছর দিয়েছিল ১০০ শতাংশ নগদ , সপ্তম আইসিবি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের জন্য ১২০ শতাংশ নগদ আগের বছর দিয়েছিল ১১০ শতাংশ নগদ এবং অষ্টম আইসিবি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের জন্য ১১০ শতাংশ নগদ আগের বছর দিয়েছিল ১০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। 
Read more…

পদ্মা ইসলামী লাইফের ৮% লভ্যাংশ ঘোষণা

৭/৩০/২০১৩ ০১:৪৭:০০ AM |
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর ২০১২ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৮ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। সোমবার প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের বোর্ড সভায় এ লভ্যাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির সচিব আবু সাঈদ সরদার শেয়ারনিউজ২৪.কমকে লভ্যাংশ ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।


জানা গেছে, ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৮ আগাষ্ট।
Read more…

মালেক স্পিনিংয়ে হচ্ছেটা কি!

৭/২৯/২০১৩ ০২:৩৩:০০ AM |
 বাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নজর এড়িয়ে গোঁজামিল দিয়ে আর্থিক প্রতিবেদন তৈরি করেছে মালেক স্পিনিং মিলস লিমিটেড। 

কোম্পানিটির মুনাফা ও শেয়ারপ্রতি আয়ের (ইপিএস) হিসাবে করা হচ্ছে অনিয়ম। কয়েকজন পরিচালক পারিশ্রমিক হিসেবে বছরে হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অংকের টাকা। নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে প্রতিষ্ঠানটির পণ্য উৎপাদন ও বিক্রির ক্ষেত্রে।

বাংলানিউজের অনুসন্ধানে এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি বলছে, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানির পরিচালক পারিশ্রমিক হিসেবে বেতন নিতে পারেন না। পরিচালকেরা প্রতিষ্ঠান থেকে শুধু বোর্ড মিটিংয়ে অংশগ্রহণ বাবদ একটি ভাতা গ্রহণ করতে পারেন। প্রতিষ্ঠানটির অনিয়মের বিষয়ে বিএসইসি জানায়, ক্ষতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ২০১১-১২ অর্থবছরে (জুলাই ২০১১ থেকে জুন ২০১২) প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান এএফএম জুবায়ের মালেক স্পিনিং থেকে পারিশ্রমিক হিসেবে ৩৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা তুলে নিয়েছেন। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান সালেক টেক্সটাইল থেকে তিনি এ সময়ে নিয়েছেন ২৪ লাখ টাকা। অর্থবছরটিতে অনুষ্ঠিত মালেক স্পিনিংয়ের ৭টি বোর্ড মিটিংয়ের মধ্যে এএফএম জুবায়ের অংশ নেন ৫টি বোর্ড মিটিংয়ে।

প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) দায়িত্ব পালন করছেন এ মতিন চৌধুরী। তিনি আইন লঙ্ঘন করে একই সঙ্গে তালিকাভুক্ত অন্য একটি কোম্পানির চেয়ারম্যান ও এমডির দায়িত্ব পালন করছেন। এ মতিন চৌধুরী ২০১১-১২ অর্থবছরে মালেক স্পিনিং থেকে পারিশ্রমিক হিসেবে নিয়েছেন ১৩ লাখ টাকা।

পরিচালক আজিজুর রহিম চৌধুরী একই অর্থবছরে মালেক স্পিনিং থেকে পারিশ্রমিক হিসেবে নিয়েছেন ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা। আর স্বতন্ত্র পরিচালক এম সিকেন্দার আলীকে পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া হয়েছে ২ লাখ ৬৪ টাকা।

অর্থবছরটিতে অনুষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানটির সবকটি বোর্ড মিটিংয়ে অংশ নেন শামিম মতিন চৌধুরী। আর সাইমা মতিন চৌধুরী সাতটির মধ্যে তিনটি এবং মশিউর রহামান সাতটির মধ্যে ছয়টি বোর্ড মিটিংয়ে অংশ নেন। তবে এই তিন পরিচালক মালেক স্পিনিং থেকে কি পরিমাণ পারিশ্রমিক নিয়েছেন তার কোনো হিসাব দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি।

এদিকে প্রতিষ্ঠানটির পণ্য উৎপাদনের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ২০১০-২০১১ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ক্ষমতা ছিল এক কোটি ২৬ লাখ কেজি। ২০১১-১২ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন ক্ষমতা একই থাকলেও কমে গেছে প্রকৃত উৎপাদন ও বিক্রির পরিমাণ।

২০১১-১২ অর্থবছরে প্রকৃত উৎপাদনের পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় ৯ লাখ ৯৬ হাজার ৫১০ কেজি কমে দাঁড়িয়েছে এককোটি দুই লাখ ৮৬ হাজার পাঁচশ’ ৬৫ কেজি। আর বিক্রির পরিমাণ ৫৪ কোটি ২৯ লাখ ৮ হাজর সাতশ’ ৫৫ টাকা কমে দাঁড়িয়েছে ২৯৬ কোটি ৬১ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।

প্রতিষ্ঠানটির চলতি অর্থবছরের (২০১২-১৩) সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, মুনাফা ও ইপিএস’র হিসাবে গোঁজামিল করে প্রকৃত অবস্থার থেকে বেশি দেখানো হয়েছে।

আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (২০১২ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর) কর পরবর্তী মুনাফা হয় সাত কোটি দুই লাখ টাকা এবং ইপিএস ৬৪ পয়সা। এরপর অর্ধ বার্ষিকীতে শেষ তিন মাসের অর্থাৎ অক্টোবর-ডিসেম্বর মাসে কর পরবর্তী লোকসান দেখায় ১৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা এবং ইপিএস দেখায় ঋণাত্মক ৮৬ পয়সা। আর অর্ধ বছরের অর্থাৎ প্রথম ৬ মাসে মোট লোকসান দেখায় ৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা। আর ইপিএস দেখায় ঋণাত্মক ৫০ পয়সা।

সর্বশেষ প্রকাশিত প্রতিষ্ঠানটি তৃতীয় প্রান্তিকের (২০১৩ সালের জানুয়ারি-মার্চ) আর্থিক প্রতিবেদনে জানুয়ারি থেকে মার্চ এই তিন মাসে কর পরবর্তী ১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা মুনাফা দেখিয়েছে। এই ৩ মাসের জন্য ইপিএস দেখানো হয়েছে ৫৯ পয়সা। আর বছরের প্রথম নয় মাসের (জুলাই ২০১২- মার্চ ২০১৩) মোট কর পরবর্তী মুনাফা দেখানো হয়েছে ২৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকা এবং ইপিএস দেখানো হয়েছে এক টাকা ৪৯ পয়সা।

নিয়ম‍ানুযায়ী এসময় প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা হওয়ার কথা এককোটি ৮৮ লাখ টাকা [তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) মুনাফা ১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা - অর্ধ বছরের (জুলাই-ডিসেম্বর) লোকসান ৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা = এককোটি ৮৮ লাখ টাকা)]। আর ইপিএস হওয়ার কথা ৯ পয়সা [তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইপিএস ৫৯ পয়সা + অর্ধ বছরের (জুলাই-ডিসেম্বর) ইপিএস (-৫০ পয়সা) = ৯ পয়সা) অথবা তৃতীয় প্রান্তিক শেষে মোট মুনাফা এককোটি ৮৮ লাখ টাকা / মোট শেয়ার সংখ্যা ১৯ কোটি ৩৬ লাখ = ৯ পয়সা ]।

যোগাযোগ করা হলে বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘তালিকাভুক্ত একটি কোম্পানির এমডি একই সঙ্গে তালিকাভুক্ত অন্য কোম্পানির এমডি অথবা চেয়ারম্যান থাকতে পারেন না। এবং পরিচালকেরা কোম্পানি থেকে কোনো বেতন নিতে পারবেন না। তবে বোর্ড মিটিংয়ে অংশ নেওয়া বাবদ মিটিং ভাতা পাবেন।’

এসময় বাংলানিউজকের পক্ষ থেকে মালেক স্পিনিংয়ের সার্বিক অবস্থা তুলে ধরলে তিনি বলেন, ‘বিষয়গুলো খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মালেক স্পিনিংয়ের কোম্পানি সচিব সাইফুল ইসলামের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রথমে বলেন, ‘আমি মিটিংয়ে আছি আপনি পরে ফোন করেন।’

এরপর আবার টেলিফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘কোনো কিছু জানতে হলে আপনি আমাদের অফিসে আসেন। ফোনে কিছু জানানো যাবে না।’
Read more…

নাভানা সিএনজি’র লভ্যাংশ ঘোষণা

৭/২৩/২০১৩ ০২:৩৩:০০ AM |

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের নাভানা সিএনজি লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ৩১ মার্চ ২০১৩ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডাদের জন্য ২০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। সোমবার প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কোম্পানির শেয়ার বিভাগের কর্মকর্তা মোস্তাফিজ জুনিয়র শেয়ারনিউজ২৪ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৯ আগস্ট।



সমাপ্ত অর্থ বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা শেষে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪.০৯ টাকা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ২৭.০৪ টাকা।
Read more…

জিকিউ বলপেনের বোনাস শেয়ার বিওতে প্রেরণ

৭/২৩/২০১৩ ০২:৩২:০০ AM |

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিবিধ খাতের জিকিউ বলপেনের ঘোষিত বোনাস শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বিও অ্যাকাউন্টে প্রেরণ করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।


জানা গেছে, জিকিউ বলপেনের ঘোষিত ২০ শতাংশ বোনাস শেয়ার বিনিয়োগকারীদের নিজ নিজ বিও অ্যাকাউন্টে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর ২০১২ সমাপ্ত অর্ধবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য এ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করে। যা প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদন করা হয়।
Read more…

আইসিবি’র ৮ ফান্ডের বোর্ড সভা ২৯ জুলাই

৭/২৩/২০১৩ ০২:২৯:০০ AM |

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) পরিচালিত ৮টি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের পরিচালনা পর্ষদের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে ২৯ জুলাই। 

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, ২৯ জুলাই বিকেল ৩টায় আইসিবির প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম এবং অষ্টম মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে। 

মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর বোর্ড সভায় ৩০ জুন, ২০১৩ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ইউনিটহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করা হতে পারে।
Read more…

গ্রাহকের টাকা লুটে খাচ্ছে মেটলাইফ অ্যালিকো

৭/২৩/২০১৩ ০২:২৭:০০ AM |

গ্রাহকের কাছ থেকে নানা কৌশলে বীমার টাকা নিয়ে লুটে খাচ্ছে দেশে ব্যবসারত একমাত্র বিদেশি জীবন বীমা কোম্পানি আমেরিকান লাইফ ইন্স্যুরেন্স (মেটলাইফ অ্যালিকো)। মাঠ পর্যায়ের উন্নয়ন কর্মকর্তাদের একাধিক চক্রের মাধ্যমে এ কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশের প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ফলে, ভুক্তভোগী সাধারণ গ্রাহক বারবার কোম্পানিতে ধর্ণা দিয়েও তাদের ন্যায্য পাওনা পাচ্ছে না। গ্রাহকরা টাকা চাইতে গেলে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। সম্প্রতি বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) কাছে এ ধরনের একাধিক অভিযোগ করেছেন গ্রাহকরা ।

অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা আইডিআরএ’র কাছে বীমা দাবির টাকা পাওয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করে নানা ভোগান্তির কথা তুলে ধরেছেন। 

প্রতিষ্ঠানটির কাছে বীমা দাবির টাকা নিতে গিয়ে নানা ভোগান্তির শিকার হয়ে আইডিআরএ’র কাছে এমনই অভিযোগ করেছেন দিনাজপুরের মাহবুব হোসেন রিপন। রিপন আইডিআরএ’র কাছে লেখা তার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন, তার চাচা মো. দেলোয়ার হোসেন ২০১০ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ১৭ লাখ ৯০ হাজার ৮০০ টাকার একটি পলিসি (পলিসি নম্বর-১৪৮৪৮৩৭) ক্রয় করেন। 

২০১১ সালের ২২ জুলাই মো. দেলোয়ার হোসেন মারা যান। এরপর মো. মাহাবুব হোসেন রিপন (বীমা গ্রহীতার নমিনি) মেটলাইফ অ্যালিকোর কাছে বীমা দাবির টাকা দাবি করেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি তাকে বীমা দাবির টাকা না দিয়ে দুই বছর ধরে তার সঙ্গে টালবাহানা করছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন রিপন।

এদিকে, আইডিআরএ সূত্রে জানা গেছে, বীমা দাবির টাকা নিয়ে রিপনের মতো একাধিক গ্রাহকের সঙ্গে গড়িমসি করছে বিদেশি এই বীমা প্রতিষ্ঠানটি। এ বিষয়ে আইডিআরএ’র কাছে বেশ কিছু অভিযোগ জমা পড়েছে।

যোগযোগ করা হলে আইডিআরএ চেয়ারম্যান এম শেফাক আহমেদ মেটলাই অ্যালিকোর বিরুদ্ধে গ্রাহকের করা অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে দেখা হচ্ছে। তা প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

মেটলাইফ অ্যালিকোর রিজোনাল সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট (বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান) নুরুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে  বাংলানিউজের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়। এ সময় তিনি বাংলানিউজের নাম শুনে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। একপর্যায়ে তিনি নামাজে আছেন বলে মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

অভিযোগের বিষয়ে রিপনের সঙ্গে যোগ‍াযোগ করা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি কোম্পানির চাহিদা মোতাবেক নমিনি হিসেবে বীমার সব কাগজপত্র জমা দিয়েছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি আমাকে বীমা দাবির টাকা দিচ্ছে না। বীমা দাবির টাকার জন্য আমি ২৫ থেকে ৩০ বার প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে গেছি। ক্লেম বিভাগের ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাকে বীমা দাবির টাকা না দিয়ে আসল টাকা নেওয়ার প্রস্তাব দেয়। তাদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায়  হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।’
Read more…

পুঁজিবাজারে মিউচ্যুয়াল ফান্ড আনছে বিডি ফিন্যান্স

৭/২৩/২০১৩ ০২:২৫:০০ AM |

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠান বিডি ফিন্যান্স দুইশ কোটি টাকার মিউচ্যুয়াল ফান্ড আনছে। এর নাম হবে ‘ভ্যানগার্ড এমএল বিডি ফিন্যান্স মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান’।

সোমবার দুপুরে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) অডিটোরিয়ামে এ বিষয়ে বিডি ফিন্যান্স ও ভ্যানগার্ড অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের মধ্যে এবং বিডি ফিন্যান্স ও বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে দুটি চুক্তি সই হয়।

বিডি ফিন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মফিজউদ্দিন সরকার, ভ্যানগার্ড অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী এবং বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা একে আজিজুল হক চৌধুরী নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ইতোমধ্যে এ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের অনুমোদন দিয়েছে। এ ফান্ডের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে ভ্যানগার্ড অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড, ট্রাস্টি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ও কাস্টোডিয়ান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড।

আরো জানানো হয়, দুইশ কোটি টাকার এ ফান্ডের ২০ কোটি টাকা প্রদান করছে স্পন্সর প্রতিষ্ঠান বিডি ফিন্যান্স। প্রি-আইপিও থেকে সংগ্রহ করা হবে একশ কোটি টাকা এবং অবশিষ্ট ৮০ কোটি টাকা আইপিও’র মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে ক্ষুদ্র, বিদ্যমান মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও অনাবাসী বাংলাদেশিদের কাছ থেকে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- আনোয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, বিডি ফিন্যান্সের চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন, ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
Read more…

কনফিডেন্স সিমেন্টের ডিভিডেন্ট ওয়ারেন্ট পাঠানো হয়েছে

৭/২৩/২০১৩ ০২:২৪:০০ AM |

পুঁজিবাজার তালিকাভুক্ত কনফিডেন্স সিমেন্ট কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য সমাপ্ত অর্থবছরে যে নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, তার ওয়ারেন্ট কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে তাদের ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর ২০১২ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে; যা শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) অনুমোদন করা হয়।

এছাড়া সমাপ্ত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ২৩ টাকা এবং শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য ৯০ দশমিক ৭৬ টাকা।
Read more…

সুরমা সিমেন্টের লভ্যাংশের ৫ শতাংশ কল্যাণ ফাউন্ডেশনে

৭/২৩/২০১৩ ০২:১৯:০০ AM |

 লভ্যাংশের পাঁচ শতাংশ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে প্রদান করেছে লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট কোম্পানি। 


সোমবার সচিবালয়ে কোম্পানির মানব সম্পদ ও করপোরেট শাখার পরিচালক সৈয়দা তাহিয়া হোসেন শ্রমমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর হাতে এক কোটি ১২ লাখ ৫৮ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করেন।



এসময় শ্রম সচিব মিকাইল শিপারসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 



শ্রম আইন অনুযায়ী প্রত্যেক বেসরকারি কলকারখানার বার্ষিক লভ্যাংশের পাঁচ শতাংশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে জমা দেয়ার কথা। সেই আইন অনুযায়ী সুরমা সিমেন্ট কোম্পানি তাদের গত বছরের লভ্যাংশ ফাউন্ডেশনে জমা দিয়েছে। 
Read more…

ডিএসই’র সাধারণ মূল্যসূচক বাতিল ৩১ জুলাই

৭/২৩/২০১৩ ০২:১৬:০০ AM |
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক (ডিজিইএন) ৩১ জুলাই থেকে বাতিল হয়ে যাচ্ছে। ২০০১ সালে চালু হওয়ার পর থেকে প্রায় ১২ বছর পর এ সূচক বাদ যাচ্ছে।

সোমবার ডিএসই’র পরিচালনা পর্ষদ সভায় ১ আগস্ট থেকে এ সূচক না রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছ।
 
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারে বড় আকারে দরপতন হলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ডিএসই’র সাধারণ সূচক উঠিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেয়।
 
এ বিষয়ে ডিএসই’র প্রেসিডেন্ট আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে আমরা বলে আসছি সাধারণ মূল্যসূচক বাজারের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরে না। তাই এটি উঠিয়ে দেওয়া প্রয়োজন।

ডিএসইতে নতুন মূল্যসূচক ডিএসইএক্স চালুর সময় তিন মাসের মধ্যে সাধারণ সূচকটি তুলে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নানা কারণে এটি বিলম্বিত হয়েছে।”
Read more…

উভয় স্টকেই সূচক পতন, লেনদেনে ধস

৭/২৩/২০১৩ ০২:১৪:০০ AM |

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে(সিএসই)সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবারও সূচক পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। টানা চর্তুথ দিনের মত সূচক পতনের পাশাপাশি লেনদেনে ধস নেমেছে। 

ডিএসইতে আগের কার্যদিবস রোববার লেনদেন হয়েছিল ৬০৬ কোটি টাকা। সোমবার তা কমে দাঁড়ায় ৪৩২ কোটি টাকায়। 

অন্যদিকে সিএসইতে রোববার লেনদেন হয়েছিল ৪৯ কোটি টাকার। সোমবার লেনদেন হয়েছে মাত্র ৩৭ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিট।
 
এদিন লেনদেন শুরুর প্রথম পাঁচ মিনিট পর বেলা ১১টা ০৫ মিনিটে ডিএসই’র সাধারণ সূচক প্রায় ৩০ পয়েন্ট বেড়ে লেনদেন শুরু হয়। এরপর থেকে সূচক কমতে থাকে।
১১টা ১০ মিনিটে সূচক প্রায় ৭ পয়েন্ট কমে।এরপর ১১টা ১৫ মিনিটে ডিএসই’র সাধারণ সূচক ৪৪ পয়েন্ট কমে, ১১টা ২০ মিনিটে সূচক ৩৪ পয়েন্ট কমে, ১১টা ২৫ মিনিটে সূচক ১২ পয়েন্ট কমে। বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে সূচক ১৬ পয়েন্ট কমে, দুপুর ১২টায় ১৫ পয়েন্ট কমে।

লেনদেন শেষে ডিএসইর সাধারণ সূচক ৪৬ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৩৫৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

এদিকে, ডিএসইএক্স সূচক ৩৫ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৫৪ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৪৯৫ পয়েন্টে।
 

লেনদেন শেষে ডিএসইতে ১৭৮টি প্রতিষ্ঠানের দাম ও সাধারণ সূচক কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। লেনদেন হয়েছে ৪৩২ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
 
ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৫টির, কমেছে ১৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টির দাম।
 
লেনদেনের ভিত্তিতে (টাকায়)ডিএসইর শীর্ষ দশ কোম্পানির তালিকায়  রয়েছে- মেঘনা পেট্রোলিয়াম, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল, তিতাস গ্যাস, পদ্মা অয়েল, গ্রামীণ ফোন, স্কয়ার ফার্মা, যমুনা অয়েল, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, অ্যাকটিভ ফাইন কেমিকেল এবং ইউনিক হোটেল।

অন্যদিকে, লেনদেন শেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএসইএক্স সূচক ৮৭ পয়েন্ট কমে ৮ হাজার ৩ পয়েন্টে, সিএসই-৩০ সূচক ৬১ পয়েন্ট কমে ১০ হাজার ৮১১ পয়েন্টে এবং সিএএসপিআই সূচক ১৪০ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ৬০৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

এদিন সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
Read more…

যমুনা ব্যাংকের নানা অনিয়ম

৭/২৩/২০১৩ ০২:১২:০০ AM |

অনিয়ম, দুর্নীতি, পরিচালনা পর্ষদের বেপরোয়া সিদ্ধান্ত, ভুয়া ঋণপত্র (এলসি) খোলা, ঋণ জালিয়াতি ও অস্তিত্বহীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করে ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে বেসরকারি খাতের যমুনা ব্যাংক। পর্যায়ক্রমে দেউলিয়া হওয়ার পথে হাঁটছে ব্যাংকটি। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মধ্যে সমন্বয় না থাকায় ব্যাংকটির স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। হচ্ছে নানা অনিয়মও। পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের দূরত্ব ও মতপার্থক্যের সুযোগ নিচ্ছে মধ্যবর্তী অন্য আরেকটি দল। যারা পদাধিকার বলে নয়, বিশৃঙ্খলার সুযোগে অনৈতিক সুবিধা নিচ্ছে। 

সূত্র জানায়, একমাত্র দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণেই যমুনা ব্যাংকটিতে চরম বিশৃঙ্খলা চলছে। আর ঝুঁকিতে পড়তে যাচ্ছে ব্যাংকটির আমানত।  
জানা গেছে, যমুনা ব্যাংকের মাধ্যমে বিতর্কিত বিসমিল্লাহ গ্রুপের কয়েকটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদন সক্ষমতার বেশি রফতানি দেখিয়ে অতিরিক্ত নগদ অর্থ তুলে নিয়েছে। জালিয়াতির মাধ্যমে বিসমিল্লাহ গ্রুপ যমুনা ব্যাংক থেকে ১৬৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ঋণ হিসেবে হাতিয়ে নিয়েছে। এর বিপরীতে ব্যাংকের কাছে পর্যাপ্ত জামানত নেই বলে জানা গেছে। 

এ ঘটনায় ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মোজাম্মেল হোসেন ও দিলকুশার শাখা ব্যবস্থাপককে বাধ্য হয়ে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করতে হয়েছে। ব্যাংকের গুলশান শাখায় সম্প্রতি চেক জালিয়াতির ঘটনাও ঘটেছে। এ অবস্থার মধ্যে ব্যাংকটিতে অনিয়ম জালিয়াতি বেড়েই চলেছে। ফলে ব্যাংকটি পর্যায়ক্রমে ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। 

সূত্র জানায়, সম্প্রতি ভুয়া এলসি ও শুল্কমুক্ত পণ্য আমদানি বাবদ প্রায় আট কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে ব্যাংকের কর্মকর্তারা।এ অভিযোগে ব্যাংকের তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

অভিযুক্তরা হলেন- যমুনা ব্যাংকের শান্তিনগর শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট (বর্তমানে যমুনা ব্যাংক ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ) মো. বেলাল হোসেন, একই শাখার এভিপি একেএম শাহ আলম এবং সাবেক এফএভিপি (বর্তমানে যমুনা ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের এভিপি) বিপ্লব কুমার চক্রবর্তী। 

সূত্র মতে, মেসার্স রায়হান প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান  এই ব্যাংকের মাধ্যমে ১৩টি এলসি খোলে। এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. ইউসুফ হোসাইন ২০১১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ১৩টি এলসি খোলেন। এর মধ্যে দুটি এলসির টাকা প্রায় দেড় বছর পর পরিশোধ করা হলেও বাকি ১১টি এলসির বিপরীতে ৪ কোটি ৬৫ লাখ ২২ হাজার ২৪৮ টাকা আত্মসাৎ করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। 

এমনকি এসব ক্ষেত্রে মঞ্জুরিপত্রের শর্তভঙ্গ করে এলসি খোলা হয়েছে। এছাড়া শুল্কমুক্ত পণ্য আমদানির নামে প্রতিষ্ঠানের এমডি ৩ কোটি ৩৬ লাখ ৪৩ হাজার ৩০ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে বাংলাদেশ ব্যাংক জানতে পেরেছে। অভিযুক্ত চারজন পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মোট ৮ কোটি ১ লাখ ৬৫ হাজার ২৭৮ টাকা জাল কাগজপত্র তৈরির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূত্র মতে, যমুনা ব্যাংকের অন্য অনিয়মগুলোর মধ্যে রয়েছে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন,শাখায় হিসাব খোলার আগেই ঋণ অনুমোদন, একই পরিবারভুক্ত একাধিক প্রতিষ্ঠানে নামে-বেনামে কোটি কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন, শাখার বিরূপ মন্তব্য সত্ত্বেও ঋণ অনুমোদন এবং ব্যাংকের সক্ষমতার চেয়ে বেশি ঋণ বিতরণ। 

সূত্র জানায়, সম্প্রতি কয়েকটি ব্যাংকের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকে দাখিলকৃত প্রতিবেদনের বিস্তর অনিয়ম পাওয়া গেছে। এসব ব্যাংকের মধ্যে যমুনা ব্যাংকও রয়েছে। যমুনা ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে যে প্রতিবেদন দাখিল করেছে নিরীক্ষিত প্রতিবেদনের সঙ্গে তার বেশিরভাগ তথ্যেরই কোনো মিল নেই। 

ব্যাংকের এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে যমুনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা পর্ষদের কেউ মুখ খুলতে রাজি নন। তবে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ম. মাহফুজুর রহমান সম্প্রতি বলেন, ‘কোনো ব্যাংক অনিয়ম করে পার পাবে না। যেসব ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা পরিপালন করছে না তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ ব্যাংক পিছপা হবে না। 
Read more…

স্কয়ার ফার্মার ৫৫ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা

৭/২২/২০১৩ ১২:৩৮:০০ AM |
পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি স্কয়ার ফার্মা লিমিটেড ৩১শে মার্চ ২০১২-২০১৩ বছরের হিসাব আলোকে ৫৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরমধ্যে ৩০ শতাংশ স্টক ও ২৫শতাংশ নগদ । কোম্পানি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। 

আজ কোম্পানির বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সমাপ্ত বছরে কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৯.০১ টাকা। রেকর্ড ডেট ২৬ আগষ্ট ও এজিএম অনুষ্ঠিত হবে ২৫ সেপ্টেম্বর। 

কোম্পানির বোর্ড অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি থেকে ১ হাজার কোটি টাকা করারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
Read more…

এনসিসি ব্যাংকের অর্ধবার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ

৭/২২/২০১৩ ১২:৩৩:০০ AM |
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকিং খাতের প্রতিষ্ঠান এনসিসি ব্যাংক অর্ধবার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে। ২০১৩ সালের জানুয়ারী থেকে জুন পর্যন্ত ব্যাংকটির মুনাফা হয়েছে ২৭ কোটি ৯৪ লাখ টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ০.৩৭ টাকা। যা গত বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ৬০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ০.৭৯ টাকা।

অন্যদিকে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে (আপ্রিল-জুন ২০১৩) ব্যাংকটির কর পরবর্তী মুনাফা দাঁড়ায় ১৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ০.২৩ টাকা। যা গত বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ৩২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা এবং শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ০.৪৩ টাকা। 
Read more…

সূচক পতনে আশাহত নন বিনিয়োগকারীরা

৭/২০/২০১৩ ১২:১৮:০০ AM |

টানা দ্বিতীয় সপ্তাহে সূচক কমেছে দেশের উভয় শেয়ারবাজারে। তবে সূচক কমলেও উত্থানের ধারাবাহিকতায় রয়েছে টাকার পরিমাণে লেনদেন। আর এর কারণে সূচকের পতনে আশাহত নন খুলনার বিনিয়োগকারীরা। বরং তারা সাধ্য অনুযায়ী লেনদেনে অংশগ্রহন করেছেন।

স্থানীয় সিকিউরিটিজ হাউজ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বললে তারা এসব কথা জানান।

কয়েকজন বিনিয়োগকারী বলেন, টানা দ্বিতীয় সপ্তাহে সূচক পতনে আমরা বাজার নিয়ে আশাহত নই। বরং আশাবাদি বাজার আবারও ঘুরে দাঁড়াবে। তারা বলেন, টানা দ্বিতীয় সপ্তাহে দেশের উভয় শেয়ারবাজারে সূচকের পতন হয়েছে। তবে এ সময়ে টাকার পরিমাণে লেনদেন ছিলো উত্থান গতিতে। গত দুই সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্রড ইনডেক্স কমেছে ৪৭ পয়েন্ট আর এ সময়ে ডিএসইর গড় লেনদেনের পরিমাণ ছিলো ৯৫৩ কোটি টাকা। যা নি:সন্দেহে স্থিতিশীল বাজারের লক্ষণ।

বিনিয়োগকারী মো. জাফর বলেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতি হঠ্যাৎ উত্তাল হওয়ায় বাজারে তার প্রভাব পড়েছে। এ অবস্থার উন্নতি হলে বাজারেরও উন্নতি হবে। তিনি শেয়ারবাজারের স্বার্থে রাজনৈতিক পরিস্থিতির স্থিতিশীলতা কামনা করেন।

বিনিয়োগকারী মেহেদী হাসান বলেন, টানা হরতালের কারণে বাজারে বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি ও লেনদেনে কিছুটা বাঁধা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে বাজার সপ্তাহের শেষে বিরূপ আচরণ করেছে।

কেউ কেউ বলছেন, সম্প্রতি সময়ে বাজার চাঙ্গা হওয়ায় অনেকে মুনাফা তুলে নিতে সক্ষম হয়েছেন। ফলে বাজারে কিছুটা সংশোধন হয়েছে।

এদিকে বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কিছুটা প্রভাব পড়েছে বাজারে। কেননা জামায়াতে ইসলামীর দুই নেতার মানবতাবিরোধী অপরাধের রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দেশে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে আর্থিক বাজারে। তাছাড়া টানা হরতালের কারণে বাজারে বিনিয়োগকারী উপস্থিতিও কম ছিল।
Read more…

বাজার সংশ্লিষ্টদের অভিমত শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা নেই

৭/২০/২০১৩ ১২:১১:০০ AM |

দেশে বর্তমান রাজনৈতিক কিংবা অন্য যে কোন ইস্যুতে শেয়ারবাজারে নেতিবাচক কোন প্রভাব পড়ার আশঙ্কা নেই বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে বাজারে নেতিবাচক প্রবণতা বয়ে গেছে। এ অবস্থায় সরকার ও সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলোর নানামূখী ইতিবাচক পদক্ষেপের কারণে বাজার তার স্বাভাবিক গতির ওপর ভর করে অগ্রগতির গন্তব্যে এগিয়ে যাচ্ছে। গত দুই মাসে আগেও যারা সাইড লাইনে বসে ছিল তারাও পুরোপুরিভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। একইসঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিকরা সরকারের তরফ থেকে ইতিবাচক সংকেতের ফলশ্রুতিতে সক্রিয় হওয়ার পাশাপাশি সবার মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করছে।


এ অবস্থায় রাজনৈতিক কিংবা অন্য যে কোন ইস্যুতে শেয়ারবাজারে গতিশীলতা নিয়ে কারো মধ্যে কোন ভয় কিংবা শঙ্কা নেই। তবে যারা বাজারে প্রয়োজনীয় সময় বিনিয়োগে আসতে পারেনি তারাই এখন নানা ইস্যুতে সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছে। সব মিলিয়ে বর্তমান শেয়ারবাজারের গতিশীলতা কেন্দ্র করে যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল আচারণ করতে হবে বলেও সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।



সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক নানা ইস্যুকে কেন্দ্র করে বাজার অত্যন্ত নিম্ন অবস্থানে নেমে এসেছিল। এরপর বাজার তার স্বাভাবিক গতি হারিয়ে ফেলে। বিনিয়োগকারীরা ছিল অজানা শঙ্কায়। এদিকে বাজার বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তিরা শেয়ারবাজার নিয়ে অনেক আলোচনা, দেশের অর্থনীতিতে কতটুকু গুরুত্ব বহন করছে এবং বিনিয়োগকারীদের সামাজিক দায়বদ্ধতার বিষয়গুলো সরকারের দায়িত্ববোধকে নাড়া দেয়। এপ্রেক্ষিতে সরকার ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য স্কীম বাস্তবায়ন, কেন্দ্রিয় ব্যাংকের মনিটরিং পলিসি, ২০১৩-১৪ অর্থ বছরের বাজেটে বাজারের জন্য বেশ কিছু প্রণোদনা এবং সর্বোপরি ইনভেষ্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ’র (আইসিবি) দায়িত্বশীল আচারণে বাজারের গতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ধারা আরো সুসংহত রাখতে সবার অংশগ্রহণকে দীর্ঘ মেয়াদি করে তুলতে হবে। এদিকে দেশের শেয়ারবাজারসহ অন্যান্য খাতগুলোর উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীরও সমর্থন রয়েছে। যা জাতীয় সংসদে বাজেট আলোচনায় শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট সবার নজর কেড়েছে। 



সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরো জানা গেছে, গত ৬ মে রাজধানীতে হেফাজত ইসলামের কর্মসূচিকে ঘিরে যে ধরনের নাশকতার আশঙ্কা ছিল সেটি সরকার কৌশলী নির্ধারনের কারণে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সক্ষম হয়েছিল। একইসঙ্গে সরকারের তরফ থেকে ইতোমধ্যে শেয়ারবাজারে পুন:অর্থায়ান, শেয়ারে বিনিয়োগসহ নতুন বাজেটে বাজারের স্থিতিশীলতার স্বার্থে ফান্ড সরবরাহের বিষয়টি গুরুত্ব বহন করছে। এসব বিষয়গুলো নিয়ে বড় ব্যক্তি বিনিয়োগকারী ও কিছু প্রাতিষ্ঠানিকরা দারুন আস্থাশীল হয়ে উঠছে। 




গতবছর সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের মধ্য ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাজারে সূচক ৪০০০ থেকে ৪৭০০ পয়েন্টের মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে। এতে বিনিয়োগকারীরা লোকসানের মধ্যেও একটু স্বস্তিতে ছিল। কিন্তু মধ্য ফেব্রুয়ারি থেকে হঠাৎ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অজানা আশঙ্কা দানা বেঁধে ওঠে। মূলত আন্তজার্তিক ট্রাইব্যুনাল ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ইস্যুতে বড় ব্যক্তি বিনিয়োগকারী ও প্রাতিষ্ঠানিকরা ধীরে ধীরে বাজার থেকে বেরিয়ে সাইড লাইনে চলে যায়। এতে বাজারে দিনে দিনে লেনদেন ও সূচকের একটানা পতন অব্যাহত থাকে। এ অবস্থায় চলতি বছরের মে মাস থেকে প্রাতিষ্ঠানিক ও বড় বিনিয়োগকারীরা ধীরে ধীরে সক্রিয় হয়ে উঠলে বাজারের চিত্র পাল্টে যেতে শুরু করে। অপরদিকে সরকারের তরফ থেকে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে পুন:অর্থায়নের ঘোষণা, সরকারের শেয়ারে বিনিয়োগসহ বাজেটে বাজারকে স্থিতিশীল রাখতে ফান্ড সরবরাহ করার মতো ইতিবাচক অবস্থান রয়েছে। সব মিলিয়ে আগামী দিনগুলোতে বাজারে রাজনৈতিক কিংবা অন্য যে কোন ইস্যুতে বড় ধরনের নেতিবাচক কোন অস্থিরতা প্রভাব ফেলব না এমনটি মনে করে সাইড লাইনে বসে থাকা বড় বিনিয়োগকারীরা। আস্থাশীল হয়ে উঠছে। অন্যদিকে প্রাতিষ্ঠানিকরাও বাজার যে অবস্থানে রয়েছে এখান থেকে তারাও শেয়ার কেনার সুযোগ হাত ছাড়া করতে চাইছে না। ফলে সবার অংশ গ্রহণে বাজার আবারও লেনদেনে গতি ফিরে পাবে এমনটি ভাবছেন সংশ্লিষ্টরা। 



এ বিষয়ে বড় ব্যক্তি বিনিয়োগকারী জানান, অন্য ব্যবসার পাশাপাশি শেয়ারবাজার দ্বিতীয় ব্যবসা হিসেবে বেছে নিয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ যুদ্ধপরাধ ইস্যু এবং হরতালে রাজনৈতিক পরিস্থিতি খুবই খারাপের দিকে যাচ্ছিল। এতে দুই মাসের বেশি সময় বাজারের বাইরে ছিলাম। এখন অন্য সময়ের চেয়ে পরিস্থিতি বড় ধরনের নেতিবাচক শঙ্কা সম্ভাবনা দেখছিনা। তাই পুনরায় বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।



এ বিষয়ে কয়েকটি শীর্ষ ব্রোকারেজ হাউসের উধ্বতন কর্মকর্তা শেয়ারনিউজ২৪ডটকমকে জানান, গত কয়েক দিন বাজার একটু একটু করে বাড়ছে। তবে বাজারে বড় ব্যক্তি বিনিয়োগকারীরা ফিরে আসতে শুরু করছে। এতে অন্য বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও আস্থার সঞ্চার ঘটছে। একইসঙ্গে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সরকারের কয়েকটি ইতিবাচক ঘোষণা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে প্রভাব ফেলছে। তবে সবার সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত হলে পূর্বের ন্যায় লেনদেন ও সূচকের উন্নতি ঘটবে বলে এ কর্মকর্তারা মনে করছেন।



এ বিষয়ে ডিএসইর এক নেতা জানান, রাজনৈতিক পরিস্থিতি যখনই উন্নতির দিকে অগ্রসর হবে বিনিয়োগকারীরা বাজারের প্রতি আস্থাশীল হয়ে উঠবে। বিনিয়োগকারীরা সেরকম কোন ইঙ্গিত পেয়ে হয়ত সক্রিয় হচ্ছে। এছাড়া বর্তমানে বাজার যে অবস্থানে রয়েছে সেখানে বিনিয়োগ করার মতো সময় বলে কেউ সুযোগ ছাড়তে চাইছে না।
Read more…