দেশের শেয়ারবাজারে প্রতিদিনই সূচক কমছে। এ নিয়ে টানা তিন দিন বাজারে সূচকের পতন হলো। টানা পতনে বাজার নিয়ে পুনরায় উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তারা ধারণা করছেন বাজার তার পুরনো চেহেরায় আবারও ফিরে যাচ্ছে। বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, বাজার হঠাত্ কেন এমন আচরণ শুরু করলো বুঝা যাচ্ছে না। তবে পতনের জন্য বিক্রি চাপকেই দায়ী করছেন তারা। এদিকে, আজ সোমবার সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনেও প্রধান দুই শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ(ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে(সিএসই) লেনদেন শেষ হয়েছে সূচক পতনের মধ্যে। প্রধান বাজার ডিএসইতে সূচক কমেছে প্রায় ২৪ পয়েন্ট ও সিএসইতে ৫৩ পয়েন্ট। তবে দিনব্যাপী বাজারে সূচকের নিম্নমুখী তীর ওঠানামা করছে। সূচক পতনের ফলে দিন শেষে উভয় বাজারে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম কমেছে। সার্বিক লেনদেনে মন্দাভাব বজায় রয়েছে। আজ দুই বাজারেই গতকালের চেয়ে লেনদেন যথেষ্ট পরিমাণে কমেছে। এছাড়া পবিত্র শবেবরাতের কারণে বাজারে আজ বিনিয়োগাকারীর উপস্থিতিও কিছুটা কম ছিল। অন্যদিকে, কমতে কমতে প্রধান বাজার ডিএসইর লেনদেন পাঁচশ’ কোটি টাকায় গিয়ে পৌছেছে।
ডিএসই’র ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, বেলা আড়াইটায় ডিএসইএক্স সূচক ২৩ দশমিক ৫৯ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ১৪৬ দশমিক ৫৫ পয়েন্টে গিয়ে পৌছেছে। এর আগে সকাল এগারটায় সূচক ২২ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ১৪৭ দশমিক ৩৩ পয়েন্টে, দুপুর ১২টায় সূচক ১৪ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ১৫৫ দশমিক ৬০ পয়েন্টে এবং বেলা ১টায় সূূচক ৪৮ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ১২১ দশমিক ৬৮ পয়েন্টে গিয়ে দাঁড়ায়। বেলা ২টায় সূচক ২৩ দশমিক শুন্য ২ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ১৪৭ দশমিক ১২ পয়েন্টে গিয়ে পৌছায়।
আজ ডিএসই’তে লেনদেন হয়েছে ২৮৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ডিবেঞ্চার। এদের মধ্যে দর বেড়েছে ৯৭টির, কমেছে ১৫৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। মোট লেনদেন হয়েছে ৫১১ কোটি ৮৬ লাখ ৪১ হাজার টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা কম। শেয়ার, ডিবেঞ্চার ও মিচ্যুয়াল ফান্ড বিক্রি হয়েছে ১০ কোটি ৪৬ লাখ ৯৭ হাজার ৪৮৬টি।দিনের শেষে ডিএসইর লেনদেনের শীর্ষ দশে রয়েছে- বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস, সামিট পূর্বাঞ্চল পাওয়ার কোম্পানি, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, স্কয়ার ফার্মা, ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট, পদ্মা অয়েল, ইউনাইটেড এয়ার, তিতাস গ্যাস ও যমুনা অয়েল।
এদিকে, দেশের আরেক শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে(সিএসই)ও সূচক পতনের মধ্যে লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে। বেলা আড়াইটায় সিএসসিএক্স সূচক ৫৩ দশমিক ৪৯ পয়েন্ট কমে ৮ হাজার ১৪৭ দশমিক ১৭ পয়েন্টে গিয়ে পৌছেছে। এর আগে সকাল ১১টায় সূচক ২১ দশমিক ৮১ পয়েন্ট কমে ৮ হাজার ১৭৮ দশমিক ৮৫ পয়েন্টে, দুপুর ১২টায় সূচক ২৬ দশমিক ২৪ পয়েন্ট বেড়ে ৮ হাজার ১৭৪ দশমিক ৪২ পয়েন্টে এবং বেলা ১টায় সূচক ১১০ দশমিক শুন্য ১ পয়েন্ট কমে ৮ হাজার ১০ দশমিক ৬৫ পয়েন্টে গিয়ে দাঁড়ায়। বেলা ২টায় সূচক ৪৮ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট কমে ৮ হাজার ১৫১ দশমিক ৮৬ পয়েন্টে গিয়ে পৌছায়।
আজ সিএসই’তে লেনদেন হয়েছে মোট ২০০টি প্রতিষ্ঠানের। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৪৬টির, কমেছে ১৪০টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম। টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৫০ কোটি ৫১ লাখ ৯৯ হাজার ৮৭৬ টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ৪২ কোটি টাকা কম। হাতবদল হওয়া শেয়ার, ডিবেঞ্চার ও মিচ্যুয়াল ফান্ডের পরিমাণ ১ কোটি ২২ লাখ ৯৫ হাজার ৯৬টি।বেলা শেষে সিএসই’তে লেনদেনের শীর্ষ দশ কোম্পানি হলো- মেঘনা পেট্রোলিয়াম, আফতাব অটো, সামিট পূর্বাঞ্চল পাওয়ার কোম্পানি, ওরিয়ন ফার্মা, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস, ইউনাইটেড এয়ার, গ্রামীণফোন, ফ্যামিলি টেক্স, ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট ও আর.এন স্পিনিং, ।
Comments[ 0 ]
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন